রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টার দিকে জিলিন প্রদেশের দেহুই শহরে ওই পোল্ট্রি প্ল্যান্টে আগুন লাগে।
কারখানা থেকে বেঁচে ফিরে আসা কর্মীরা সিনহুয়াকে জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভেতরে প্রায় ৩০০ জন কাজ করছিলেন। হঠাৎ তারা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পান এবং পুরো প্ল্যান্টে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নি নির্বাপক কর্মীরা বলছেন, ভোরে কারখানার মূল ফটক বন্ধ ছিল। তবে আগুন লাগার পর শ’ খানেক কর্মী বিভিন্নভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
সিনহুয়ার ওয়েবসাইটে দেয়া ছবিতে দেখা যায়, সিমেন্ট ও করোগেটেড আয়রনে নির্মিত কারখানা ভবন থেকে কালো ধোঁয়া উঠছে। অগ্নি নির্বাপক কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
উদ্ধারকর্মীরা জানান, কারখানা ভবনটির নির্মাণ কাঠামো অত্যন্ত জটিল এবং বের হওয়ার পথ সংকীর্ণ হওয়ায় আগুন নেভাতে প্রায় ছয় ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকেও সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছিল। ঠিক কতোজন ভেতরে আটকা ছিলেন তখনো তা জানাতে পারেননি উদ্ধারকর্মীরা।
আহত ৫৪ জনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান জিলিনের প্রাদেশিক সরকার।
অগ্নিকাণ্ডের কারণও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে প্রাদেশিক অগ্নিনির্বাপন বিভাগসহ কয়েকটি সূত্র জানায় অ্যামোনিয়া লিকের কারণে আগুন ধরে যায়। আবার অন্য কয়েকটি খবরে বৈদ্যুতিক ত্রুটিকে অগ্নিকান্ডের কারণ বলে জানানো হয়েছে।
ওই প্ল্যান্টের মালিক জিলিন বাইয়ুয়ানফেং পোল্ট্রি কোম্পানি চীনে প্রক্রিয়াজাত মুরগির মাংস উৎপাদনকারী অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান।
এক হাজারেরও বেশি কর্মী এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন।
এর আগে ২০০৮ সালে হংকংয়ের সীমান্তবর্তী শেনঝেন প্রদেশে একটি নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে ৪৪ জন নিহত হয়। আর ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর হেনান প্রদেশের লুয়াং শহরে একটি ভবনে আগুন লেগে ৩০৯ জন প্রাণ হারান, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন নির্মাণ শ্রমিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।