রাজধানীর কাঁচাবাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ কম। তাই সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। আর মৌসুমি সবজির দাম নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে অসন্তুষ্টি। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দামে খুব হেরফের হয়নি। রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, হরেক রকম সবজির পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। গাজর বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি-বাঁধাকপি ৩০ ও ২৫ টাকা প্রতিটি। এক বিক্রেতা বলেন, শিম ৪০ টাকা কেজি আর করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। কোনোটার দামই বাড়েনি। আগের মতোই আছে। অপর এক বিক্রেতা বলেন, ফুলকপিতে ১০ টাকা, প্রতিকেজি গাজরে ১০ টাকা, টমেটোতে ১০ টাকা, মরিচে ২০ টাকা বেড়েছে। আর ধনেপাতার দামও বেড়েছে। বাজারে মাছের দামে খুব বেশি হেরফের হয়নি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে দাম নিয়ে বরাবরের মতোই রয়েছে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে এক মাছ বিক্রেতা বলেন, মলামাছ বিক্রি করছি ২৪০ টাকা কেজি। টাটকিনি ২৪০ টাকা কেজি। অপর এক বিক্রেতা বলেন, দাম সীমিত-ই আছে, বাড়েনি। প্রতিকেজি কাতল ৩০০ টাকা, রুই ২৫০ টাকা আর কোরাল ৪৫০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কয়েকজন ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে যে দাম ছিল, তার চেয়ে একটু বেশি মনে হচ্ছে। মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার ঊধের্্ব চলে গেছে অনেক দিন আগেই। কিন্তু এটা বলে কী হবে।
তবে কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে কমেছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা জানালেন এখানে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ৮৪ টাকায়। এ বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, এক ডজন হাঁসের ডিমের দাম কমেছে ১০ টাকা। আর লাল ডিমের দাম ডজনে কমেছে ৬ টাকা। এ বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। তবে খাসি ও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।