আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রাইব্যুনাল নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক কি করে বিচার প্রক্রিয়ার শাপে বর হতে পারে ?

স্বাগতম আমার নষ্ট করা কাগজের ভীড়ে ।  যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক কি করে বিচার প্রক্রিয়ার শাঁপে বর হতে পারে ? সম্প্রতি ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারপতি নিজামুল হক নাইমের স্কাইপি আইডি হ্যাক করে তার সাথে এক প্রবাসি আইনজিবীর কথোপকোথন রেকর্ড এবং তা প্রকাশ পরবর্তি বিতর্কে শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করলেন । এ নিয়ে সব জায়গাতেই বিভক্তি তৈরী হয়েছে । ঐ দিকে আর যাচ্ছি না । আমার কথা হচ্ছে ,আমি সবসময়ই চাইতাম যে বিচারপ্রক্রিয়া যাতে এমন ক্রিস্টাল ক্লিয়ার হয় যেন বিচার পরবর্তী পর্যায়ে কেউ এমন দাবি করতে না পারে যে নির্দোষরা সাজা পেল কিংবা দোষীরা মুক্তি পেল ।

তাই বিচার হতে হবে একদম অবিতর্কিত এবং স্বচ্ছ । দূভার্গ্যের ব্যাপার এই যে এমন একটা বিচার এ ট্রাইব্যুনাল দ্বারা হবে কিনা এ ব্যাপারে আমি ব্যাপক সন্দিহান । আইন আমি কম বুঝি তবে এ ব্যাপারে আমাকে সমর্থন দেবার মত ব্যাক্তিবর্গ অন্দরে মহলে দেশে বিদেশে গলি ঘুপচিতে নেহায়েত্‍ই কম নয় । আর তাই আমি মনে করি সাম্প্রতিক বিতর্ক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পথে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হতে পারে । এমনটা বলার কারন হচ্ছে এই ,পুর্নগঠিত ট্রাইব্যুনাল কিংবা সংস্কার করা ট্রাইব্যুনাল অনেকাংশে বিতর্কমুক্ত থাকবে ।

ফলে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকবে কম । একেবারেই যে তা শেষ হয়ে যাবে এমনটা নয় এবং এরকম আশা করাটাও বোকামি । স্কাইপির ঘটনা ঘটার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারবিরোধীদের কর্মকান্ডে সাময়িক স্থিতাবস্থাও লক্ষ্যনীয় । এটাও কিছুটা হলেও পক্ষশক্তিকে স্বস্থি দিচ্ছে । এটার প্রভাবও বিচারে পড়তে পারে যা আমলে নেয়ার মত ।

আর ট্রাইব্যুনালকে খেয়াল রাখতে হবে কোনরকম তাড়াহুড়া করে যাতে বিতর্কের জন্ম না দেয় । এখনো এ সরকারের অনেকটা সময় বাকি আছে । আর তাই সময় নেয়া যেতে পারে । তবুও যাতে দোষীদেরকে শহীদ বলার সুযোগ না দেয়া হয় এবং কোন নির্দোষকে শাস্তি দেয়ার অন্যায় না করা হয় ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.