কবিতা একটি চাদর রয়ে গেল তার স্মৃতি চিহ্ন হয়ে;
নিয়ন আলোকে জীবন-মৃত্যুর দুর্বোধ্যতা ঢাকা
পড়ে। যেরকম ফটোশপ কারুকাজে মডেলের
মুখ। বিপন্ন সময় আমাদের রহস্য গহীনে
নিয়ে চলে। নিয়ে চলে মিথ্যার খরস্রোতে কৃত্রিম
ঔজ্জ্বল্যে। আমাদের আর্দ্র অনুভূতিগুলো বর্ধিষ্ণু
উষ্ণায়নে শুকিয়ে যায়, হারায় মানবিক বোধ
পাশের প্রাণীটির তরে।
এ আমাদের নির্ঝঞ্ঝাট
যুগল জীবন ভালো লাগে। ভালো লাগে জ্যোৎস্না স্নাত
রাত হাতে প্রিয়তমার হাত। ভালো লাগে সঙ্গীত
প্রেমের। কত মেকি! কত সস্তা! এ অনুভূতিগুলো
প্রতিপন্ন হয় প্রিয়ার সহসা বিদায়ে অথবা
মুখরোচক কথাগুলো বিস্মৃত হয় চিরতরে
যখন।
আমরা বড্ড বেশী স্বার্থপর-ভালোবাসি
নিজেকে-নিজের পৃথিবীকে; আত্মলোকে বন্দী থেকে
থেকে কামনা করি বহির্লোকের ভালোবাসা সব
নির্লজ্জের মত ।
অথচ যে পরিমাণ ভালোবাসা
গ্রহণ করি তার কতোটুকু বিলায়? দেখেছ কি
অযত্নে বেড়ে ওঠা পথ শিশুটিকে যার শরীরে
এতটুকু আদর, এতটুকু ভালোবাসার কোন
চিহ্ন নেই? অথচ সে উদার হৃদয়- ফুল হাতে
ভালোবাসা বিলায়। বিনিময়ে আমরা দিয়েছি কি
কিছু তাকে? হোক তা হৃদয়ে জমানো দু ফোঁটা অশ্রু!
আসলে, আমরা কাঁদ'তে ভুলে গেছি, হাস'তে ভুলে গেছি;
তাই আনন্দ বেদনার জমাট বিভব উন্মুক্ত
হয় মেটাল গানের উন্মাতাল হ্যাডব্যাঙ তালে।
"এক ফোঁটা অশ্রু", "এক ফোঁটা হাসি"-'র জন্যে কি যুদ্ধ
আমাদের!
সত্যি -সত্যি ভুলে গেছি! বেমালুম ভুলে
গেছি সব! ভুলে গেছি- সেই বন্ধুটির কথা যার
চাদরের উষ্ণতায় কেটেছিল আমার সুখের
শীত এক।
সে এখন এ পৃথিবীতে থাকে না আর।
ছোটাছুটি করে নক্ষত্রে নক্ষত্রে।
আমি বসে স্থির
নিয়ন আলোর নিচে নিয়ে আবেগের অপভ্রংশ!
(ছন্দ- অমিত্রাক্ষর অক্ষরবৃত্ত; প্রতি পঙক্তিতে ১৮ মাত্রা; ছেদ অনুসারে যতি) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।