আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতীয় সংগীতে প্রেরণা খুঁজছেন মুশফিকরা

এশিয়া কাপে হারের ধাক্কাটা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিমরা টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে। আইসিসির আরেক সহযোগী দেশ নেপালকেও দাঁড়াতে দেয়নি। আইসিসির দুই সহযোগী দেশকে উড়িয়ে দেওয়ার পর আরেক সহযোগী দেশ হংকংয়ের কাছে হেরে যান টাইগাররা। মুশফিকদের এ হার মানতে পারেননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। ক্রিকেটাররা সমালোচিত হন তুমুলভাবে।

টালমাটাল হয়ে পড়ে তাদের আত্দবিশ্বাস। হংকং ম্যাচের ধাক্কাটা যে সামাল দিতে পারেননি ক্রিকেটাররা, সেটা বোঝা গেল চূড়ান্ত পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের সূচনা ম্যাচে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করে হেরে যান ৭৩ রানে। গত এক মাসে তিনটি এবং পাঁচদিনে দুই হার জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নের। হারের তলানিতে চলে আসা আত্মবিশ্বাসকে ফিরে পেতে চেষ্টার কমতি নেই ক্রিকেটারদের।

কাল নিজেদের ফিরে পেতে লাখো কণ্ঠের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মুশফিকরা গেয়েছেন জাতীয় সংগীত, 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি'। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ভিআইপি গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গেয়ে পরের তিন ম্যাচে ভালো খেলার প্রেরণা খুঁজেছেন ক্রিকেটাররা। উজ্জীবিত, উদ্দীপ্ত হতে চেয়েছেন মুশফিক, সাকিব, মাশরাফিরা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগের চার ম্যাচের দুটি জিতেছিল টাইগাররা। হংকং ম্যাচের পরও ক্রিকেটপ্রেমীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ভালো কিছুর।

অতীত সহায়তা করেছিল তাদের। কিন্তু ঘরের মাঠে টাইগারদের খুঁজেই পাওয়া যায়নি। দেখা গেছে অপরিকল্পিত ক্রিকেট খেলতে। এতটাই অপরিকল্পিত ক্রিকেট খেলেছেন মুশফিকরা যে, দেশসেরা বোলার সাকিব আল হাসানকে বোলিংয়ে আনেন ১৩ নম্বর ওভারে। এতে জন্ম দেয় বিস্ময়ের।

এছাড়া ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বাজে ফিল্ডিংও প্রশ্ন তুলেছে সামর্থ্য নিয়ে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ পরপর দুই বলে দুটি ক্যাচ ছাড়েন গেইলের। দুটিই বাউন্ডারি হয়। এছাড়া মুশফিকও দুই দুটি বাই চার দেন, মিস ফিল্ডিং করেন এনামুল হক বিজয়, সাবি্বর রুম্মনরা। ব্যাটিংয়েও মুশফিকদের ছিল তাড়াহুড়া।

বড় কোনো জুটি গড়ার কোনো ইচ্ছাই দেখা যায়নি তাদের মধ্যে। খেসারত গুনেছেন বড় ব্যবধানে হেরে।

কাল স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন সুর করে জাতীয় সংগীত গেয়ে গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। ঠিক একই সময়ে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সবাই জাতীয় সংগীত গেয়েছেন মিরপুর স্টেডিয়ামে। বিশ্বরেকর্ডের অংশীদার হতে পেরে ভালো লাগছে বলে জানান টাইগার অধিনায়ক মুশফিক, 'অন্তত একটি ভালো কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি।

বিশ্বরেকর্ডের অংশীদার হতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করছি ক্রিকেট খেলেও আমরা বিশ্ব দরবারে দেশকে ভালোভাবে উপস্থাপন করব। ক্রিকেটই একমাত্র খেলা, যা পুরো জাতিকে এক সুতোয় গাঁথা। এটা অনেক বড় মেসেজ আমাদের জন্য। ইনশাল্লাহ আমরাও তাদের সঙ্গে থাকব।

'

জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই গাইছেন জাতীয় সংগীত। এবারের টি-২০ বিশ্বকাপেও ম্যাচ শুরুর আগে গেয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম লাখো কণ্ঠের সঙ্গে সুর মিলিয়ে গাইলেন। এই গাওয়ার অনুভূতি একেবারেই অন্যরকম বললেন সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা, 'জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় সবার মধ্যেই অন্যরকম একটা অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আজও (কাল) সে রকমই হয়েছে।

খুব ভালো লাগছে যে, দেশের সবাই এক সঙ্গে গান গেয়েছেন। আমরাও গেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে। '

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে খেলা না খেলার মধ্যে ছিলেন মাশরাফি। শেষ মুহূর্তে ফিটনেস টেস্ট উতরে খেলেছেন।

কিন্তু ম্যাচে পুরোপুরি সুস্থ মনে হয়নি তাকে। তারপরও ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে হারের পর সাবেক অধিনায়কের মনে হয়েছে, সব বিভাগেই উন্নতি করা উচিত, 'নির্দিষ্ট কোনো বিভাগ নয়, সব বিভাগেই উন্নতি করতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে যদি আমাদের ফিল্ডিং ও ব্যাটিংটা আরেকটু ভালো হতো, তাহলে হয়তো আমরা জিততে পারতাম কিংবা আরেকটু ভালো হতো ম্যাচের ফল। '

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.