আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচারকদের মান আবার হানিও হয়

কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না, ইহাতে উহারা কষ্ট পায়

টিআইবি-র রির্পোটে সরকারের বিচার বিভাগকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ বলায় একে একে মামলা হচ্ছে। আজই তিনটি মামলা হয়েছে। আশা করা যায় এই সপ্তাহের মধ্যেই বিচারকদের মান উপরে তোলার জন্য আরও ডজন ডজন মামলা হতে থাকবে। বিচার বিভাগ ইদানিং কালে মান নিয়ে খুবই সংকটে পড়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এবং আদালতকে অবমাননার দায়ে মাহমুদুর রহমান জেল খাটছেন।

অন্যদিকে বিচার পতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার হত্যা মামলার আসামী ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারা উকিলকেও বিচারপ্রতি হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন। তাতে বিচারকদের মানের কোন হানি হয় না। মানের হানি তখনই হয় যখন বিচারকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ হয়। আদালতের বিচারিক ক্ষমতার একটি নমুনাঃ গত ২৫ আগষ্ট মাসে ঢাকা মহানগর জামাতের আমীর রফিকুল ইসলাম খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কয়েকবার রিমান্ডে নেয়। অন্যদিকে ১৩ নভেম্বরে মতিঝিলে বাস ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়।

আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা এবং তিনি সেসময় অন্য একটি মামলায় আটক আছেন মর্মে প্রমাণ উপস্থাপন করা হলেও সেই বিজ্ঞ আদালত পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আসামীর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেন সরকার পক্ষের আইনজীবিরা। নামঞ্জুর করেন এবং আসামীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের এহেন রায়ের পর সাধারণ জনগণের পক্ষে আদালত সত্যিই নিরপেক্ষ এবং দুর্নীতি গ্রস্থ না তা বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে যায়। টিআইবি- কর্তারা হয়তো আদালতের সামনে দাড়িয়ে কড়জোরে ক্ষমা চাইবেন তাদের রিপোর্টের জন্য অথবা তাদের জেল জরিমানা নিশ্চিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.