আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
প্রথমেই ক্যানেইডিয়ান বুদ্ধির ঢেকি তথা বলদ বাকশালীটার ফেসবুক ষ্ট্যাটাসটা দেখি;
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম পদত্যাগ করেছেন। আমার দৃষ্টিতে যেটি'র কোনো দরকারই ছিলো না। এমন কিছুই হয়নি যেখানে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। তারপরেও ট্রাইবুনালকে বিতর্কের উর্ধে রাখতে, ট্রাইবুনালকে নিয়ে যাতে কেউ একটি কথা উচ্চারণের সাহস না পায় সে কারনেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হয়ত। জামাত গত ৩ বছর সময়ে এই ট্রাইবুনাল থেকে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমকে সরাবার জন্য কোনো পদক্ষেপ বাকি রাখেনি, কোনো উপায় বাকি রাখেনি।
নোংর
া থেকে নোংরাতম উপায়ে চেষ্টা করেছে তাকে সরাবার। এই পুরো ঘটনাটিতে জামাত শিবির তথা স্বাধীনতা বিরোধীদের উপর আমার যে ক্রোধ, আমার যে আক্রোশ সেটি আমি এখানে এখন না বলি।
আমি শুধু বলি তাদের কথা যারা জামাত শিবির কিংবা বি এন পি'র এই ষড়যন্ত্রে সরাসরি না থেকেও কচ্ছপের মত তাদের খুলি খানা প্রায়ই গর্তের মধ্য থেকে বের করে টুক করে ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতেন। আমি শুধু বলি তাদের কথা যারা সিনেমা দেখার মত এই ট্রাইবুনাল বসে বসে দেখতেন আর পান থেকে চুন খসলেই পাছার পাছড়া চুলকিয়ে আর ঠোঁট বাঁকিয়ে বলতেন, "বিচার আমিও চাই, তবে সুষ্ঠু, ফেয়ার"
১৯৭২ সালে যখন দালাল আইনে বিচার শুরু হয় তখন মাওলানা ভাসানী ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে নির্বাচনের প্রাক্কালে স্বাধীনতা বিরোধীদের সমর্থন পেতে জাতীয় লীগের আতাউর রহমান সহ সকল পিকিংপন্থী জোট নির্বাচনের আগেই এই দালাল আইন বাতিল করবার জন্য আলটিমেটাম দেয়। মাওলানা ভাসানী এ সময় হুমকি দেন যে ১৯৭২ এর ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে দালাল আইন বাতিল না করলে তিনি দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
(সূত্রঃ দৈনিক বাংলা, ৫ ই ডিসেম্বর ১৯৭২)
এই কথা সুশীলরা আজকে ৪০ বছর পর ভুলে গেছে।
১৯৫ জন পাকিস্তানী আর্মিকে বাংলাদেশের মাটিতে বিচার না করে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া নিয়েও অনেকে সমালোচনা করে এই সুশীলরা। এই ১৯৫ জনের বিচার করলে পাকিস্তানে আটকে পড়া ৪ লক্ষ মানুষকে হত্যার হুমকি দেয় জুলফিকার আলী ভুট্টো। সে সময় ৩২ নাম্বারে এসে সেই স্বজনদের আত্নীয় স্বজন বঙ্গবন্ধুর পা ধরে বসে থাকতেন, নাকের পানি, চোখের পানি এক করতেন যাতে বঙ্গবন্ধু এই বিচার না করেন এবং তাদের স্বজনদের মুক্ত করে আনেন। বঙ্গবন্ধু পাহাড়ের মত অটল থাকেন।
