একা এই জীবন সমুদ্রে চলছি রাত ১০ টা গুলিস্তান থেকে আসতেছিলাম। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম। কোন কিছু পাই না বাসে আসতেছিলাম। তাতীবাজার মোড়ে আসার পর সিগন্যাল এ আধা ঘন্টা ধরে আটকে আছি। প্রচন্ড মেজাজ খারাপ ট্রাফিক পুলিশ একটা রাস্তা শুধু খোলা রাখছে।
একটু ভাল করে তাকাতেই দেখলাম ওই রাস্তা দিয়ে শুধু ট্রাক যাচ্ছে আর সারজেন্ট প্রতি ট্রাকে চাদা আদায় করে ছাড়তেছে। আর এদিকে আধা ঘন্টা ধরে আমাদের আটকে রাখছে। এক নিরীহ বাস হেল্পার কথাটা এক ট্রাফিক পুলিশকে বলতেই সে ট্রাফিক হেল্পারকে মারতে শুরু করল। হেল্পারও মার দিয়ে পাল্টা জবাব দেয় হটাৎ করে আরও ৩-৪ টা ট্রাফিক পুলিশ এসে মারতে শুরু করে। আমি নিরীহ হেল্পার এর প্রতি অন্যায় আচরণ দেখে থাকতে পারিনি।
এসে ট্রাফিক পুলিশ গুলারে নিজের শক্তি দিয়ে থামানোর চেষ্টা করলাম। কিছুক্ষণ থামিয়ে রাখলাম। কিছুক্ষণ পর আর্মড পুলিশ এসে মারতে যোগ দিল। আমি প্রতিবাদ করলে আমকে শাসাল। তারপর আমার দিকে মারতে তেড়িয়ে আছে।
কিন্তু আমার নির্বিকার চাহনী দেখে ভীত হয়ে আস্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এদিকে হেল্পারকে ৪-৫ টা পুলিশ মিলে মারতেছে। আশে পাশে শত শত মানষ দাড়িয়ে দেখতেছে। কোথায় আমাদের মানবিকতা? যত লোক ছিল আশেপাশে ধরলে পুলিশ মোটেও এত সাহস পেত না। জাতি হিসেবে আমরা নাকি ভাতৃপ্রতিম? এইসব মিথ্যা কথা দয়া করে আর কেউ বলবেন না।
সবাই বলবেন আমরা স্বার্থপর একটা জাতি। শুধু নিজে খাব নিজে বাঁচব এই চিন্তাতে থাকি। বিশ্বজিৎকে মেরে ফেলার সময় সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে? আমাদের নিজেদের লজ্জা পাওয়া উচিত। আসলে আমাদের পুরুষত্ব বলতে কিছু নাই। আমরা এখন মেরুদণ্ডহীন একটা জাতি।
সবার এইটা মেনে নেয়া উচিৎ। আমরা শুধু পারি ৫ বছর পর পর সরকার পরিবর্তন করতে। তারপর সেই দল করে নিজের মেকি পুরুষত্ব জাহির করি । আরবে বসন্ত এসেছে আমি নিশ্চিত সে সব দেশের জনগণ আমাদের মত ছিল না। তাদের নিজেদের দেশের প্রতি,দেশের আরেকজন ভাইয়ের প্রতি মমত্ববোধ ছিল।
একটাই অনুরোধ করে লেখা শেষ করি দয়া করে প্লিজ একটা দিনের জন্য হলেও নিজেকে পরিবর্তন করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।