রাজতন্ত্র বা সামন্ততন্ত্রে এমনকি ঔপনিবেশিক শাসনেও রাষ্ট্র আইনের দ্বারাই পরিচালিত হয়। মোগল আমলেও আইন ছিল, ইংরেজরাও শাসনকাজ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় আইনকানুন প্রণয়ন করে। তবে রাজতন্ত্রে বা ঔপনিবেশিক আমলের সে আইন অনেক ক্ষেত্রেই রক্ষা করে শাসকদের স্বার্থ। অনেক আইন প্রজার স্বার্থ রক্ষা করলেও যেখানে রাজা এবং প্রজার মধ্যে বিবাদ সেখানে আইন-আদালত রাজাকেই রক্ষা করে প্রজাকে নয়। কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তাই গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সমার্থক।
গণতন্ত্রে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন নিয়ে যে সরকার গঠন করে তা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য হলেও তার স্থায়িত্ব সম্পর্কে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়। সরকার পুরো মেয়াদও থাকতে পারে অথবা যে কোনো সময় বদলেও যেতে পারে। সংসদ টিকে থাকলেও সরকার বদলায়। সংখ্যাগরিষ্ঠের আস্থা হারালেই সরকারের পতন ঘটে এবং নির্বাচিত হয় নতুন সরকার।
একটি সংসদের মেয়াদেই একাধিক সরকার গঠিত হতে পারে একাধিক নেতার নেতৃত্বে। বহু সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তা হতে দেখা যায়।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্র তার স্বাভাবিক নিয়মে সাংবিধানিকভাবেই চলে। তার ব্যবস্থা সংবিধান এবং গণতন্ত্রই করে দিয়েছে। তার জন্য রাষ্ট্রে রয়েছে অনেকগুলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।
স্থায়ী বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসন তো আছেই। তারা পালন করে তাদের সাংবিধানিক এবং আইন দ্বারা অর্পিত দায়িত্ব। তা ছাড়া রাষ্ট্রে অরাজকতা প্রতিরোধে এবং আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে যেসব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অতন্দ্রপ্রহরীর মতো কাজ করে তা হলো : ১. রাষ্ট্রপতি, ২. সুপ্রিমকোর্ট, ৩. নির্বাচন কমিশন, ৪. পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং ৫. মহাহিসাবরক্ষক ও নিয়ন্ত্রক। এর বাইরে মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখতে এবং রাষ্ট্রকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে রয়েছে মানবাধিকার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন। নির্বাচিত সরকার থাকা না-থাকার সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পর্ক নেই।
সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রের অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাওয়াই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব।
রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ অকার্যকর হয়ে পড়ছে এমন কথা মাঝে মাঝেই শোনা যায়, আমরা তা বিশ্বাস করি বা না-ই করি। তা না করলেও আমাদের বিবেচনা করে দেখা উচিত আমাদের রাষ্ট্র অকার্যকর হয়ে পড়ছে- এ কথাটি উঠছে কেন? কী কী কারণে একটি রাষ্ট্র অকার্যকর হয়? ঘন ঘন সরকার পতনে কোনো রাষ্ট্র তো অকার্যকর হয় না। তা যদি হতো তা হলে তো জাপান বা ইতালি অনেক আগেই অকার্যকর হয়ে যেত।
রাষ্ট্র অকার্যকর হয় যখন তার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে অথবা সেগুলোকে নির্বাহী বিভাগের দাপটে দুর্বল করে রাখা হয়।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে। এখানে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো তো দূরের কথা, গাছের পাতাটিও রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান ও তার আস্থাভাজনদের কথা ছাড়া নড়ে না। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান যদি আত্দমর্যাদাশীল ও খরব্যক্তিত্বসম্পন্ন হন তাহলে তিনি নির্বাহী বিভাগের চাপ কিছুটা প্রতিহত করতে পারেন বটে, তবে তার ফলে তাকে মূল্যও দিতে হতে পারে। সেই ভয়ে অনেকে কোনো রকম বিবাদে জড়ান না। নির্বাহী প্রধানের বিরাগভাজন না হয়ে যতটুকু করা সম্ভব তাই করেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান বলছে : 'রাষ্ট্রপ্রধানরূপে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অন্য সব ব্যক্তির ঊধের্্ব স্থান লাভ করিবেন'। রাষ্ট্রে যত পদ আছে তার মধ্যে রাষ্ট্রপতির মর্যাদা সর্বোচ্চ। আমাদের সংবিধান তার ৪৯ ধারায় বলছে : 'কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত যে কোনো দণ্ডের মার্জনা বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে কোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে। ' এই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতি প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা ও উচ্চতা বাড়াতে, ক্ষমতা ঘন ঘন প্রয়োগ করতে নয়।