তিনি বিচার করবেন বলেই সিদ্ধান্ত নেন। একটা পর্যায়ে এই স্বজনেরা ৩২ নাম্বারের সামনে অবস্থান নেন, পত্রিকায় লিখতে থাকেন। সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেন বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার। পাকিস্তানও এইদিকে অটল থাকে। ১৯৫ জনকে ফিরিয়ে না দিলে তারা ছাড়বে না কাউকে।
মিশরের প্রেসিডেন্ট, সৌদীর রাজা, কুয়েত, ইরান, ইরাকের সব রাষ্ট্রপ্রধানরা চাপ দিতে থাকে বঙ্গবন্ধুকে। বাংলাদেশকে কেউ স্বীকৃতি দিবে না বলে জানায়। মুস্লিম বিশ্ব থেকে বহিষ্কার করবে, যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে একটা পয়সাও কেউ পাঠাবে না বলে হুমকি দেয়। বঙ্গবন্ধু আর অটল থাকতে পারেন না। ১৯৫ জনকে ছেড়ে দেন।
এই কথা সুশীলরা আজকে ৪০ বছর পর ভুলে গেছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে খুন করা হোলো। থেমে গেলো বিচার। জিয়া ৩১ শে ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে দালাল আইন টি বাতিল করে দেয়। বন্ধ করে দেয় বিচারের রাস্তা।
এই কথা সুশীলরা আজকে ৪০ বছর পর ভুলে গেছে।
২০১০ সালের ২৫ শে মার্চ থেকে চলা ট্রাইবুনালের প্রথম দিন থেকে বি এনপি, জামাত আদাজল খেয়ে নেমেছে বিচার বন্ধ করবার জন্য। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লবিস্ট, আইনজীবী নিয়োগ করেছে। কিনে নিয়েছে পত্রিকা, জার্নাল, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। ভাড়া করেছে হ্যাকার, কিনেছে গোপন ডিভাইস।
ওপেন টিভিতে বলছে, এই বিচার হতে দেবে না। যে কোনো উপায়ে এই বিচার বন্ধ করবে।
এই কথাও সুশীলরা একদিন ভুলে যাবে, ইনফ্যাক্ট ওরা তো এটা এখনঈ মনে রাখছেনা। এরা মুখ বাঁকিয়ে বলবে, "কই বিচার তো হইলো না"। আর সাধারণ নাগরিকও মজা দেখে বসে বসে।
খায়-দায়, ঘুমায়, ঘুরে ফিরে। একদিন তারাও আঙ্গুল তুলবে আওয়ামীলীগ সরকারের দিকে হয়ত। কিন্তু যুগে যুগে চলা এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বলে না কেউ।
খুনী খুন করে চলে যায়, ধর্ষক ধর্ষন করে চলে যায়, ডাকাত ডাকাতি করে চলে যায়। আমরা বলি, সাবধানে চললে তো আর খুন হোতো না, নিজেকে ঢেকে রাখলে তো আর ধর্ষিত হতে হোতো না, অর্থ লুকিয়ে রাখলে তো আর ডাকাতি হোতো না...
হায় বাঙালী...আহা বাঙালী...
