না চাইলেও কোনো কোনো জিনিস শেষ হয়েই যায়। কোনোভাবেই আটকে রাখা যায় না। যেমন বরফ খণ্ড খুব যত্ন করে হাতের মুঠোয় ধরে রেখেও শেষপর্যন্ত তা আর থাকে না। হাত খালি করে জল হয়ে যায়। রেখে যায় কিছু শীতল অনুভূতি।
ব্যক্তি সম্পর্কটাও যে ঠিক তাই। হাত দিয়ে ধরার সময় মনে হয় মুঠো একদম ভর্তি। কিন্তু শেষপর্যন্ত তার পরিণতি ঐ শীতল অবস্থা। এভাবেই একের পর এক সম্পর্ক তৈরি হতে হতে আর শীতল হতে হতেই জীবনের ঘড়িটার মিনিটের কাটা এগিয়ে যেতে থাকে। আটকানো যায় না।
আসলে সময়কে প্রতিদ্বন্দ্বী করা ঠিক না। কারণ সময়ের সঙ্গে বচসা করে কেউই টিকে নেই আজ পর্যন্ত। এরচেয়ে অনেক ভালো এর সঙ্গে আপোষ করে চলা। কিন্তু আমি কেন পারি না। হেরে যাই বারবার।
জানি হারবো তারপরও তো সময়কে মেনে নিতে আমি এখনও শিখলাম না।
যা প্রথম তাই যে শেষ হবে এমন কথা যে কোনো সংবিধানে লেখা নেই তা আমি জানি। তারপরও তো আবেগ সামলে চলতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে। আবেগী মানুষদের জন্য পৃথিবী বড়ই নিষ্ঠুর। আর যে মোটেই পাত্তা দেয় না ওসব আবেগ টাবেগ, তার কাছে পৃথিবী বড় অনুগত ভৃত্যের মতো আচরণ করে।
থেকে গেলাম আবেগতাড়িত হয়েই। আবেগ বর্জিত হওয়া আর হলো না। সবকিছু তাহাদের মতো হলো না। নিজেকেই সরিয়ে নিলাম এইসব স্নায়ুক্ষয়ী বিষয়আশয় থেকে। ভালো থাকুক তারা।
(রি-পোস্ট) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।