বাস্তবতায় আপনাকে স্বাগতম প্রতিবাদ শব্দটা বোধকরি বাংলা অবিধান থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কারন এখন কোন কিছুতে আমরা প্রতিবাদ করতে জানি না, আমরা ভেজিটেবল হয়ে গিয়েছি। নাহ বাদ দিন, দোষ তো ছাত্রলীগের নয়, যাই বলেন ভাই দোষটা ছিল বিশ্বজিতেরই! বোকাটা ভেবেছিল পড়াশোনা করে বড় কিছু একটা হবে, দেশের নামিদামি ব্যাক্তি। কিন্তু হায় অদ্রিষ্ট! সে কি আর জানতো, রাজনৈতিক ক্ষমতা সম্পন্য জানোয়ারেরা তাকে এভাবে কুপিয়ে হত্যা করবে? জানা উচিত ছিল তার, এদেশে সুবিচার রূপকথা, আশাবাদি হওয়া আর কুসংস্কার এ বাস করা এক ই কথা! আপনিও প্রতিবাদ করবেন কেন? বিশ্বজিত তার বোকামির জন্য মরেছে, তাতে আপনার কি আসে যায়? বিশ্বজিত তো আপনার ছেলেও না, আপনার ভাই ও না। অপরিচিত একজন মানুষের জন্য আপনি কেন প্রতিবাদ করতে যাবেন? কথাগুলো খারাপ লাগছে বুঝি? ভাবছেন সেদিনকার ছোকরাটা কি বাজে বকছে? তাতো ভাববেনই। বায়ান্ন আর একাত্তরে সেদিনকার ছোকরা গুলো না থাকলে আজও পাকিস্তানে বসে উর্দূ ভাষায় বউকে এক কাপ চা দিতে বলতেন। আওয়াজ থাকলে উঠান, না থাকলে দরজা বন্ধ করে বসে থাকুন, আমাদের মত ভিতু পুরুষদের স্বাধিন দেশের রাস্তায় শোভা পায় না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।