বিচার বিভাগীয় সদস্যদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানের জন্য সর্বোচ্চ আদালত দফায় দফায় সময় বেঁধে দেয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয় রোববার এ বিষয়ে আদেশ জারি করল।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের বেতন (স্কেল)কাঠামো পুনর্নির্ধারণের এই সিদ্ধান্ত ২০০৯ সালের পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
সে অনুযায়ী ২০১৩ সালের ৮ মের আগ পর্যন্ত বকেয়া টাকা ‘এরিয়ার’ হিসাবে পাবেন নিম্ন আদালতের বিচারক ও কর্মকর্তারা। তবে ওই সময়ের বেতন বাদে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
২০০৯ সালের পহেলা জুলাই সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যে বেতন কাঠামো ঘোষণা করেছিল তা সংশোধন করেই বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের এই বেতন কাঠামো নির্ধারণ করেছে সরকার।
এতে মোট ছয়টি ধাপের সর্বোচ্চ ধাপে মোট বেতন ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা (২৯০০০-১০০X৬-৩৫৬০০) থেকে বেড়ে ৩৯ হাজার ৬০০ টাকা (৩৬০০-১২০০X৩-৩৯৬০০) হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ৩৩ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭ হাজার ৭৫০ টাকা হয়েছে।
তৃতীয় ধাপে ৩১ হাজার ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭ হাজার; চতুর্থ ধাপে ২৯ হাজার ৭০০ থেকে বেড়ে ৩৪ হাজার ২০০ এবং পঞ্চম ধাপে ২৬ হাজার ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৯ হাজার ২০০ টাকা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, জেলা ও দায়রা জজ বা সম পর্যায়ের কর্মকর্তারা পাঁচ বছর চাকরি পূর্ণ হলে সিনিয়র জজ বা সমপর্যায়ে হিসাবে ৪০ হাজার টাকা (নির্ধারিত) স্কেলে বেতন পাবেন।
নির্ধারিত স্কেলের বাইরে সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রতি বছর পোশাক ভাতা পাবেন পাঁচ হাজার টাকা করে।
এছাড়া তাদের আট হাজার টাকা করে আপ্যায়ন ভাতা দেয়া হবে। এছাড়া সবার জন্য মাসিক এক হাজার ২০০ টাকা করে চিকিৎসা ভাতা প্রযোজ্য হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।