চট্টগ্রাম নগরীর অপরিকল্পিত বিলবোর্ড দেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য হুমকি বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নৌপরিবহন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ-চবককে। ধ্বংসাত্দক কার্যক্রমের কারণে আগামীতে বন্দর-কাস্টমসের সার্বিক নিরাপত্তা দুর্বল ও ক্ষীণ হওয়ার আশঙ্কাও করা হয়েছে চিঠিতে।
মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি বিলবোর্ড নিরন্ত্রণকারী সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে বিলবোর্ড অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিলবোর্ড স্থাপিত হয়। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েরও দৃষ্টিগোচর হয়। তাই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়। এরপর ৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ২১ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় চট্টগ্রাম বন্দরকে পৃথক চিঠি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে একটি চিঠি প্রদান করে। চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল মো মোয়াজ্জেম হোসেন এ চিঠিতে স্বাক্ষর করেন। এ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়_ 'চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টম সংরক্ষিত এলাকার দেয়ালঘেঁষে এবং জেটি গেট নম্বর ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ এবং সিটি আর গেটের পাশে বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। ওই বিলবোর্ডগুলো চবক কাস্টম দেয়ালসংলগ্ন ও দেয়ালের ঝুঁকিপূর্ণ দূরত্বে স্থাপিত হওয়ায় বিলবোর্ডের ওপরে ওঠার জন্য যে সিঁড়ি রয়েছে তার মাধ্যমে দুষ্কৃতকারীরা ওপরে উঠে বন্দর কাস্টমের সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে বোমা/ককটেল নিক্ষেপ করে ধংসাত্দক কার্যক্রম চালিয়ে আন্তর্জাতিক এ বন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে দুর্বল ও ক্ষীণ করতে পারে। এ অবস্থায় ওই বিলবোর্ডগুলো জরুরি ভিত্তিতে উচ্ছেদ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে স্বরাষ্ট্র ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথকভাবে পত্র প্রেরণের মাধ্যমে যথাযথ কার্যব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাগাদা দেওয়া হয়েছে।'
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমদ বলেন, এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি তার কাছে আসেনি। তবে অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণে অভিযান অব্যাহত আছে।
করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন বলেন, বন্দর ও কাস্টমসসহ নগরীর বিভিন্ন স্থাপনার পাশে অনেক বিলবোর্ড আছে; যা সরানোর জন্য এরই মধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।