আমি মনে প্রাণে একজন মুসলিম। ঘৃণা করি ধর্ম বিদ্বেষী নাস্তিকদের এবং ধর্ম ব্যবসায়ী ছাগু তথা উগ্রবাদীদের। ক্যঁচাল পছন্দ করিনা । ।
আমগো গেরামের মইদ্দ্য দুইখান বহুৎ বদ পোলা আছিল
১.মুকুল
২. সাইদুল।
হেরায় পারেনা এমন কুনু কাম নাই
মাইনষের গাছের আম জাম কাডাল কলা থিকা শুরু কইরা
যে কুনু ফল ফলাদি গাছের মালিকের বিনানুমতিতে হস্তগত করা
যাহাকে খাঁটি বাংলায় কয় চুরি
ঘটুনাখান ঘটছিল একগাছে দুইজনই চুরি করবার যাইয়া শেষমেষ মুকুলের ওইছে ভূত মুকুল
হেগো মইধ্যে সব চাইতে বেশী বদ+বান্দর যে পোলা আছিলো
হের নাম ওইলো মুকুল ওরফে ভূত মুকুল
আইজগ্য আপনাগোরে কমু বদবান্দর পোলা মুকুলের ভূত হওনের কাহিনী।
মাঘমাইস্য শীত শুণুর বাঁশবাগানের পার্শে একসারি গাবগাছ। শুনু নামক হিন্দু মহিলা হাড়কিপ্টে একখান গাব খাইবোওনা কাউরে খাইবারও দিবোনা এই দিকে গাছে পাকা পাকা বহুত গাবফল দেইখ্যা বদবান্দর মুকুল আর সাইদুলের জিবে জল আসিলো। হ্যগো মাথার মইদ্যে একখান বুদ্ধির ঘুরপাক খাইতাছিল কেমনে শুনুর গাছের গাব হাতানো যায় পরদিন কাউয়াডাকা ভোরে সাইদুল অভিযান কইরা কয়েকখানা পাকা গাব আনিয়া খাইতে আরম্ভ করিলো এদিকে মুকুল অনেকবার একখানা গাবের লাইগ্য সাইদুলের কাছে ঘ্যনঘ্যন করিয়া বিফল হইয়া অবশেষে সিদ্ধান্ত লইলো শুনুর গাবগাছে সফল অভিযান চালাইবে
৩-৪ দিন চইল্ল্য গেছে প্রচন্ড শীত একদিন খুব ভোরে কাউয়াডাকার আগেই মুকুল ঘুম থিকা উইডা সোজা শুনুর বাঁশবাগানের পার্শে বড় গাবগাছ যেইডাতে পাকা গাব বেশি সেইডাতে লুঙি কাছা দিয়া তরতরাইয়া উইডা গাছের মগডালে বইসা মনের সুখে গাব পারে আর খাইতাছিল মুকুলের গায়ের রং কাউয়ার মত কুচকুচে কালা হাত পা খসখসে ফাডা অনেকডা সাপের গতরের মতো এদিকে সাইদুলও আইছে গাবচুরি করতে… বড় গাছটাতে অনেকখান উইডা পড়ছে হের মইধ্য কেডায় জানি গাবের বিচি দিয়া ঢিল মারচে সাইদুলের মাথায় সাইদুল চইমক্য গেছে..তুই কেডারে… মুকুল কইলো আমি গাবগাইছ্যা ভূত!!.. সাইদুল উপ্রে চাইয়া দেখে অন্ধকার কুয়াশার মইধ্য মগডালে সাদা কাপড়ের মধ্য লম্বা একখানা কুচঁকুচেঁ কালা পা ঝুলতাছে..
মুকুলের বেজায় মেজাজ খ্রাপ হইলো.. নাকি স্বরে কহিলো মুন্ডু খামুরে তোর মুন্ডু এই কইয়া পদযুগল সাইদুলের দিকে প্রসারিত করিল সাইদুলের তখন আর হুশ নাই!!.. হাত দুইডা গাছ থিকা আলগা হইয়া দড়াম কইরা মাটিতে পড়িয়া হুশ হইলো!!.. মুকুল তখন হিঃ হিঃ করিয়া হাসিয়া উঠিলো। সাইদুল কোমরে প্রচন্ড ব্যথা পাইয়ছে তার পরও জীবন বানানোর ভয়ে এলোমেলো পা ফালাইয়া দৌড়াইতে দৌড়াইতে সামনের পুষ্কনীতে পড়িলো
তারপর উডিয়া সোজা বাড়িতে গেল।
এদিকে মুকুল পাকা আধাপাকা গাব পাইড়া বাড়ি চইল্ল্যা গেল কাচা গাবগুলো তুসের মইধ্য জাগ দেয় আর পাকিলে বাহির কৈরা খায়।
একদিন মুকুল নিরিবিলি এক আমতলার টঙে বসিয়া মনের সুখে গাব খাইতেছে সাইদুল কোমরের ব্যথা নিয়েও আস্তে আস্তে টংয়ের দিকে আসিয়া বড় বড় গাবের সাইজ দেইখা কইয়ালাইলো হারামজাদা!! শুনুর গাছের গাব চুরি করছছ!!.. তাইলে ওইদিন ভূত তুই আছিল??.. মুকুল হিঃ হিঃ কইরা হাসতে হাসতে দৌড় দিলো। বিকেলের মধ্যই গ্রামের সকলের মুখে কথাডা চাউর ওইয়া গেল। মুকুলের নাম ওইলো গাবগাইছা ভূত!!.. কিছুদিন পর সংষোধিত ওইয়া “ভূত মুকুল” নামে সবাই ডাকতে শুরু করিলো।
আমগো গেরামে মুকুল তিনজন আছে তয় ভূত মুকুলরে দশগেরামের মানুষ একনামে চিন্নোলাইছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।