*******
নিজাম ও জিয়াউদ্দিনের স্কাইপির সংলাপে বেশ কয়েকটি গুরুত্বর্পূণ জিনিস বের হয়ে আসে;
গভার্মেন্ট একটা রায়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে।
মৃত্যুদন্ড দিলে আপিল বিভাগে পদোন্নতি দেওয়া হবে,
http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=63278
আইনমন্ত্রী শফিক ও প্রতিমন্ত্রী কামরুল নিয়মিত তার সাথে ব্যাক্তি ভাবে দেখা করে মামলা বিষয়ে পরামর্শ দিত।
কিন্তু অফিসিয়ালী এ্যামিকাস কিউরী ব্যাতীত বিচারপতি নিজামুল হক বাইরের আর কারো সাথে এই মানবতা বিরোধী বিচারের বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারেন না। যেমন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আপিল বিভাগের এ্যামিকাস কিউরী নিয়োগ। স্বাক্ষী-প্রমাণ, তথ্য ও যুক্তির বাইরে কাকে কি রায় দেওয়া হবে এটা প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই চূড়ান্ত হয় না। কিন্তু সেই অক্টোবর মাসেই এই রায় বিষয় চূড়ান্তর কথা শোনা যায়।
তারপর রাজনৈতিক ভিত্তিতে চলা দুই মন্ত্রী এইভাবে একজন বিচারকের কাছে এভাবে মামলা নিয়ে আলাপ করতে পারেন না। বাদী-বিবাদীল স্বাক্ষী গ্রহণ, তথ্য-প্রমাণ ও যুক্তি শুনে এবং গভীর পর্যালোচনা করে ৫০০ পৃষ্ঠার একটি রায় এক মাস নয় কমসে কম ৩ মাস লাগার কথা।
এই সবই শেখ হাসিনার অবৈধ ও বেআইনী রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। মজার কথা হল এই নিজাম হইল ১৯৯২ সালের গণ-আদালতের সাথে জড়িত ব্যাক্তি। তার বিরুদ্ধে এই ICTর কার্যক্রম শুরু হওয়ার প্রাক্কালে বিচারকি পরিচালনা নিয়ে রিট করলে হাইকোর্ট বলে এটা নিজাম সাহেবের বিবেকের উপর ছেড়ে দেওয়া হল।
কোন বিচারকের বিরুদ্ধে বিচারের শুরুতেই পক্ষপাতের অভিযোগ উঠলে সে নিজেকে কিভাবে যোগ্য/অযোগ্যতার রায় দেয়? বিধিবাম শেষমেশ সত্য হল যে তিনি আলীগের বেআইনী রাজনৈতিক এজেন্ডা পালন করতেছিলেন। এখন শুধু নিজাম নয় দুই ট্রাইবুনালের সকল বিচারকের বিরুদ্ধে এই সন্দেহ হবে এরাও সরকারের অবৈধ রাজনৈতিক এজেন্ডার পক্ষে কাজ করছে। অথচ শুরু হতেই সাবেক যূগেশ্লাভিয়া, রুয়ান্ডায় মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার যে সকল বিচারক করছেন তাদের এবং বিদেশী উকিল আসতে দিলে আজকে এই বিতর্ক ও কেলেংকারী হত না। বিচারের যে রায় হত তারা বিশ্বে গ্রহণযোগ্য হত।
বিএনপি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ ও ন্যায্য বিচার চায় দেখে বলদাটার গত্রদাহ শুরু হয়েছে এবং তাই নোংরা কথা বলছে।
আরে শেখ হাসিনাই বিদেশীদের কাছে বড় গলায় বলছে এই বিচার হবে নিরপেক্ষ, রাজনৈতিক প্রভাবমূক্ত এবং আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী;
Click This Link
তাইলে আজকে বিএনপি এই দাবী করলে তেলে-বেগেুনে জ্বলে উঠার কারণ কি?
এরপর দৈনিক বাংলার শিরোণাম এনে কোন বিস্তারিত রিপোর্ট ছাড়াই মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে এক হাত নিলেন। ভাসানীকে নিয়ে আওয়ামী-বাকশালীদের বিদ্বেষের কমতি নেই। ১৯৬২ সালে একবার আইউব খানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজ বাংলা পত্রিকার সম্পাদক এক যূক্ত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে। এখানে আগাচৌ বলছেন যে ঐ কয়েকজন সম্পাদক নাকি ভাসানীকেও এই যূক্ত স্বাক্ষরে শামিল হওয়ার জন্য জোর অনুরোধ করেন এবং এটা ১৯৬২র জুন-জুলাইয়ের ঘটনা। আগাচৌ বলছেন যে চীন বলে আইউব বিরোধী কোন অবস্থানে যাওয়া যাবে না তাই ভাসানীও নাকি যূক্ত বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন নাই।
