আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারাগারে পাঠ্যবই পেয়েছেন ঐশী

বাবা পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান এবং মা স্বপ্না বেগম হত্যাকাণ্ডের মামলায় ঐশীর বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়ার পর রোববার কারাগারে খোঁজ নিয়ে এই তথ্য জানা যায়।

গত বছরের ১৬ অগাস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের একটি ফ্ল্যাটে এসবি পরিদর্শক মাহফুজ ও স্বপ্নার লাশ পায় পুলিশ। পরে তাদের মেয়ে ঐশী থানায় ধরা দিয়ে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বলে পুলিশ জানায়।

ঢাকার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী ঐশী অপ্রাপ্তবয়স্ক বিবেচনায় প্রথমে তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল, পরে বয়সের প্রমাণ পেয়ে তাকে কাশিমপুর কারাগারে নেয়া হয়।

কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, “সামনে তার (ঐশী) পরীক্ষা।

ইতোপূর্বে  আদালত তাকে পাঠ্যবই সরবরাহের নির্দেশ দিলে গতকাল (শনিবার) দুপুরে তার চাচা লুৎফর রহমান কিছু পাঠ্যবই দিয়ে গেছেন।

“ঐশী এখন ওই সব বই পড়ছে। লেখাপড়ার ফাঁকে ক্যারম ও লুডুও খেলছে। ”

ঐশী যে কারাগারে রয়েছে সেখানে বন্দির সংখ্যা ২৬৯ জন বলে কারাধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন। এর মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১২ জন এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ২০-২৫ জনের মতো।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে পুলিশ ঐশীসহ চারজনকে আসামি করে দুটি অভিযোগপত্র রোববার সকালে ঢাকার আদালতে দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ।

একটি অভিযোগপত্রে ঐশীর সঙ্গে তার বন্ধু মিজানুর রহমান রনি ও আসাদুজ্জামান জনিকে আসামি করা হয়েছে।

অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিশোর আদালতে বিচারের সুপারিশ করে ঐশীদের বাড়ির গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন সুমী বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে আলাদা অভিযোগপত্র।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু আল খায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই পর্যন্ত যতগুলো প্রমাণ পুলিশ হাতে পেয়েছে তাতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে ঐশীই তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.