'আমার এবং দলের জন্য এটি খুবই ভালো স্কোর। আমাদের কোচ বলেছিলেন, প্রতিটি বলই মনোযোগ দিয়ে খেল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল যত বেশি সম্ভব রান তোলা। আমি ভাবিনি, কোনো রেকর্ড হয়ে যাবে। তবে এই অনুভূতি সত্যিই দারুণ।' ১৪ বছরের এক বালক পৃথ্বী পঙ্কজ। মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে গতকাল দুর্দান্ত এক রেকর্ড গড়ার পর এভাবেই কথা বলছিল সে। রিজভি স্প্রিংফিল্ডের এই অধিনায়ক অনূধর্্ব-১৬ স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সেন্ট ফ্রান্সিসের বিপক্ষে ৫৪৬ রানের এক অবিশ্বাস্য স্কোর করে। যে কোনো বয়সী ভারতীয় হিসেবে এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। এর আগে ১৯৩৩-৩৪ মৌসুমে দাদাভাই হাভিওয়ালা রেলওয়ের পক্ষে ৫১৫ রান করেছিলেন। প্রায় ৮০ বছর পুরনো রেকর্ডটা ভেঙ্গে দিল ১৪ বছরের এক বালক!
ভারতীয় হিসেবে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেললেও রেকর্ড বুকে এর চেয়েও বেশি ব্যক্তিগত ইনিংস রয়েছে দুটি। ১৮৯৯ সালে ইংলিশ ব্যাটসম্যান কলিনস করেছিলেন ৬২৮ রান। ১৯০১ সালে অ্যাডি করেছিলেন ৫৬৬ রান। তবে ১৪ বছরের পৃথ্বী পঙ্কজের ইনিংসটা বিশেষ কিছুই। প্রথমদিনে ২৫৭ রান করেছিল ১৬৬ বলে। দ্বিতীয়দিনে আরও ২৮৯ রান যোগ করে! দলের প্রথম ইনিংসে ৮৯৯ রানের ৫৪৬ রানই তার! ৮৫টি চার এবং ৫টি ছয়! লর্ড হারিস শিল্ড টুর্নামেন্ট। ১৯৮৮ সালে বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে ১৪ বছরের এক বালক খেলতে নামল। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এই জুটি দলের খাতায় যোগ করল ৬৬৪ রান! ১৪ বছরের সেই বালক একদিন ক্রিকেট সম্রাট হিসেবে ক্রিকেট থেকে অবসরে যান। তিনি শচীন টেন্ডুলকার। ১৯৮৮ সালের ১৪ বছরের এক বালক যখন অবসরে গেলেন তখন আগের ১৪ বছরের বালকের আগমন। আগামী ২৪ বছর পর হয়ত বলা যাবে এই বালক শচীনের উত্তরসূরি হয়েছে কিনা। তবে বর্তমানে তাকে পরবর্তী শচীন ভাবছেন অনেকেই। এখন দেখার বিষয়, শচীন যেখানে শুরু করেছিলেন সেই বিন্দুতে শুরু হওয়া পৃথ্বী রাজ শচীনের বিন্দুতে এসে শেষ করতে পারে কিনা! ভবিষ্যতটা ছেড়ে দেওয়া যাক সময়ের ঘাড়ে। সত্যিটা হলো, শচীনের সংস্পর্শেই পৃথ্বী পঙ্কজ শচীনকে স্পর্শ করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। এক ইনডোর অনুশীলনে শচীন টেন্ডুলকার তাকে টিপস দিয়েছিলেন। শচীন নাকি পৃথ্বীকে বলেছিলেন, শান্ত থাক এবং উইকেটে নিজের উইকেটটা বিলিয়ে দিও না। ১৪ বছরের বালক তো শচীনের কথা শতভাগই রাখল। ফলাফলটাও পেয়ে গেল হাতে হাতে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।