(সুত্র: দৈনিক সমকাল ১৭ই মে ২০০৭)
আমিও তখন ভাসানীর উপর কিছুটা হলেও বিরুপ হই। কিন্তু দুই সপ্তাহ পরেই আমার ভুল ভাঙে। ৩০শে মে ২০০৭ ঐ দৈনিক সমকালেই ওয়ার্কাস পার্টির নেতা হায়দার আকবর খান রনো জানাচ্ছেন যে ভাসানী আইউব বিরোধী আন্দোলনে সেই ১৯৫৮ সালে গ্রেফতার হয়ে ১৯৬২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত জেলে ছিলেন। তাই ভাসানীর পক্ষে স্বাক্ষর কেন জেলে গিয়ে কারো পক্ষে এর জন্য যাওয়াও সম্ভব ছিল না। রনো আগাচৌকে জিজ্ঞাসা করেন "ভাসানীর বিরুদ্ধে এই ধরণের ক্ষোভের কারণ কি"।
বস্তুত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরই ভারতীয় সামরিক বাহিনী, সে দেশের সরকার এবং এখানকার দালালদের নৈরাজ্যজনক আচরণে শুধু ভাসানীই নয় মেজর জলিলও ক্ষুদ্ধ ছিল। ভারতকে কিছু বলবেন না বললে ভাসানীর জিভ কেটে নেওয়া হবে এমন কথা মণি সিং বললে মাওলানা ভাসানীও তাকে কড়া কথা শুনিয়ে দেন। বাকশালী ও হিন্দুস্থানের দালালদের দুই চোক্ষের বিষ হল এই ভাসানী।
সুতরাং যে আগাচৌ যিনি টপ আলীগের বুদ্ধিজীবি সে যদি ভাসানী নিয়ে মিথ্যা ও কুৎসা রটাতে পারে তখন চামচা বলদটার পক্ষেও বিভ্রান্তি ছড়ানো সম্ভব। ভাসানী বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন এক নেতা যিনি সত্যিকারের অর্থেই সৎ ও জনগণের নেতা।
১৯৭১ সালে যুদ্ধে এবং ১৬ই ডিসেম্বরের পরেও অনেক সাধারণ লোক স্বাধীন বাংলাদেশে ন্যায সঙ্গত ভাবে ক্ষুদ্ধ থাকার কারণে বহু পাকিস্তানী সৈন্যকে পিটিয়েও হত্যা করছে। তাই যুদ্ধ চলাকালীন এবং যুদ্ধোত্তর পরবর্তী কয়েকদিন পাকিস্তানী সৈন্যরা কুকুরের মত মরলেও যেখানে পশ্চিম পাকিস্তানে থাকা বাঙালীদের কেউ কিছু ক্ষতি করেনি তখন মাত্র ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানী সৈন্যদের বিচার করলে সাড়ে ৪ লক্ষ আটকে পরা বাংলাদেশীদের ভুট্টো হত্যা করত? বরং তার ৯৩ হাজার সৈন্যদের যত তাড়াতাড়ি পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনতে পারে সেটার জন্য সে সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে চাপ অনুভব করছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ভারতীয় হাইকমিশনার হল জে. এন. দিক্ষীত। যিনি পরবর্তীতে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচীব হন। তিনি একটি বই লেখেন যার নাম Liberation and beyond।
এতে দিক্ষীত বলেন "ভারত চেয়েছিল বাংলাদেশ যেন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানী সকল সৈন্যদের বিচার করে। কিন্তু মুজিব সরকার এতে আগ্রহ দেখায়নি"। ১৯৭৪ সালে মুজিব সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জারকে বলেন "আমি সব পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দিকে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছি, কারণ আমি ভুট্টোকে সাহায্য করতে চেয়েছি। আমি এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করেছি। যদি আমি না করতাম তাহলে পাকিস্তানে আবার সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় আসত।
"
Click This Link
