আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ডিগ্রির মান আø

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রির মান আশানুরূপ নয়। স্নাতক পর্যায়ে দেশের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৪৮ শতাংশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে অধ্যয়নরত। বেসরকারি কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কিছু কলেজ থেকে পাস করা স্নাতকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ বলে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।

সম্প্রতি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমের সার্বিক অবস্থা উদ্বেগজনক। অনেক কলেজে একাদশ শ্রেণী থেকে মাস্টার্স পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কেবল স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কারিকুলাম প্রণয়ন এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। এ ছাড়া বেসরকারি কলেজসমূহে গভর্নিং বডিতেও শিক্ষক নিয়োগের জন্য নির্বাচনী কমিটিতে প্রতিনিধি নিয়োগ করে। সরকারি ও বেসরকারি কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম তদারকি করার দায়িত্ব থাকলেও এটি সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষক নিয়োগ, এক কলেজ থেকে অন্য কলেজে পোস্টিং সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ভূমিকা নেই। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত দুই হাজারেরও বেশি কলেজ সম্পর্কে খোঁজখবর রাখা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে একটি দুরূহ কাজ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যদিও সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচলিত কারিকুলাম উন্নতমানের। তবে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কিছু কলেজ থেকে পাস করা স্নাতকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। উচ্চশিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটলেও এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রতিবেদনে আরও বলা আছে, পরীক্ষা-পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির মান-নির্দেশে মুখ্য ভূমিকা রাখে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রচলিত চলিত পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে কমিশন কোনোভাবেই ওয়াকিবহাল নয়। এমনকি কোর্স শিক্ষকই একমাত্র প্রশ্নপত্র প্রণেতা এবং উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী। এই ধরনের পদ্ধতিতে একজন বাইরের কোনো বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রশ্নপত্রের মান এবং মূল্যায়নের যথার্থতা যাচাই করার পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসমূহে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা এবং যোগ্যতা-সম্পন্ন শিক্ষক নেই। তার পরেও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। ফলে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাস্টার্স পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষাদান সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নোমান উর রশীদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট রয়েছে। তার মধ্যে মফস্বলের কলেজগুলোতে শিক্ষকরা কম যেতে আগ্রহী। তিনি বলেন, রাজধানীর অনেক সরকারি কলেজ আছে যেখানে প্রতি বিভাগে মাত্র একজন বা দুজন শিক্ষক দিয়ে চলছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.