১০২১-২২ খ্রিস্টাব্দে ত্রিলোচন পাল গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হন এবং তার পুত্র ভীমপাল সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১০২৮ খ্রিস্টাব্দে ভীমপালের মৃত্যুর পর হিন্দুশাহী রাজবংশের পতন ঘটে। ১০১৪ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মাহমুদ থানেশ্বরে অভিযান পরিচালনা করেন। হিন্দুরা তার বিরুদ্ধে তুমুল যুদ্ধ করেও শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয় এবং তিনি থানেশ্বর অধিকার করেন। সুলতান মাহমুদ ১০১৫ থেকে ১০২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দুবার কাশ্মীর বিজয়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু দুবারই তার চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। সুলতান মাহমুদ তার পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করেন হিন্দুস্তানি সাম্রাজ্যের রাজধানী ও প্রাণকেন্দ্র কনৌজের বিরুদ্ধে। ১০১৮ খ্রিস্টাব্দে এক বিরাট সৈন্যবাহিনীসহ তিনি গজনী ত্যাগ করেন। পথে তিনি সব দুর্গ অধিকার করেন। বারণ বা বুলান্দশরের রাজা তার অধীনতা স্বীকার করে ১০ হাজার লোকসহ ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। অতঃপর তিনি তৎকালীন ভারতের সর্বাপেক্ষা সমৃদ্ধশালী নগরী ও হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় কেন্দ্র মথুরা আক্রমণ করে তা দখল করেন। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি মাহমুদের হস্তগত হয়। মথুরার পর মাহমুদ বৃন্দাবন অভিমুখে রওনা হলেন। বৃন্দাবনের দুর্গ ও মন্দিরগুলো লুট করে তিনি বহু অর্থ ও সম্পদ হস্তগত করলেন। ১০১৯ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে সুলতান মাহমুদ কনৌজের তোরণ দ্বারে উপনীত হন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।