ও পথ মাড়িও না যে পথ তুমি চেননাকো----
জয়শ্রী , অভিনেতা পীযুষ বন্দোপাধ্যায় এর স্ত্রী তাদের পোষা কুকুরটিকে ভালোবেসে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়েছিলেন । আর যাবে কোথায় ! মুহূর্তেই মার মার কাট কাট শব্দে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ল ফেবুতে । জাতীয় পতাকা দিয়ে পোশাক বানিয়ে তা কুকুরকে পরানোর রীতি আমরা আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া তে দেখতে পাই । ওখান থেকেই মুলত উৎপত্তি বিষয়টির । আন্তর্জাতিক একটি কুকুর রেস ও দর্শনীয় কুকুর প্রতিযোগিতায় প্রতিটি কুকুরকে তার নিজ নিজ দেশের পতাকা নির্মিত পোশাক পরানো হয়েছিল ।
কুকুর মুসলিম ধর্মীয় দৃষ্টিতে একটি অননুমোদিত জীব যা লালন পালনে নিষেধাজ্ঞা আছে । বাংলাদেশে অবশ্য এই নিয়ম সবাই পালন করে না বরং ঘরের কাজের লোকেদের চেয়ে কুকুরের খাবার বাজেট বহুগুন বেশী । আমেরিকার অনেক মডেল পতাকা দিয়ে বিকিনি বানিয়ে দেহ বল্লরী প্রদর্শন করে । বাঙ্গালী ললনারা কিছুদিন আগে মুখে পাকিস্তানের পতাকা একে মিরপুর স্টেডিয়ামকে উজ্জ্বল করেছিলেন । বাংলাদেশে পতাকার অবমাননা সাধারনত পতাকাকে নিচে রাখা, পা দিয়ে পদদলিত করা , অযত্ন করা , রাতে পতাকা ওড়ানো ইত্যাদিকে বোঝায় ।
পতাকা পোড়ানো একটি গুরুতর অপরাধ । বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে ইসলামিক দলগুলো মারকিনি পতাকা পুড়িয়েছে , পাকিস্তানের সময়েও দেখেছি ইসরায়েলের পতাকা পোড়াতে । যদিও আমার জানা নেই বাংলাদেশে কোন আইন বিদ্যমান আছে কি যে আপনার প্রিয় পশুকে পতাকা দিয়ে মোড়ানো যাবেনা । মনে হয় নেই । ঢাকায় অনেক যুবককে দেখেছি জাতীয় পতাকা দিয়ে শার্ট বানিয়ে দিব্বি ঘুরছে ।
আমার বাসায় সকালে সবার অনুপস্থিতিতে যে চোরটা দেয়াল টপকে ঢুকেছিল তার গায়ে ঐ পতাকার শার্ট পরা । ধাওয়া দিতেই সে পালিয়েছিল ।
জয়শ্রী কি পতাকার অপব্যাবহার করেছেন ? যদি বিদ্যমান আইনে তা অপরাধ হয় তবে এজন্য তার শাস্তি হওয়া উচিৎ । সাথে সাথে অন্য দেশের পতাকা পোড়ানোর সংস্কৃতিটা বন্ধ হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস ।
সামুর সহযাত্রীদের মন্তব্য আশা করছি ।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।