ক্রিকেটে আয়োজনের কিছুই বাকি রাখল না বাংলাদেশ। এখন শুধু একটাই অপেক্ষা বড় আয়োজনের শিরোপা। ১৯৮৮ সালে এশিয়া কাপের মধ্যে দিয়ে ক্রিকেটে বড় আসর বসে বাংলাদেশে। এর ১০ বছর পর ১৯৯৮ সালে টেস্টভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে বসে নকআউট পর্বের আইসিসি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশ তখন টেস্ট স্ট্যাটাস পাইনি বলে নিজ দেশে এ আসরে অংশ নিতে পারেনি। একই বছর বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় ত্রিদেশীয় ইনডিপেনডেন্স কাপ। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে অভিষেক ও ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে টেস্ট ও ওয়ান ডে ম্যাচের ছড়াছড়ি। ১৯৯৯ সালে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি ২০০০ সালে ঢাকায় দ্বিতীয়বারে মতো এশিয়া কাপের আসর বসে। একই বছরের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে লড়াই দিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয় টেস্ট আয়োজনের যাত্রা। টেস্টভুক্ত প্রতিটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশে ওয়ানডে বা টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ এককভাবে আয়োজন করে অনূধর্্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর।
আয়োজনের দিক দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে যায় ২০১১ সালে। এক সময়ে স্বপ্নেও ভাবা না গেলেও সেই দুনিয়া কাঁপানো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর বসে বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথ আয়োজক হলেও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের যাত্রা হলেও এত সুন্দর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিশ্বের কোথাও হয়নি। যে কটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সেখানেও ছিল সুষ্ঠু আয়োজনের ছাপ। ২০১২ সালে বাংলাদেশে তৃতীয় ও চলতি বছরে বাংলাদেশ চতুর্থবারের মতো এশিয়া কাপের আয়োজন করে। বাকি ছিল শুধু বর্তমান বিশ্বে ক্রিকেটে আকর্ষণীয় ইভেন্ট টি-২০ বিশ্বকাপ। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টপ-১০এ ভারত ও পাকিস্তানের খেলার মধ্য দিয়ে ক্রিকেটের সব আয়োজনই পূর্ণ হল। শুধু পুরুষ নয় একই সঙ্গে চলবে মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ। টেস্টভুক্ত দেশগুলোতে ক্রিকেটে সব কটি আসর আয়োজন করার দিক দিয়ে বাংলাদেশই এগিয়ে আছে বলা যায়। ক্রিকেটে এখন শুধু ঢাকা বা চট্টগ্রাম নয় আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মর্যাদা লাভ করেছে বগুড়া, খুলনা, সিলেট ও নারায়ণগঞ্জের স্টেডিয়ামগুলো। সুষ্ঠু আয়োজন ও ক্রিকেটে আলাদা উন্মাদনা আছে বলে আইসিসি বাংলাদেশকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। টি-২০ বিশ্বকাপই শেষ নয়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও আন্তর্জাতিক আয়োজন হবে তা নিয়ে কারোর সংশয় নেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।