যে উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ বেতারের বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়েছে, সে উদ্দেশ্য আজো পূরণ হয়নি। সুযোগ ছিল গ্রাম বাংলার প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী বিষয়গুলো জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার। এ অঞ্চলের মানুষও সেটাই চেয়েছিল, কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং এখানকার কর্মকর্তাদের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে অন্ধকারে ডুবতে বসেছে বেতারের বরিশাল কেন্দ্র। ক্ষোভের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন বরিশালের এক সিনিয়র সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী। কথাগুলোর প্রমাণ মেলে সরেজমিন বেতারের বরিশাল কেন্দ্রে গেলে। দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বহু পদ শূন্য রয়েছে। চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে স্টেশনটি। এক যুগের বেশি সময় চুক্তিভিত্তিক কাজ করেও স্থায়ী হতে পারেনি এখানকার ৩০ জন কর্মচারী। ১৯৯৯ সালের ১২ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করা এই কেন্দ্রের ১০ কিলোহার্টজ ক্ষমতাসম্পন্ন নেটওয়ার্ক দিয়ে বরিশাল বিভাগের সর্বত্র শ্রোতাদের কাছে সংবাদ ও অনুষ্ঠানমালা পেঁৗছে দেওয়ার কথা থাকলেও স্টুডিওটির কার্যক্ষমতা হারিয়েছে অনেকাংশে। বর্তমানে বিভাগ তো দূরের কথা জেলার সর্বত্রও পেঁৗছে না বরিশাল বেতারের সংবাদ ও অনুষ্ঠানমালা। এমনকি উপকূলীয় জেলেরাও আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে পারেন না। এ কারণে মাস তিনেক আগে বরিশাল কেন্দ্রের অনুষ্ঠানমালা এফএম ব্যান্ডে (১০৫ মেগা হার্টজ) দেওয়া হলেও বিদ্যুৎ না থাকলে তা চালানো যায় না। লোকবলের পাশাপাশি কেন্দ্রটির বড় সমস্যা বিদ্যুৎ বিভ্রাট। নগরীর মধ্যে হলেও কেন্দ্রটি চলছে পল্লীবিদ্যুৎ দিয়ে। এ কারণে ঘনঘন লোডশেডিঙের ফলে সম্প্রচারে প্রায়শ বিঘ্ন ঘটছে। প্রতিষ্ঠাকালীন ৭৫ কিলো ভোল্ট এম্পিয়ারের (কেভিএ) একটি জেনারেটর দেওয়া হলেও সেটির কার্যক্ষমতা এখন ঠেকেছে ২৫ থেকে ৩০ কেভিএ'তে। পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক লাইন পরিবর্তন করে পিডিবির সংযোগ নেওয়ার জন্য দুই বছর আগে প্রায় ২২ লাখ টাকা জমা দেওয়া হলেও এখনো সংযাগটি পুনঃস্থাপন করা হয়নি। কেন্দ্রটির নিজস্ব অনুষ্ঠানমালার মান একেবারেই যাচ্ছে তাই। অভিজ্ঞ এবং প্রতিভাবান শিল্পীদের কদর নেই এখানে। ভাউচার-সর্বস্ব তৃতীয় সারির শিল্পীর দিয়ে চলে বরিশাল বেতারের যাবতীয় অনুষ্ঠানমালা। -নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।