আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইউক্রেনে বিমানবন্দর অস্ত্রধারীদের দখলে

ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া অঞ্চলের দুটো বিমানবন্দর দখলে নিয়েছে অস্ত্রধারীরা। ইউক্রেন সরকার একে রুশ বাহিনীর আগ্রাসন এবং দখলদারিত্ব বলে বর্ণনা করেছে। এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।

স্বায়ত্তশাসিত ক্রাইমিয়ার সেভাস্তোপোল বিমানবন্দর রাশিয়ার নৌবাহিনী দখলে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরসেন অ্যাভাকভ। তবে ওই অঞ্চলে রুশ নৌঘাঁটি ব্ল্যাক সি ফ্লিট বিমানবন্দর দখল অভিযানে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। ক্রাইমিয়ার সিমফারোপোলে আরেকটি প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও অস্ত্রধারীরা গতকাল দখল করেছে। তারা রাশিয়াপন্থি বলে মনে করা হচ্ছে। আরসেন অস্ত্রধারীদের এ উপস্থিতিকে 'সশস্ত্র আগ্রাসন' আখ্যা দিয়েছেন। এক ফেসবুক বার্তায় তিনি লেখেন, 'যা ঘটেছে তাতে আমি মনে করি সব আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং নীতিমালা ভঙ্গ করে সশস্ত্র আগ্রাসন এবং দখলদারিত্ব চালানো হয়েছে'। এ ঘটনাকে 'উসকানিমূলক' আখ্যা দিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান আরসেন। রাশিয়া সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবন্দর দখলের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 'রাশিয়ান ব্ল্যাক সি ফ্লিট' এর এক মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্টারফ্যাঙ্ বলেছে, এই ফ্লিটের কোনো ইউনিটই বিমানবন্দরের দিকে অগ্রসর হয়নি, বিমানবন্দর অবরুদ্ধ করা তো দূরের কথা। ইউক্রেনের পার্লামেন্ট ক্রাইমিয়া সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদ উসকে দেয় এমন কিছু করা থেকে রাশিয়াকে বিরত থাকারও আহ্বান জানিয়েছে পার্লামেন্ট। ওদিকে, অস্ত্রধারীদের পরিচয় নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ওলেঙ্ান্দর তুর্কিনোভ তার নিরাপত্তা প্রধানদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়েছে। ক্রাইমিয়া নিয়ে আরও ঘনীভূত হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট। ইউক্রেনের একমাত্র রাশিয়ান-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল এটি।

এ কারণে অঞ্চলটি ইউক্রেনের নতুন নেতাদের এবং রাশিয়ার প্রতি অনুগতদের মধ্যে সংঘাত-সংগ্রামের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠছে। সিমফারোপোলে বৃহস্পতিবার সশস্ত্র ব্যক্তিরা পার্লামেন্ট এবং কয়েকটি সরকারি ভবন দখল করে নেয় এবং রাশিয়ার পতাকা ওড়ায়। এ ঘটনার মাত্র একদিন পরই ওই শহরের বিমানবন্দরে অস্ত্রধারীদের হানা দেওয়ার ঘটনা ঘটল। বিবিসি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.