বাংলাদেশের মাটি দিয়ে গড়া এক মানুষ
ঘর থেকে ডেকে এনে রাষ্ট্রপতি বানানো এবং বেইজ্জত করে তাড়িয়ে দেয়ার মতো ঘটনাই হলো ইয়াজউদ্দিনের সাথে। শেখ হাসিনা বললেন, প্রথমে ইয়াজউদ্দিন, তারপরে ইয়েসউদ্দিন সবশেষে নো-উদ্দিন। নামটাই কাল হয়ে গেলো ইয়াজউদ্দিনের। এখন ঘরে বসে আফসোস আর টেনশনে দিন কাটছে ইয়াজউদ্দিনের। শুভাকাংখিদের বলছেন, কেন রাষ্ট্রপতি হতে গেলেন।
খালেদার হাত ধরে রাষ্ট্রপতির আসনে ইয়াজউদ্দিনকে দেখে সে সময় অবাকই হয়েছিল দেশবাসী। অজানা, অচেনা একজন কত সহজে কেমন করে কোন জাদু বলে রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলেন। আসলে কথায় আছে অতি লোভে তাতি নষ্ঠ। ইয়াজউদ্দিনের বেলায় এ কথাটি হাড়ে হাড়ে ফলেছে। শুনেছি খালেদার আমলের কালো মানিক আমেরিকার রাষ্ট্রদুত হ্যারির পাল্লায় পড়ে ইয়াজউদ্দিন রাষ্ট্রপতির খাতায় নাম লেখান।
খালেদার সাথে তেমন পারিবারিক সর্ম্পক না থাকলেও হ্যারির সাথে ইয়াজউদ্দিনের যোগাযোগ অনেকদিনের পুরানো। তার নাকি ঘনিষ্ট আত্মিয় হন হ্যারি। সেই হ্যারিই খালেদাকে পরামর্শ দেন ইয়াজউদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি করতে। খালেদা আমেরিকার প্রীতি ও ভালবাসা পাবার জন্য ইয়াজউদ্দিনকেই রাষ্ট্রপতি বানিয়ে দেন। বুড়ো মানুষটা হয়ে যান খালেদার কলের পুতুল।
কিন্তু ইয়াজউদ্দিন বুঝতে পারেনি রাজনীতির খেলা। রাষ্ট্রপতির তক্তাটি কত গরম। শেষপর্যন্ত বেইজ্জত হতে হলো। এখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নাম কেউ শ্রদ্ধাভরে নেন না। সাহাবুদ্দিন, বদরুদ্দোজা, ইয়াজউদ্দিন, বিশ্বাস সবাই গেল অনেকটা বেইজ্জত হয়ে।
হায়রে রাষ্ট্রপতি.....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।