স্বাধীনতা প্রিয় ১ জন মানুষ। শুধুই স্বাধীনতা চাই। https://www.facebook.com/md.z.bablu আব্বার গালি খাইয়া সকালে ঘুম হইতে উঠিতে উঠিতে এমন অবস্থা ধারন করিয়াছে যেন ঘুম এর প্রতিশব্দ দাঁড়াইয়াছে গালি প্রদান কর্মসুচির সহিত চক্ষু খোলন। মানুষের মাথা খারাপ করিবার উপর যদি কোন দ্রুততম মানব নির্ধারন করা হইত,নিঃসন্দেহে গিনেস ওয়ার্ল্ড অফ রেকর্ড এ শ্রদ্ধেয় তাঁহার নাম মাইনাস এক এ স্থান পাইত। এই যে তাঁহার মেজাজ খারাপ করার অসাধারন ক্ষমতা,দক্ষতা এইটি তিনি শিল্পের পর্যায়ে নিয়া গিয়াছেন।
শুধু শিল্পের আগে একটা কু লাগাইতে হইবে।
হাই স্কুল এ যখন পড়তেছিলাম মানে পড়ার নামে ফাঁকি মারিতেছিলাম,তখন আমার এক জিগরি দোস্ত ছিল,নাম ফয়সাল। ৬ ঘন্টার ক্লাস এ দুই ঘন্টা পর টিফিন ছুটি নামে এক স্কুল পালানোর সুযোগ দিত। ওই দুই ঘন্টা পর ফয়সাল রে ক্লাস এ মাইক্রোস্কোপ দিয়া খুঁজিলে বা টমিরে দিয়া গন্ধ শুঁকাইতে দিলেও ফয়সাল এর কোন হদিস মিলিত না। এইটা তেমন কোন বড় ঘটনা না।
বড় ঘটনা হইল তাহার দুই ঘন্টা ক্লাস করিতে করিতে এতটাই অভ্যস্ত হইয়া গিয়াছিল যে বৃহস্পতিবার হাফ ছুটির দিন এক টানা ৪ ঘন্টা ক্লাস হইত বলিয়া সে স্কুল এই আসিত না।
তাস এ ২৯ খেলাটা কম পাড়ি বলিয়া আমি আর বন্ধু রিফাত ৪ টা মহাবিপদ সংকেত আবিষ্কার করিয়াছিলাম। ডান চোখ টিপলে হার্টস এর জ্যাক,বাম চোখে ডাইস এর জ্যাক,দুই চোখ টিপলে স্পেইড আর মাথা চুলকাইয়া হা হুতাশ করিলে বুঝিতে হইবে ক্লাবস এর জ্যাক আয়ত্তে আছে। এরপরও না পারিলে রং এর কার্ড গুলা পাশে রাখিতাম। সুযোগে রং এর কার্ড একটা উঠাইয়া সজোরে মারিতাম।
প্রতিপক্ষ বুঝিতে পারিলে ইনোসেন্ট ভাব লইয়া ঘটনার মিটমাট। তাও না পারিলে দুই তিন দান পর পর একটা পয়েন্ট ই কমাইয়া দিতাম হতের ঠেলায়।
পরীক্ষার হলে দেখিতাম,দেখাদেখি করার শাস্তি সরূপ স্যার খাতা নিয়া নিত। আর ঐ খাতা দিয়া চেয়ার এ ঝাড়ু দিয়া টেবিল এ রাখিয়া পরম আনন্দে ঘুমাইত। আমার এক বন্ধু ছিল নাম মুহিব(ছদ্মনাম)।
এই ব্যাটা পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে শেষ পর্যন্ত এক নাগারে আশে পাশের খাতা পর্যবেক্ষন করিত। জীবনে দেখি নাই তাহাকে ধরা খাইতে। আমিও কম দেখাদেখি করিতে পারিতাম,তা না। হরিণ নাকি ২৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত দেখতে পায়। বাঘ তাই সরাসরি পাছার দিকে আসিয়া আক্রমন করে।
এই ব্যাটা ২৭০ ডিগ্রি না হইলেও কম করিয়া ১৮০ ডিগ্রি আশে পাশে ক্লিয়ার দেখিতে পাইতো কোণা চোখে। মাথা ঘুড়ানোর তো জাতির বিবেকের কাছে কোন প্রশ্নই আসে না।
আমাদের পাড়ায় একজন খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং স্মার্ট লোক বসবাস করিয়া থাকেন। তিনি রাস্তা দিয়া যাইবার সময় প্রতিনিয়তই এক নাক চাপিয়া ধরিয়া আরেক নাকে লইট্যা ফিশ ত্যাগ করিয়া থাকেন। বিস্ময় হইল এই যে তিনি এত নিপুণভাবে ঐ এক নাকে লইট্যা ত্যাগ করেন যে,৪-৫ মিটার দূরত্বেও কোন লক্ষ্যবস্তু দেওয়া হইলে তিনি নিঃসন্দেহে সেই লক্ষভেদ করিতে পারিবেন।
এইবার আসি একটা সিরিয়াস কথায়। লেখকদের লেখা সবসময় একই রকম হয় না। কখনো খারাপ। কখনো ভাল। কিন্তু যাহারা বা যেঁনারা লেখা কপি পেস্ট করিয়া থাকেন,তাহাদের লেখা কখনই খারাপ হয় না।
কারন তাঁরা সবচাইতে ভাল ভাল লিখা গুলোই বাছিয়া বাছিয়া কপি পেস্ট করিয়া থাকেন।
উপড়ের সবগুলোই কিন্তু শিল্পী। তাহারা তাহাদের কর্মকে শিল্পের পর্যায়ে উত্তীর্ণ করিয়াছেন। শুধু শিল্পের আগে একটা "কু" শব্দ বসিবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।