আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিন্ডিকেটের দখলে পিরোজপুর স্বাস্থ্য বিভা

পিরোজপুর স্বাস্থ্য বিভাগে প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকার একটি টেন্ডার সিন্ডিকেটের দখলে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে এমএসআর সামগ্রী সরবরাহ টেন্ডারটি ওই সিন্ডিকেট প্রতি বছর উৎকোচের বিনিময়ে নির্দিষ্ট এক ঠিকাদারকে পাইয়ে দিয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছর ওই ঠিকাদারের পারিবারিক চারটি লাইসেন্সে এই টেন্ডারটি পেয়ে আসছে।

তবে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. আবদুল গনি জানান, তার কার্যালয়ে পর্যাপ্ত লাইসেন্স থাকায় নতুন লাইসেন্স দেওয়া হয় না। এ ব্যাপারে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি রয়েছে। তারাই যাচাই-বাচাই করে লাইসেন্স দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেয়। এখানে তার কোনো ভূমিকা নেই। সিন্ডিকেটের দখলে টেন্ডার থাকার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। লাইসেন্স যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য, পিরোজপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শঙ্করকুমার ঘোষও নতুন লাইসেন্সের ব্যাপারে একই কথা বলেন। জানা যায়, পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ২৪টি তালিকাভুক্ত লাইসেন্স রয়েছে। কয়েক বছর ধরে এর বাইরে নতুন কোনো লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না। শুধু পুরনো কয়টি নবায়নের সুযোগ দেওয়া হয়, যা পিপিআর আইনবহিভর্ূত। এ বছর টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নতুন ঠিকাদাররা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বার বার ধরনা দিয়েও নতুন লাইসেন্স করার সুযোগ না পেয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। কয়েক বছরের মতো এ বছরও সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ২ সেপ্টেম্বর পুরনো লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স নবায়নের শেষ দিন ধার্য করা হয়েছে। লাইসেন্স নবায়নের পরে এমআরএস সামগ্রী সরবরাহের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছর জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সরবরাহের জন্য এমআরএস সামগ্রী যেমন ওষুধ, লিলেন, যন্ত্রপাতি, গজ ব্যান্ডেজ কটন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার কেমিক্যাল, আসবাবপত্র ও কিচেন সামগ্রী সরবরাহের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এ টেন্ডারটি পেয়েছে বাপ্পি ইন্টারন্যাশনাল (প্রো. শ্রিপা রানী পিপলাই), মুনি্ন ট্রেডার্স (প্রো. এস কে পিপলাই), মেসার্স পিপলাই এন্টারপ্রাইজ (প্রো. সোহাগ কৃষ্ণ পিপলাই) এবং আহসান ব্রাদার্স (প্রো. সত্যকৃষ্ণ পিপলাই)। ২০১১-১২ অর্থবছরেও এ চারটি প্রতিষ্ঠান এই টেন্ডারটি পেয়েছিল। এ বছর টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন, জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সিন্ডিকেট টেন্ডারটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। প্রতি বছর অনেক চেষ্টা করেও এ টেন্ডারে অংশ নিতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নতুন লাইসেন্স করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.