আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতিসংঘ দফতরের সামনে পরস্পরবিরোধী দুটি স÷

জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের সময় বাইরে পরস্পরবিরোধী দুটি কর্মসূচিতে তুমুল উত্তেজনা পরিলক্ষিত হলেও পুলিশ সোচ্চার থাকায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে ক্যামেরার সামনে কে কথা বলবেন বা বক্তব্য দেবেন এ নিয়ে বিএনপির নেতাদের মধ্যে অন্তত দুই দফা কিল-ঘুষি এবং ঠেলাধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। খবর এনার। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার বেলা ১টা থেকেই জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে জড়ো হতে থাকেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ, অঙ্গরাজ্য আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। জুমার নামাজ আদায় করেন অনেকে ওই স্থানেই। পুলিশের বেষ্টনীতে শেখ হাসিনার ভাষণের সমর্থনে 'শান্তি সমাবেশ'কারীরা সমবেত হন। বেলা ২টার পর আসতে থাকেন বিএনপি, যুবদল, তারেক পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটি, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী-সমর্থক ছাড়াও জামায়াত-শিবির সমর্থিতরা। তারাও পুুলিশের নির্দিষ্ট করা স্থানে জড়ো হন। বেলা ৩টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে প্রবেশ করেন এবং সাধারণ অধিবেশন কক্ষে আসন গ্রহণ করেন। বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে শেখ হাসিনা তার বক্তব্য শুরু করেন। এ সংবাদ জানার পর শান্তি সমাবেশকারীরা সরকারের উন্নয়ন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় অনেকের হাতে ছিল পোস্টার এবং মাথায় ছিল জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু লেখা ব্যাজ। ওয়াশিংটন ডিসি, বস্টন, নিউজার্সি, ফ্লোরিডা, মিশিগান, পেনসিলভেনিয়া থেকেও এসেছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।

শান্তি সমাবেশের কঠোর সমালোচনা এবং কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল দাবিতে বিএনপি, তারেক পরিষদ আন্তর্জাতিক কেন্দ্রীয় কমিটি, জাতীয়তাবাদী ফোরাম, যুবদল, ছাত্রদল, জাসাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও স্লোগান দেন। কর্তব্যরত পুলিশ এ সময় আরও বেশি সক্রিয় হয় যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। তবে উভয় দলের শীর্ষ নেতারা সার্বিক সজাগ থাকায় কোনো ধরনের মারদাঙ্গা পরিস্থিতি ছাড়াই অপরাহ্ন ৫টায় কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে। বিক্ষোভ প্রদর্শনের শেষ পর্যায়ে বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে মিডিয়ার সামনে সংগঠনের মুখপাত্র কে হবেন তা নিয়ে। এ ছাড়া ক্যামেরা ঝলসে উঠলেই মাইক হাতে নিয়ে বক্তৃতা করার প্রবণতায় অন্যরা ক্ষেপে যান। এক পর্যায়ে বিএনপির কর্মীরা মারধরে লিপ্ত হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা উল্লেখ করেন।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.