ম্যানিলাভিত্তিক এই সংস্থা বলেছে, চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে।
চলতি বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ার কারণে তা কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৪ এ এডিবি আভাস দিয়েছে, চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমলেও আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।
রপ্তানি আয় এবং রেমিটেন্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি এবং ইউরো ও আমেরিকা জোনে অর্থনৈতিক মন্দা পুনরুদ্ধার প্রবৃদ্ধি বাড়াতে অবদান রাখবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
এশিয়ার উন্নয়নচিত্রের পূর্বাভাস নিয়ে আউটলুক-২০১৪ প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এডিবি।
আগারগাঁওয়ে সংস্থার কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করেন এডিবির ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। ঢাকায় এডিবির মিশনের উপপ্রধান ওলেগ তোনকোনিয়েনকভ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, “৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে গত বছরের শেষের কয়েকটি মাস রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে গত বছরের চেয়ে কম প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। আর সেটা হবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ”
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহ হ্রাস এবং রপ্তানি আয়ের সম্ভাব্য ধীরগতিকে প্রবৃদ্ধি কমার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি।
এর আগে এডিবি জানিয়েছিল, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।
বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, এই হার ৫ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বাভাস হচ্ছে ৬ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে। তবে ব্লুমবার্গ পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।
হরতাল-অবরোধসহ সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি, রানা প্লাজা এবং তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরও চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি আয়ে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।