সামরিক শাসনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কিছু কিছু ক্ষমা প্রদর্শন করেছেন।
কোনো হত্যা মামলার অভিযুক্তও তার মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি থেকে ক্ষমা পেয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচিত সরকারগুলো তাদের দলীয় লোকদের শাস্তি রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে মওকুফ করিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন বর্তমানকালে সর্বোচ্চ। ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের জন্য তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এ পর্যন্ত আমরা যা দেখেছি তাতে মার্জনা পাচ্ছে শুধু ক্ষমতাসীন দলের অপরাধীরাই- বিরোধী দলের কারও ক্ষমা নেই।
এ কারণে সাংবিধানিক এই সর্বোচ্চ পদটির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আইনের শাসন তো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেই। নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেওয়ায় এর আগের সরকারের সময় একজন রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হয়।
রাষ্ট্রের সবচেয়ে অসহায় ও দুর্বল নাগরিকটির শেষ ভরসার স্থল সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট। বাংলাদেশে নানা রকম অপরাধ যেমন বেশি, বিচারাধীন মামলার সংখ্যাও বিরাট।
সঠিক সংখ্যাটি বলা যাচ্ছে না, শুনেছি ২৮ লাখ মামলা বিচারাধীন। বহু মামলা অতিরিক্ত চাপের কারণে উচ্চ আদালতে ঝুলে আছে। এর মধ্যে যোগ হচ্ছে রাজনৈতিক মামলা। এসব মামলায় অভিযুক্তদের সবাই বিরোধী দলের বা তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী। যথাসময়ে ন্যায়বিচার পাওয়া আজ দুরূহ হয়ে পড়েছে।
ফলে আইনের শাসন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আইনের শাসনের অভাব গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতি।
নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না। নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের একটি শাখার মতো।
দুই বছরি সেনাসমর্থিত সরকারের সময় নির্বাচন কমিশন যতখানি ক্ষমতা অর্জন করেছিল, মহাজোটের সময় স্বেচ্ছায় নির্বাচন কমিশন তার সেই ক্ষমতা কমিয়ে নিয়েছে। সেটা যে নিজেদের বিচার-বুদ্ধি মতো করেছে তা নয় উচ্চতর পরামর্শে বা নির্দেশে। আমাদের নির্বাচন কমিশন সর্ব দলের প্রতি সমান আচরণ করতে পারছে না। ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে হলে কমিশনকে দশবার ভাবতে হয়। নির্বাচন কমিশন আজ্ঞাবাহী বলেই বিরোধী শিবির থেকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উঠেছে।
মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের পদটি গণতন্ত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে তার সাংবিধানিক দায়িত্ব সম্পর্কে মানুষ খুব কমই জানে। তার ক্ষমতার প্রয়োগ বিশেষ দেখা যায় না। রুটিন কাজ হয় মাত্র।
সরকারি কর্মকমিশনের অবস্থাও তাই।
দক্ষ প্রশাসন তৈরির দায়িত্ব এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আর দলীয়করণ সমার্থক। সরকারি দলের অযোগ্য লোককে অথবা সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের অনুগ্রহভাজনরা নিয়োগ পান, যোগ্যতর ব্যক্তির সুপারিশ করার কেউ না থাকায় বাদ পড়েন। এভাবে প্রশাসন ও রাষ্ট্র দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে পড়েছে। সাংবিধানের 'মৌলিক অধিকার' অংশের ২৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা কোনো পদ লাভে সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগের ব্যবস্থা থাকবে।
কোনো রাষ্ট্রীয় পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো রকম বৈষম্যতা করা যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশে কি আমরা তাই দেখি? পদোন্নতির ক্ষেত্রেও যোগ্যতাই কি বিবেচিত হয়? সরকার অনুগত না হলেই কেন ওএসডি?
