সিলেট নগরীর লালাদিঘীর উত্তরপাড় জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজের নামে সিটি করপোরেশন থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকা। বরাদ্দের টাকার চেকও বুঝে নিয়েছেন ঠিকাদার। কিন্তু সরেজমিনে ঠিকাদার দেখতে পান ওই এলাকায় এ নামে কোনো মসজিদই নেই। পরে তিনি টাকা ফেরত দেন সিটি করপোরেশনকে। অভিযোগ উঠেছে, সিটি করপোরেশনের ১১ নাম্বার ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী অমিয়াংশু চক্রবর্তীই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া মসজিদের নামে প্রকল্প দেখিয়ে এ টাকা বরাদ্দ করিয়েছিলেন। এমনকি জামানত ও ভ্যাট-ট্যাঙ্ রেখে বাকি টাকার একটি খোলা চেক দিতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে চাপও দিয়েছিলেন প্রকৌশলী অমিয়াংশু। কিন্তু ঠিকাদার সম্মত না হওয়ায় ভুয়া মসজিদের নামে টাকা আত্দসাৎ সম্ভব হয়নি। তবে উপ-সহকারী প্রকৌশলী অমিয়াংশু চক্রবর্তী বলেন, 'মসজিদের নাম ভুল হওয়ায় ঠিকাদার চেক ফেরত দিয়েছেন। এতে কোনো অনিয়ম হয়নি।'
জানা যায়, প্রায় ৩ মাস আগে সিলেট নগরীর বিভিন্ন মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ সময় ১১ নাম্বার ওয়ার্ডের লালাদিঘীর উত্তরপাড় জামে মসজিদের নামে প্রায় ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, সিটি করপোরেশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অমিয়াংশু চক্রবর্তী সভাপতি ও সম্পাদক বানিয়ে ভুয়া ওই মসজিদের নামে আবেদনটি করান। করপোরেশন থেকে বরাদ্দকৃত টাকার চেকও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বনফুল এন্টারপ্রাইজের নামে ইস্যু করা হয়। এর পর থেকে প্রকৌশলী অমিয়াংশু চক্রবর্তী ঠিকাদারকে জামানত ও ভ্যাট-ট্যাঙ্ রেখে বাকি টাকার খোলা চেক দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু ঠিকাদার খোলা চেক না দিয়ে মসজিদের নামে দিতে চাইলে প্রকৌশলী অমিয়াংশু তা নিতে রাজি হননি। একপর্যায়ে ঠিকাদার খুররম এলাকায় গিয়ে লালাদিঘীর উত্তরপাড় জামে মসজিদের অস্তিত্ব না পেয়ে ভুয়া বিল তৈরির বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। কিন্তু উপ-সহকারী প্রকৌশলী অমিয়াংশু প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানের আস্থাভাজন হওয়ায় বিষয়টি প্রথমে চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।