I want to know about new thinks. আমার আব্বা খুব আশা করেছিল আমার ও আমার বুনের একটা সরকারী চাকরি হবে । কারণ ২০০৮ আওমিলিগ ক্ষমতায় এসেছে এবার মুক্তিযুদ্দা কোঠায় আব্বার শেষ ইচ্ছাটুকু পূরণ হবে। সেজন্য নির্বাচনের lসময় দিনরাত ঘুরে ঘুরে মানুষের কাছে স্থানীয় আওমিলিগ পার্থীর জন্য ভুট চেয়েছে । অনেক দিন পর আমাদের এলাকায় আওমিলীগের এম পি হয়েছে । এ জন্য সকলের মত আব্বারও প্রত্তাসা ছিল বেশি ।
শুরুহলো আমাদের দোর জাম্প একজন স্তানীয় নেতার মাধ্যমে। খুঁজে ber korlam এম পির ডান হাত বাম হাত। এভাবেই শুরু হলো আমাদের লবিং ঢাকা এম পির বাসায়,এলাকার এম পির অত্তীয়দের বাসায়। বেগে নিয়া ঘুরসি আব্বার মক্তি যুদ্দা সনদ, বুনের ছাড়টিফিকেট সহ সব কাগস পত্র। চাকরি হয়ে যাবে নিশ্চিত এমন আসাস এম পির কারণ মুক্তি যুদ্দা কোঠা তো আসেই তারপর আবার এম পির রেফারেন্সে ।
na হয়ে উপায় আছে আব্বার খুসি গর আত্মবিশ্বাস দেখে মনে হলো চাকরিটা তো হয়েই গেছে শুদু জয়েন করা বাকি । আব্বার স্বপ্ন আরো দীর্গ হতে থাকে এটা শেষ হলে আমারটা নিয়ে যাবে এম পির কাছে । আব্বা সব সব পথ ঘাট চিনে রাখছেন,যেন পরবর্তী সময় সহজে সব কাজ করাযায়। মাজে মাজে এম পি সাহেবের প্রসংসায় পঞ্চমুখ ওনি এটা বলেছেন ,ওটা বলেছেন , এটা করে দিবেন , ওটা করে দিবেন এসব । হটাত বেগাত. ঘটাল স্তানীয় নেতা যিনি এম পি সাহেবের ডান হাত , ওনি নাকি হাসতে হাসতে বলল ডাক্তার সাব আপনার মেয়ের চাকরি তো দিয়ে দিলাম এবার আমাদের মিষ্টি তিস্টির কিছু পয়সা দেন ।
অবস্যই খওয়াবু বলে বলল আগেত হোক । আরে ভাই ৯০ পার্সেন্ট কাজ হয়ে গেছে আর ১০ পার্সেন্ট বাকি মানে এম পি সাহেব রিকোয়েস্ট করলেই পোড়া ১০০ পার্সেন্ট মানে চাকরি। তাইলে এম পি সাহেব কে কিছু চা পানের পয়সা দেওয়া লাগবেনা । আব্বা সরল মনে বলল ওনি কি গরিব মানুষ নাকি চা পানের পয়সা লাগবে । ওরে ভাইরে টাকা পয়সা ছাড়া কিছুই হয়না ,আপনারে এম পি সাহেবের পছন্দ হইছে বলেই কিছু টাকা কম লাগবে।
কত লাগবে?
ধরেন ৫
মানে
মিনিমাম ৫০০০০০ টাকা
আরে ভাই গাব্রাইন না। আপনারে দেইখা কম কম কইতাছি কত লোক ৮/১০ টাকা লয়া গুরতাছে । চাকরির বাজার খুব গরম আর এম পি সাহেবের সাইন এত সস্তা না।
আব্বা ওনার সাথে আর কথা না বলে পর দিন সকাল বেলা এম পি র বাসায় গেলেন, ওনি সময় নাই বলে বের হয়ে গালেন ।
তার পরদিনও গেলেন এভাবে তিন চারদিন যাওয়ার পর অবাকে ডেকে বললেন ওনার খুববেস্ততা স্তানীয় ওই নেতার সাথে দেখাকরতে।
আব্বা পুরা পুরি হতাস হয়ে পড়লেন । ছি ছি ছি ওরা আমার কাছে টাকা চায়,কত বড় সাহস আমার মুক্তি যুদ্দের কোনো কোনো দাম নাই বলে রাজাকারের বাচ্চারা বলে গালি দিতে লাগলো ।
তখন বুজলাম আব্বা টাকা দিয়ে চাকরি কিনবেন না।
তারপর ছুট মামা আর আমি গেলাম রাখিল দা (এম পি র ডান হাত) র বাসায়। ওনি ওনার ক্ষমতার কথা বলল যে এম পি সাহেব ওনার কথায় ওঠে বসে।
এই এলাকায় যাদের চাকরি হবে ওনার মাদ্দমেই হবে। ওনি বলল ওনি এক কথার মানুষ তাই ,বলল
তোমার আব্বার মক্তি যুদ্দার সনদ আছে বলে কম ২০০০০০এডবানচ আর বাকি ৩০০০০০ হওয়ার পর। কথা পাকা করে আসলাম তবু জবটা যেন হয় । আব্বাকে মামা এসে বোজিয়ে সুজিয়ে রাজি করলো । কথা মত এডবানচ দিলাম।
কাজের গতি মন্থর ,নিয়মিত যুগা যুগ এভাবে মাসের পরে মাস চলে গেল কিন্ত কোনো অগ্রগতি নাই। একদিন শুনলাম কারো চাকরি হবেনা । শুরু হলো টাকা ফেরতের বাহানা এ দিন ওইদিন করে দিন মাস বছর চলে গেল টাকা আর ফেরত পেলাম না চাকরীত নয়ই । পরে শুনলাম আমাদের মত বহু লোকের কাছ থেকে এরা টাকা নিয়েচে ।
তাই আব্বা আর ভুল করতে রাজি হলেন না ।
আমার চাকরির জন্য চেষ্টাই করলেন না, পাঠিয়ে দিলেন uk তে আরও পড়াশুনার জন্য।
শুনিছি আব্বা নাকি নিজেকে মুক্তিযুদ্দা হিসাবে আর গর্ব করে না। কোঠা ভিত্তিক চাকরির ও আর আশা করে না। মাজে মাজে দেশ নিয়ে কথা বলে দীর্গ নিঃশাস ফেলেন।
আব্বার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল ,ভেঙ্গে গেল বিশ্বাস ।
আব্বা হয়ত আবার ভুট দিবেন কিন্তু কোথায় দিবেন জানি না। তবে স্বাদিনতার পর জত্গুলু নির্বাচন হয়েছে ততবারই ভুট দিয়েছেন নুকাতে ,শুদু জিয়াউর রহমানের সময় দিয়েছিলেন না ভুট।
আমি আব্বার জন্য দোআ করি আপনারাও করবেন ,আল্লাহ যেন ওনাকে সুস্ততা দান করেন । আমীন
এই লেখাটা লিখতে অনেক ভুল ত্রটি হতে পারে মাফ করবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।