সুপ্রিমকোর্টের একটি মামলার রায়ে বলা হয়েছিল, সংবিধানের ১৪০ এবং ১৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কর্মকমিশনের কাছে সরকারের পরামর্শ চাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। তবে সুদক্ষ প্রশাসনের জন্য এবং শাসনকর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে পরামর্শ চাওয়ার বিধানটি সংবিধানে থাকায় সরকার কর্তৃক পরামর্শ না চাওয়া কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ব্যতিক্রম হতে পারে; কিন্তু পরামর্শ না চাওয়া একটি নিয়ম (rule) হতে পারে না। [৫০ ঢাকা ল' রিপোর্টস (এডি) ২৭]।
বাংলাদেশে কোনো বিধানের যদি দুই রকম ব্যাখ্যা করা যায়, যে ব্যাখাটি রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের পক্ষে যাবে সেটাই গৃহীত হবে, অন্যটি অপেক্ষাকৃত ভালো হলেও সেটি নয়।
প্রজাতন্ত্রের কোনো নাগরিক বা কর্মকর্তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনেও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। কিন্তু আলাদা দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাও ছিল। নাগরিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের একজন সাবেক চেয়ারম্যান এক সভায় তার প্রতিষ্ঠানকে আখ্যায়িত করেছিলেন 'নখদন্তহীন বাঘ' হিসেবে। তার কথাটি ভুল ছিল না।
তখন আমি ওই অনুষ্ঠানে তার সামনেই বলেছিলাম, নখদন্তহীন বাঘের চেয়ে মেরুদণ্ডহীন মানুষ আরও বেশি দুর্বল। যা হোক, নির্বাহী বিভাগের চাপে এই রাষ্ট্রে মেরুদণ্ড শক্ত রাখা প্রায় অসম্ভব। মেরুদণ্ড বেশি শক্ত দেখাতে গেলে পদ রক্ষা করাই কঠিন। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি, পূর্ববর্তী সরকারের অথবা বিরোধী দলের নেতাদের দুর্নীতি তদন্তে অথবা তাদের পাকড়াও করে জেলে ঢোকাতে দুদকের প্রবল আগ্রহ। ফলে এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।
ওখানকার কর্মকর্তারা কাজ করছেন আর দশটি নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তার মতো। তারা সরকারি দলের প্রতি খুবই সদয়।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। রাষ্ট্রের সবচেয়ে দুর্বল মানুষটিরও যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় সে ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। কিছুকাল আগে গঠিত হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
এই কমিশন অর্থ ও লোকবলের জন্য সরকারের মুখাপেক্ষী। তা ছাড়া এটির অবস্থাও 'নখদন্তহীন'। কোথাও কোনো মারাত্দক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে সেখানে গিয়ে এই সংগঠনের কর্মকর্তারা চোখের পানি ফেলতে পারেন মিডিয়ার সামনে, কিন্তু অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনতে পারেন না। নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু, বিচারবহির্ভূত হত্যা, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নিপীড়ন, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা প্রভৃতি বিচিত্র মানবাধিকার লঙ্ঘনে মানবাধিকার কমিশন দুঃখ প্রকাশ করছে ব্যবস্থা নিতে পারছে না। অপরাধীদের শাস্তি দিতে পারছে না।
কারণ অপরাধীরা হয় সরকারি কর্মকর্তা অথবা ক্ষমতাসীন দলের লোক। রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের যদি অসীম ক্ষমতা থাকে এবং সেই ক্ষমতার যদি অপ্রতিরোধ্য প্রয়োগ হয়, তাহলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান দুর্বল ও অকার্যকর হয়ে যায়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অর্থহীন হয়ে পড়ে। পরিণামে রাষ্ট্র হয়ে যায় অকার্যকর। ভালো ও কার্যকর গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকেই নির্বাহী বিভাগের করুণার পাত্র করা যাবে না।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত সরকারও স্বৈরাচারী হতে পারে, জনস্বার্থবিরোধী হতে পারে। রাষ্ট্র কর্তৃত্ববাদী ও স্বেচ্ছাচারী হলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিপন্ন হয়। এ দেশের মানুষ অগণতান্ত্রিক পাকিস্তানি সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে করতেই স্বাধিকারের প্রশ্ন উঠেছে। স্বাধিকারের জন্য সংগ্রাম করতে করতেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে।
অকাতরে প্রাণ দিয়েছে মানুষ। লক্ষ্য একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। স্বাধীনতার পরেও সব রকম সামরিক ও বেসামরিক স্বৈরশাসনের মধ্যে গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে জনগণ। গণতন্ত্র শুধু নির্বাচিত সরকার নয়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর বা নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ করে আইনের শাসন ও গণতন্ত্রকে কার্যকর এবং সুসংহত করা সম্ভব নয়।
লেখক : গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।