"মন্ত্রী আসবেন বলে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা সবাই। মন্ত্রী এলেন। কিন্তু হাতে ফুল নিলেন না। তার আগে প্রবীণ এক চিকিৎসকের পা ছুঁয়ে সালাম করলেন। এ চিকিৎসক হচ্ছেন এম এ রকিব।
যিনি বিনা বেতনে সিলেট ডায়াবেটিক সমিতি ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন পরিচালিত সিলেটের দুটো বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালনা করছেন। তাঁকে পা ছুঁয়ে সালাম করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ডাক্তার নিজের আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে আর্ত-মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন। এ ধরনের একজন মানবতাবাদী চিকিৎসক এম এ রকিব। আমি তাঁর সম্পর্কে জানি।
জীবনে খ্যাতি, যশ, অর্থ কোনো কিছু অর্জনের বাকি নেই ডাক্তার রকিবের। তার পরও শুধু মানবতার কল্যাণে ৮০ বছর বয়সেও তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। সিলেট ডায়াবেটিক হাসপাতাল, সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশনসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে এখনো নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। মানবসেবায় নিবেদিতপ্রাণ সব চিকিৎসকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই আমি ডা. এম এ রকিবের পায়ে ধরে সালাম করেছি। ’ " প্রথম আলো, ৫ মার্চ, ২০১৪
প্রথম আলোতে প্রকাশিত উপরোক্ত খবর টি খুবই অনাদর এবং
অবহেলায় ১৭ নং পাতায় এক কোনে ছপা হয়েছে।
প্রথম আলো
সমাজের যারা নিরবে নিভৃতে তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে আবদান রেখে
চলেছেন তাদের প্রথম পাতায় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে থাকে। যা পঠকদের নিকট বিশেষ আবেদন সৃষ্টি করে। পঠক হয় উদিপ্ত।
নিজেরাও এ ধরনের কর্মকান্ডে উৎসাহিত হয়। এ খবরটিও প্রথম পাতায় গুরুত্স্ব সহকারে ছাপার প্রয়োজন ছিল।
সিলেটে মাননীয় সমাজ কল্যানমন্ত্রী সৈয়দ মহাসীন আলী দীর্ঘ দিন ধরে মানুষের সেবায়
নিয়েজিত একজন প্রবীন ডাক্তার এর পায়ে হাত দিয়ে সালাম করার
খবরে আমি আবেগে আপ্লুত। তিনি বলেছেন যে এধরনের নিবেদিত প্রান ডাক্তাদের সন্মান জানানোর জন্য তিনি ডা. এম এ রকিবের পায়ে হাত দিয়ে সালাম কছেন। ধন্যবাদ মাননীয় মন্ত্রী। আপনাকে শত সহস্র সালাম। আপনি দেখিয়ে দিলেন যে সন্মানীত ব্যাক্তিকে কিভাবে মর্যাদা
দিতে হয়।
আমাদের দেশ আজ বিভিন্ন ধরনের সমাস্যায় জরজরিত।
পদে পদে আছে দূর্নীতি, অবহেলা, আনাচার আর জনগনের সম্পদ
লুটের প্রতিযোগীতা। মন্ত্রী, এম পি, সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীরা
অবৈধ সম্পদ আহরনে ব্যাস্ত। গত ৫ বছরে আমরা দেখতে পেলাম
কিভাবে ক্ষমতার কর্তাব্যাক্তিরা অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। সবাই ব্যাস্ত জনগণের সম্পদ লুটের মহাউৎসবে।
এর মধ্যেও কিছু মন্ত্রী, এমপি বা সরকারী কর্মকর্তারা জনগণের সম্পদ লুটের দিকে মনোযোগ না দিয়ে দেশের এবং সমাজের উন্নয়নের কাজ
করে গেছেন বা যাচ্ছেন। এর সাথে আছে কিছু মহাৎ ব্যাক্তির নিজস্ব উদ্দ্যেগে দেশ ও দশের কাজ করার প্রচেষ্টা। এইসব সৎ এবং যোগ্য ব্যাক্তিদের প্রচারণা খুবই কম। অথচ এনাদের যোগ্য সন্মান এবং ব্যাপক প্রচার পাওয়া উচিত। এবং তা দেশের জন্য প্রয়োজনও বটে।
কারণ এই সকল মহাত ব্যাক্তিরা পায় না যথাযোগ্য সন্মান। এনারা আবার সংগত
কারনে প্রচার বিমুখ। অথচ এই সকল ব্যাক্তিদের জীবন যাপন এবং কর্মকান্ড যত প্রচার পাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল। যারা অসৎ,
দূনীতি পরায়ন তারা অর্থ এবং ক্ষমতার জোরে নিজেদের সন্মান আদায় করে নেয়। এরা তাদের লুটপাটের সমান্য অংশ ব্যায় করে স্কুল,
কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ সহ অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানের।
এলাকার জনগণ মনে করে আহা ব্যাক্ত টি কি দানশীল। তাকে তারা সন্মান করে মর্যাদা দেয়। সালাম করে।
অথচ যারা নিরবে নিভৃতে সৎ এবং যোগতার সাথে কাজ করে যায় তারা সন্মান পায় না। যে সৎ সে থাকে আর্থিক কষ্টে।
সমাজে তার বিশাল অবদান তা কারো চোখে পড়ে না। তাকে কেউ সন্মান করে না। অবহেলা আর অসন্মান তাদের কুরে কুরে খায়। অথচ আমরা যাদি এসকল ব্যাক্তিদের মহাত কর্মকান্ড তুলে ধরতে পারি অথবা বার বার প্রচার করতে পারি তাহলে তারা সমাজে সন্মানিত হতে পারেন। তাদের কর্মকান্ড হতে পারে অনকরণীয় যাতে পরবর্তী বংশধরা এর থেকে অনুপ্রণীত হয়ে নিজেদের সৎ, যোগ্য এবং সমাজ সেবা মূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে পারে।
মাননীয় মন্ত্রী একজন সং, যাগ্য এবং নিবেদিত প্রান ডাক্তারের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। আমাদের উচিত হবে এর থেকে শিক্ষা নিয়ে সৎ, যোগ্য এবং নিবেদিত প্রান ব্যাক্তিবর্গকে যথাযথ সন্মান করা। তাদের উর্দ্ধে তুলে ধরা। তাদের কর্মকান্ড এবং সৎ ব্যাক্তিদের কষ্টকর জীবন ধারনের কথা প্রচার করা এবং যথাযথ সন্মান প্রদান করা এবং যারা অসৎ, অযোগ্য ক্ষমতার দাপটে যারা সন্মান বা মর্যাদা পেতে চায় তাদের ঘৃণা করা।
সাথে সাথে প্রযোজন নতুন প্রজন্মকে এই সকল লোকদের ঘৃণা করতে শিখানো।
তারা যত বড় ক্ষমতাশীল হোক না কেন। হতে পারে তিনি মন্ত্রী, এম পি বা বড় মাপের কান সরকারী কর্মকর্তা।
আসুন তাদের ঘৃণা করি। আর সৎ,যোগ্য এবং নিবেদিত প্রান ব্যা ক্তিদের সন্মান করি তাদের সমাজে মর্যাদার স্থানে অধিষ্ঠিত করি। তাতে দেশের এবং সমাজের উপকার হবে।
সমাজে অসৎ, দূনীনিবাজ লোকদের সংখ্যা কমতে থাকবে। অসৎ, দূনীনিবাজ লোকদের সংখ্যা কমতে থাকবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।