চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনায় তৃতীয় দফা উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়সহ আওয়ামী সমর্থিতদের ৩০টি দোকান ভাঙচুর, কিশোরগঞ্জে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ও কুলিয়ারচরে বিএনপি কর্মীকে ছুরিকাঘাত এবং নেত্রকোনায় পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট। চাঁদপুর : নির্বাচনের দিন বিকালে হাজীগঞ্জের বেলঘর বাজারের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। রাতে তারা আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের প্রায় ৩০টি দোকানে ভাঙচুর চালায়। গতকাল যুবলীগ নেতা মানিকের বসতঘরে হামলা ও ছেঙ্গাতলী এলাকায় দুটি হিন্দু বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে। এদিকে ছেঙ্গাতলী, রাজারগাঁও ও রামচন্দ্রপুর বাজারে বিএনপি সমর্থিতের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। কিশোরগঞ্জ : সদর উপজেলার কর্শা কড়িয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এজন্য বিএনপি সমর্থকদের দায়ী করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এ সময় হামলাকারীরা অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। কুলিয়ারচরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে কুলিয়ারচরের মধ্য সালুয়া গ্রামে বিএনপি কর্মী সুমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। স্থানীয় যুবলীগের কয়েক নেতা তার ওপর এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া একই গ্রামের বিএনপি কর্মী তাহের ও জহিরের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। নেত্রকোনা : সদর উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত বিএনপি দলীয় প্রার্থীর হয়ে কাজ করায় হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ধারিয়া গ্রামের সুমন জানান, বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় তাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর করেছে প্রতিপক্ষ। এ সময় ওই এলাকার কামালের বাড়িও ভাঙচুর করে তারা। তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল জানান, এটি বিএনপির দলীয় সমস্যা। তারাই এ ভাঙচুর করেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।