কিন্তু মুজিব এটা এমনি এমনি করেননি। আসল সত্য হল মুজিব ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানে বন্দী থাকা কালে ফাসী তথা জীবন রক্ষা করেছিল ভুট্টো। ১৯৭২ সালে ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন "ভুট্টো একজন মিথ্যাবাদী। তবে আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ যে তিনি আমার জীবন বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু এ কাজটি তাকে মিথ্যাচার করার অধিকার দেয়না।
’"
বাংলায়
http://songlapblog.com/3309
মূল ডেইলি ষ্টার
Click This Link
সুতরাং মুজিবের প্রাণ রক্ষার জন্যই ভুট্টোর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরুপ যুদ্ধাপরাধী সমেত সব পাকি সৈন্য ছেড়ে দিয়েছেন এটা কুলাংগার আওয়ামী-বাকশালী গোষ্ঠী কোনদিনও মেনে নিবে না বরং বিকৃত ও মিথ্যা কথা বলেই যাবে।
সেই মুজিব আমলে ১৯৭২-৭৫ মেয়াদেই এদেশীয় পাকি দোসরদের ছেড়ে দেওয়া সহ বিদেশে থাকা গো আযমদের ফিরিয়ে নিয়ে ধর্মীয় রাজনীতির সুযোগ দেওয়ার জন্য সৌদি সহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ গুলোর চাপ ছিল বাংলাদেশের উপর। কিন্তু এই বিষয় গুলোতো মেনে নেওয়া দূর এমনকি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ যেন ও.আই.সি সম্মেলনে যোগ দিবে তথা এই দুই ইস্যুতেই মুজিবকে বাধা দিয়েছিল তাজউদ্দিন আহমেদ(সুত্র: আগাচৌ দৈনিক সমকাল ৩/১১/২০০৭)।
দেশের অর্থনৈতিক ও সামরিক স্বার্থে জিয়া মধ্যপ্রাচ্যের এই সকল প্রস্তাব মেনে নেন। তাতে ১৯৭৬ সাল হতে সৌদি, আমিরাত, কুয়েত সহ মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলে যায়।
আজকে সেখানে অবস্থানরত ৪০ লক্ষ বাংলাদেশী বছরে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠায়। ১৯৭২-৭৫ আমলে বঙ্গোপসাগরের গভীর জলসীমায় যাওয়ার জন্য আমাদের ভাল জাহাজ ছিল না। কারণ ভারতের অবৈধ চাপে মুজিব কিছু করতে পারেন নাই। এমনকি সুমুদ্রে বাণিজ্যিক জাহাজ কিনতে গেলেও ভারতের অনুমতি লাগত। কিন্তু শহীদ জিয়াকে সৌদি আর বিপুল অর্থ দিলে তার একটা বড় অংশ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য প্রথম চারটি ফ্রিগেট কেনেন।
যা খোলাফায়ে রাশেদীনের চার খলিফার নামে নামকরণ হয়। ফলে বঙ্গোপসাগরে আমাদের সীমানায় আমাদের অবস্থান জোরদাড় হয়। এই জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের বর্তমান প্রকৃত বন্ধু চীনের সাথে রাজনৈতি, অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এটাই ভারত ও ইন্দিরা গান্ধীর পছন্দ হয়নি।
ক্যানেডিয়ান বলদাটা যুদ্ধাপরাধী থুক্কু মানবতা বিরোধী অপরাধের ছুতা ধরে দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে বাংলাদেশকে চিরস্থায়ী ভাবে ভারত নির্ভর রাখতে চায়।
এই বলদ বাকশালী ও জ্ঞানপাপী দালাল শুধু সামরিক বাহিনী বিহিন বাংলাদেশ নয় বরং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যেন কোন বর্ডার না থাকে সেটারও একনিষ্ঠ সমর্থক।
দেশের সিংহভাগ মানুষ আজকে হাসিনার সরকারের র্দূনীতি, লুটপাট ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ তখন সে তাদেরকে হায় হায় বাঙালী বলে কটাক্ষ করছে। সে বুঝতে পারছে তার নেত্রী হাসিনার পায়ের নীচে ভিত নেই। তাই বাকশালী ষ্টাইলে দেশের মানুষকে গালাগালি করছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।