কালই আমার বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিলো ফেসবুকে। আগামী লেখাটা লিখবো কি নিয়ে। ও বলল, বৈশাখ নিয়ে লিখ। তা লিখবো। কিন্তু আমার মনে যে অন্য প্যাঁচ তা বেচারি বুঝবে কেমন করে? মনে মনে হাসছি।
টপিকতো আমি আগেই ঠিক করে রেখেছি। চ্যাঁটিং এর ওই হল এক জ্বালা, মুখ দেখা যাই না। ওপাশে কার কেমন প্রকাশভঙ্গি তা ঠিক বঝা যাই না। তাই এর মাঝে গোঁজামিল থেকেই যায়। আর এই সুযোগে কতগুলো ছেলে-মেয়েরা হিজরা সেজে জঘন্য এক সাইবার তৃপ্তি মেটাতে উঠে পরে লাগে।
ধিক!!!
ছাত্রত্ব ঘুচেছে কবছর হল। কিন্তু রেশ কাটতে চাইনা। হয়তো আর সবার মতো এখনও সংসার পাতা হয়নি বলেই এমন হচ্ছে। কিন্তু আমার এই থাকা বেশ লাগে। না! কি লিখতে চাইছি আর কি সব লিখছি!!! আজব!!!
আজ ২৯ মার্চ।
আমার সব থেকে প্রিয় বন্ধুর জন্মদিন। আমার জন্য বিশেষ এক দিন। আমার জীবনের সব থেকে দারুন সময়গুলো কেটেছে রাবিতে। তাই বন্ধুর জন্মদিনে সেই রাবির দিনগুলোতেই ফিরে যাচ্ছি। দেখি সব মনে আছে কিনা! একই দিন, ২০০৫।
বন্ধুসংখ্যা ছিল মেলা তাই মোটামুটি সব মাসেই এটা থাকতো। কিন্তু বেষ্ট তো বেস্টই। সম্ভবত ২৯ এর দু-একদিন আগে ও বলল, যে সবাইকে নিয়ে বিকেলটা ঘুরতে চাই। প্লান কর। মোটামুটি ঠিক হয়ে গেলো।
বিশাল এক বহর। রাসেল, সুখন, আতিক, জামান, আসিফ, আশরাফ, ঝুমু, রাখি, মৌসুমি, বিজলি, রিক্তা, নিমা, কেয়া (আর কেউ কি ছিল!)। সকাল থেকে ডিপার্টমেন্টে ক্লাস করলাম। দুপুরে মেসে ফিরে সবাই যে যার মতো রেডি হয়ে সম্ভবত ৩/৪টা নাগাদ এক সাথে হলাম আমাদের কাম্পাস বাসস্ট্যান্ডে। আরে! বন্ধু আমার নীলাম্বরী হয়ে এসেছে আরে হাতেও দেখি চুড়িও।
সাথে কেয়া! কেয়াকে নিয়ে আমরা সবাই দুষ্টামি করতাম। মানে ওই আর কি... দেখতে ভালই ছিল... পরে অবশ্য ওসব চুকে বুকে করে গেলো! আমরা বসেছিলাম আমাদের ক্যাফেটরিয়াতে। আড্ডা, খাইদাই পর্ব গেলো, কেকের ক্রিম মাখামাখি পর্ব গেলো। ছবিও তোলা হল। আমরা ওকে একটা একুরিয়াম দিয়েছিলাম।
সাথে গোল্ডফিশ। খুব খুশি হয়েছিলিস নারে? কিন্তু ব্যাটা বেশিদিন লাস্তিং করল না!!! শেষ বিকেলে আমরা প্রথমে শহীদ মিনার তারপর প্যারিস রোড হয়ে গোল্ডেন জুবিলী টাউয়ার শেষে সাবাস বাংলাদেশের পাদদেশে বসেছিলাম। আর তুলেছিলাম অনেক গুলো ছবি। সেই ছবিগুলো এখন সদর্পে জ্বলজ্বল করছে আমাদের ফেসবুক পেজে। আমি মাঝে মাঝে এই সব ছবি দেখি আর ভাবি ইস যদি ফিরে যেতে পারতাম আবার সেই দিনগুলোতে।
দারুন মজার ছিল সেই সব দিনগুলো। যদি ফিরে যেতে পারতাম, তবে রাসেলের সাথে ৩ বছর কথা না বলে থাকতাম না, যদি জানতাম মৌ শুধু এক বছর আমাদের সাথে পরবে তাহলে প্রথম থেকেই ওকে বুঝতে চেষ্টা করতাম। আর একবার চেষ্টা করতাম এটা জানতে যে আতিক ঠিক কি চাই, জামান ফ্যান ছাড়া ঘুমায় কেমনে। সুখনের সেই আদর ভরা আঞ্চলিক ভাষা কিংবা সুশান্তর প্রশ্রয়। মনের কৌটা ভরে নিয়ে আসতাম বেঁচে থাকার সঞ্জীবনী।
জানি সেটা সম্ভব নয়। তাই আমার এই লিখার প্রানান্ত চেষ্টা। জানি কিচ্ছু লিখা হচ্ছে না। তবুও চেষ্টা করতে দোষ কি!
বন্ধু জন্মদিনে তের নদী সাত সমুদ্রের ওপারে বসে আছো। কিন্তু তাতে মন খারাপ কর না।
তোমার জন্য রইলো ভালবাসা। আজকের সব ভালো কিছু তোমার জন্য। ভালো থেকো আর চারপাশটাকে একটু ভালো রেখো। শুভ জন্মদিন।
ঢাকা ২৯/০৩/২০১৪।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।