বরিশাল নগরীর বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের এটিএম বুথে গত দুই দিন ধরে টাকা নেই। এতে গ্রাহকরা পড়েছেন চরম বেকায়দায়। টাকা না থাকায় মঙ্গলবার রাতে নগরীর সদর রোডের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে হামলার চেষ্টা চালিয়েছে গ্রাহকরা।পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। অবরোধের কারণে এটিএম বুথের ক্যাশ ফিডিংয়ের (টাকা ভর্তি) জন্য ভেন্ডররা ঢাকা থেকে আসতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকাররা। বরিশাল নগরীর বিএম কলেজ, নতুন বাজার ও কাঠপট্টি রোড এবং নাজিরের পুল এলাকায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথসহ (ফাস্ট ট্র্যাক) বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত বুথের টাকা মঙ্গলবার সকালেই শেষ হয়ে যায়। এ ছাড়া ঢাকা ব্যাংক, ইউসিবিএল, মার্কেন্টাইল, সিটি, যমুনা, প্রিমিয়ার, এবি ও ইসলামী ব্যাংকের টাকা ওই দিন রাতে শেষ হয়ে যায়। ব্র্যাক ব্যাংকের বুথে টাকা থাকলেও নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে কেউ টাকা তুলতে পারছে না। সোনালী ব্যাংকের এটিএম বুথের ডিসপেন্স খারাপ থাকায় সেটিতেও কাজ হচ্ছে না। ব্যাংক এশিয়া, রূপালী ও পূবালী ব্যাংকের বুথ থাকলেও ওই সব বুথে ভিসা কার্ড ছাড়া অন্য কোনো কার্ড দিয়ে টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে না। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গ্রাহকরা। গত মঙ্গলবার রাতে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা
উত্তোলন করতে না পাড়ায় ওষুধ কোম্পানি অপসোনিনের কর্মচারীরা বুথে হামলার চেষ্টা চালায়। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক বরিশাল শাখার কাস্টমার কেয়ার ইউনিট কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, এটিএম বুথে টাকা লোড করতে না পারার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী শুক্রবার ছাড়া এ সমস্যা সমাধানের কোনো উপায় নেই। সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার কর্মকর্তা আবদুল মালেক বলেন, তিন দিন আগে ডিসপেন্সটি নষ্ট হয়েছে। বুথটি ঠিক করার জন্য প্রকৌশলীদের জানানো হয়েছে। কিন্তু অবরোধের কারণে তারা ঢাকা থেকে আসতে পারছে না। ব্র্যাক ব্যাংক হেমায়েত উদ্দিন রোড শাখার কর্মকর্তা মৃণাল রায় বলেন, অন্যান্য ব্যাংকের বুথে টাকা ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে গত মঙ্গলবার থেকে আমাদের ব্যাংকের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। এ কারণে গতকাল সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক বিপর্যয় ঘটে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।