বীরগঞ্জে গতকাল সন্ধ্যায় ১৮ দল এবং বিজিবি সংঘর্ষে ৪জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন-পৌর শহরের মৃত ডা. মসলেম উদ্দিনের পুত্র কবিরাজ হাট জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাইয়ুম (৫৫), ভোগনগর ইউনিয়নের পূর্ব চাউলিয়া গ্রামের মৃত আতিকুল্লাহর পুত্র মোঃ সুলতান (৫০), এলাইগাঁও গ্রামের রবিউল ইসলামের পুত্র মোঃ শামীম (২৫), বিজয়পুর গ্রামের মোঃ হাসান আলীর পুত্র ডা. রাশেদুল ইসলাম (৩৪)। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার পর বীরগঞ্জের ভোগনগর ইউনিয়নের কবিরাজ হাটে ১৮দল একটি মিছিল বের করে। মিছিলকারীরা তাদের মিছিলের পাশ দিয়ে একটি ট্রাককে যেতে দেখে ইট পটিকেল ছুড়ে মারে। এ সময় বিজিবির একটি টহল গাড়ী ট্রাকের পিছু পিছু যাচ্ছিল। ইট পাটকেল গিয়ে বিজিবি'র গাড়ীতে পড়ে। এতে বিজিবি মিছিলে বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ।
মিছিলকারীরা বিজিবির উপর হামলা চালাতে শুরম্ন করলে বিজিবি হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠি চার্জ করার পরে রাবার বুলেট বর্ষণ করে। আধা ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৪জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। আহত সুলতান এবং শামীমকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্ েভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সেখানে সেনা টহল দিতে দেখা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এব্যাপারে বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরমান আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে ব্যসত্দ আছি। তবে সংঘর্ষের কথা পুলিশ স্বীকার করলেও আহত হওয়ার বিষয়টি জানাননি।
এদিকে দিনাজপুর শহরের নিমনগর ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধার পর ৪টি ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সেনা টহল দেখা যায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।