উন্মাদ বালক বইলাই কিন্তু আমি পুরা উন্মাদ না, সামান্য কয়টা তার ছিড়া...
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের পোশাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাড়া করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণেচ্ছু গ্র্যাজেুয়েটরা।
রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার ছিল সমাবর্তন পোশাক সরবারাহের শেষদিন। পোশাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম দেখে অংশগ্রহণেচ্ছুরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে তারা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, খরচ সাশ্রয়ের জন্য ওই পোশাকগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সমাবর্তনে আসা একদল গ্রাজুয়েট বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ব্যবহৃত পোশাক তাদের ব্যবহার করতে দেয়া হয়েছে।
এসব পোশাকের অধিকাংশই অপরিচ্ছন্ন। এর মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের অপমানিত করা হয়েছে। অথচ নিবন্ধনের সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে পর্যাপ্ত টাকা নেয়া হয়েছে।
তারা আরো অভিযোগ করেন, সমাবর্তনে একজন আন্তর্জাতিক মানের বক্তাও আনতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এমএম নুরুজ্জামান, সৈয়দ হাসান যুবায়ের, আনিসুর রহমান ফারুক ও বেলাল হোসেন, সাতক্ষীরার মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম গোলাম আজম এবং আইসিবি ব্যাংকের রাজশাহীর ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী।
সমাবর্তন আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধকার অধ্যাপক এম এ বারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সাড়ে সাত হাজার গাউন (পোশাক) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে নয় লাখ টাকায় ভাড়া করে এনেছি।
“একটি পোশাক তৈরি করতে প্রায় বারশ’ টাকা লাগে। একদিনের অনুষ্ঠানে এতো টাকা খরচ করে লাভ কী?
তিনি বলেন, সমাবর্তনে ১৯৯১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্তএমফিল, পিএইচডি, ¯œাতকোত্তর, এমবিবিএস সাত হাজার আঠার জন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ৬৭৮ জন নিবন্ধন করেছেন।
নিবন্ধিত গ্রাজুয়েটদের কাছ থেকে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছ থেকে বারো লাখসহ মোট দু’কোটি টাকার বাজেট করা হয় এই সমাবর্তনে।
পোশাক অপরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, “আমরা শুধু পোশাক পরিচ্ছন্ন করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পঁচাত্তর হাজার টাকা দিচ্ছি। তারপরও যদি অপরিষ্কার থাকে, সেটা অবশ্যই খারাপ। ”
উপ-উপাচার্য মুহম্মদ নূরুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সমাবর্তনে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গাউন ব্যবহার করা যায়। এটা কোনো বিষয় নয়।
”
রোববার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাবির অষ্টম সমাবর্তন। ১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭০ সালে ষষ্ঠ, ১৯৯৮ সালে সপ্তম সমাবর্তন হয়।
এবারের সমাবর্তন বক্তা থাকার কথা রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সভাপতি থাকার কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের।
সূত্রঃবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।