আমাদের একটা মানুষের সমাজ লাগবে
জানি মানুষের সকল কাজ এমনকি বিকেলের ঘুমটাও রাজনীতির অংশ। খেলার সাথে রাজনীতির যোগ থাকাটাও প্রাসঙ্গিক। এশিয়া কাপ খেলা চলাকালীন সময়ে যে উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তার যে সমাহার দেখছি সত্যিই উদ্বেগজনক। ভারতে ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে (পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে সমর্থন করার দায়ে) ইতোমধ্যে বহিস্কার করে তারা পরমত সহ্য করার বড় প্রমান দিয়েছেন!! আর এদেশীয় বাঘা বাঘা ব্লগারদের সংগঠন স্টেডিয়ামে অন্য দেশের পতাকা নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন। সত্যিই লজ্জাজনক....
৭১ এ যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী শাসকদের অত্যাচার নির্যাতনের যথাযথ বিচার ও শাস্তি দাবি করি আমরা, এদেশীয় রাজাকার দের বিচার চাই।
তাই বলে আমরা পাকিস্তানী জনগনকে ঘৃনা করিনা, বরং তাদের দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য দুঃখবোধ করি। তাদের ক্রিকেট দল তাদের দেশের প্রতিনিধি, একই ভাবে অন্যান্য দলের ও ক্রিকেট দলও। তাই গ্যালারীতে ভিন্ন ভিন্ন দলের সমর্থকরা খেলাটাকে বর্ণিল রাখে আরো বেশী। তাদের হাতের বর্নিল ফেস্টুন, পতাকা কেড়ে নেবার ইচ্ছাটা ভয়ংকর উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তা ছাড়া অন্য কিছু বলতে পারছিনা। খেলার সময়ে যে কেউ যে কোন দলকে সমর্থন করতে পারে, এটা করতে পারার সুযোগ আছে বলেই খেলাটা আনন্দময়।
ইংল্যান্ডে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের ভালো খেলতে দেখে ইংলিশ কিন্তু জন্মসূত্রে বাংলাদেশীরা গ্যালারীতে উচ্ছাস প্রকাশ করে, তাই বলে যদি ব্রিটিশরা যদি এই জন্মসূত্রে বাংলাদেশীদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবার দাবি জানায় ব্যাপারটা কেমন হবে ভেবে দেখবেন।
ভারতের সীমান্ত হত্যাকে অনেকেই বাংলাদেশের সাথে নিচুমাত্রার যুদ্ধ বলে থাকেন, এসব সমস্যার সমাধান শাসকদের সদিচ্ছার উপরে নির্ভর করে। এগুলোকে পুজি করে আমরা জাতিগত বিদ্ধেষ উসকে দিতে পারিনা, দেয়ার চেষ্টা করাটা হবে মারাত্মক ভুল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।