আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। এই তিনটি বিভাগকে বলা হয় রাষ্ট্রের ভিত্তি। এই বিভাগ সমূহের সৌহার্দমূলক সমন্বয় ছাড়া রাষ্ট্রের অস্থিত্ব হয়ে পড়ে বিপন্ন। আইন বিভাগ কর্তৃক প্রণীত বিধান অনুসারে শাসন বিভাগের কার্যক্রম যথাযথভাবে চলছে কিনা তা দেখা ও অনিয়ম পেলে প্রতিবিধান করার দায়িত্ব বিচার বিভাগের। এই কারণে মাঠ পর্যায়ে শাসন বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার এক ধাপ উপরে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার অবস্থান নীতিগতভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
গণতান্ত্রিক ও সভ্য সমাজে এই নীতির যথার্থ প্রতিফলন ঘটে থাকে। আমাদের দেশে এই নীতি অনেকটা অনুসরিত হয়েছে। বেতন ভাতা প্রদান সংক্রান্ত বিষয়েও এই নীতির প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেছে। বৃটিশ শাসন আমলে কালেকটর নিজেই শাসন ও বিচার কর্মের দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময়ে একই সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জেলা ও দায়রা জজ পদে এবং তার তুলনামূলক কনিষ্ঠ কর্মকর্তা কালেকটর পদে নিয়োজিত হতেন।
কালেকটর ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্বও পালন করতেন। এ ক্ষেত্রে তাই পদ মর্যাদা ও বেতন ভাতা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠে নাই। বৃটিশ শাসনের উত্তর কালেও এ ধারা বহাল থাকে। বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে আলাদা সার্ভিস গঠিত হলেও মোটামুটি পূর্বের বিধি বিধান অনুসৃত হয়ে আসতে থাকে । ১৯৮৯ সালে ঘটে গেল একটি ঘটনা।
ঐ বৎসর সরকারী কর্মচারীদের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করার জন্য তৎকালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী ডা: এম এ মতিনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়। ঐ কমিটির সুপারিশ অনুসারে বিচার বিভাগ ব্যতীত অন্য সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল উন্নত করা হয়। ফলে মাঠ পর্যায়ে বিচারকদের সাথে অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বেতনের ক্ষেত্রে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়, ভারসাম্য বিনষ্ট হয়। বিষয়টি নিয়ে বিচারকদের পক্ষ থেকে সংশি¬ষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আশু প্রতিকারের আবেদন করা হয়। ১৯৯৪ সালের ৪ঠা জানুয়ারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি প্রজ্ঞাপন জারী করেন।
বিচারকদের প্রতি বেতনের ক্ষেত্রে ঐ কমিটির প্রতিবেদনের মাধ্যমে যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছিল এতে তার নিরসন করা হয়। কিন্তু ঐ একই মাসের শেষ সপ্তাহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উক্ত আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত রাখা হয়। এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য সরকারের উপর থেকে আর কোন কার্যক্রম গৃহীত হয় নাই। বি সি এস(বিচার) এসোসিয়েশন (বর্তমানে জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন) এর সকল আবেদন নিবেদন অরণ্যে রোদনে পর্যবসিত হয়। ‘ বিচারকেরা মজুর নন , হুজুর ’ এই সান্ত¦নার বাণী শুনেই বিচারকদের আত্মসন্তুষ্টি লাভ করতে হয়।
এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বি,সি,এস(বিচার) এসোসিয়েশন (বর্তমানে জুডিসিয়ার সার্ভিস এসেসিয়েশন) আশ্রয় গ্রহণ করেন আদালতের। বিচারকগণ সমবেতভাবে মামলা দায়ের করেন। ঐ সময় বি,সি,এস (বিচার) এসোসিয়েশনের মহাসচিব ছিলেন ঢাকার সাব-জজ জনাব মাজদার হোসেন। বাদীদের তালিকায় তাঁর নাম প্রথমে থাকায় ঐ মামলা ‘মাজদার হোসেন মামলা’ নামে পরিচিত লাভ করেছে। মাজদার হোসেনসহ অন্যান্য বিচারকদের দায়ের করা রীট আবেদনের রায়ের বিরুদ্ধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সচিব সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে দেওয়ানী আপিল মামলা নং ঃ ৭৯ / ১৯৯৯ দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় ১৯৯৯ সনের ডিসেম্বর মাসের দুই তারিখে রায় ঘোষিত হয়। এই মামলার রায়ে বিচারকদের বেতন বৈষম্য দূর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সাথে সংবিধানিক দায়িত্ব পরিপূর্ণ করার জন্য ১২(বার) দফা নির্দেশাবলী দেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট। মূল আবেদনে এরূপ প্রতিকার প্রার্থনা না করা হলেও প্রসঙ্গক্রমে এ বিষয়গুলো আলোচনায় এসে যায় এবং মাননীয় আদালত স্বেচ্ছা প্রবৃত্ত হয়ে এই প্রতিকার (এৎধঃঁরঃড়ঁং ৎবষরবভ) দেন। এই নির্দেশাবলী ২০০০ সনের মে মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
সুপ্রীম কোর্টের রায়ে সুস্পষ্টভাবেই বলা হয় যে প্রায়োগিক ও কাঠামোগত দিক থেকে বিচার বিভাগের সাথে নির্বাহী বিভাগের সুস্পষ্ট স্বাতন্ত্র ও পার্থক্য রয়েছে। তাই উভয়ের চাকুরীর শর্তাবলী , নিয়ম কানুন ও সুযোগ সুবিধা এক হতে পারেনা। তারা বেতন ভাতা পেনশন পাবে অধিকার হিসাবে, অনুগ্রহ হিসাবে নয়। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়োগ বদলী পদায়নের জন্য পৃথক একটি ‘বিচার কর্ম কমিশন’ থাকবে। এই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসারে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন রকম তর্ক বিতর্ক হতে থাকে। আপীল ও পূনর্বিবেচনা (জবারব)ি নিষ্পত্তি হবার পর ২০০১ সালে উক্ত নির্দেশাবলী বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সময় প্রার্থনা করার সংস্কৃতি চালু হয়। ২০০৭ সাল পর্যন্ত তা চলতে থাকে। তা ২০০৭ সনের ১০ই জানুয়ারী পর্যন্ত বহাল ছিল। ২০০৭ সনের ১১ই জানুয়ারী তারিখে পাল্টে যায় দৃশ্যপট।
শাসন ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ফৌজদারী কার্যবিধি সংশোধন করেন। ১৮৯৮ সনের ফৌজদারী কার্যবিধি সংশোধনসহ প্রণীত হয় প্রয়োজনীয় আইন ও বিধিমালা। এর প্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ১লা নভেম্বর (১৭ই কার্তিক ১৪১৪ বঙ্গাব্দ মোতবেক ১৯শে শাওয়াল ১৪২৮ হিজরী), বৃহাস্পতিবার থেকে দায়রা জজের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেটগণ বিচার কাজ শুরু করেন। মাঠ পর্যায়ে ফৌজদারী বিচার ক্ষেত্রে শুরু হয় নতুন অগ্রযাত্রা। শাসন বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করার মূল কাজ এগিয়ে যেতে থাকে দ্রুত।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো অদ্যাবধি হয়নি। এ ব্যাপারে বলা হয় যে বিচারকদের তা দেওয়া হলে অন্য সার্ভিসের কর্মকর্তারাও তা দাবী করবে। তার ফলে সার্ভিস সমূহের ভারসাম্য নষ্ট হবে। এই যুক্তিটা সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের ১২-দফা নির্দেশাবলীর পরিপন্থি। তবুও এই যুক্তিতেই বিচারকদের মূল বেতন সরকারের অন্যান্য সার্ভিসের কর্মকর্তাদের বেতন কাঠামোর সাথে সমন্বিত করেই নির্ধারন করা হয়।
বিচারকদের জন্য ৩০% ‘বিচারিক ভাতা’ নির্ধারন করা হয। এই ভাতা তাদেরকে দেওয়া হচ্ছে ২০০৯ সালের জুলাই মাসের এক তারিখ থেকে। চাকুরীরত অবস্থায় তারা এই বিশেষ ভাতা পেলেও অবসর গ্রহণের সময় তারা এটা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাদের মতে এটা একটা বিশেষ ভাতা, অবসর-উত্তর ছুটি ভোগকারীগণ আইনত তা পেতে হকদার নন। বিচারকদের দায়িত্ব পালনের সময় তাদেরকে জন-বিচ্ছিন্ন থেকেই তা করতে হয়।
বিচার কর্মে প্রভাবিত করতে পারে এরূপ ব্যক্তির আমন্ত্রণ গ্রহণ বা তাকে আমন্ত্রন করা থেকে বিচারকদেরকে বিরত থাকতে হয়। এর প্রভাব তার স্ত্রী-সন্তানসহ নিকট আত্মীয়-স্বজনদের উপরও পড়ে। সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশনা অনুসরণ করা হলে এ প্রশ্নগুলো উঠতো না। আজ এইসব প্রশ্নের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগও উঠেছে। এতদ সম্পর্কিত একটি রুল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।
সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত রায়ে প্রদত্ত নির্দেশনাবলী বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রার্থনা করে ২০১২ সনের জুন মাসের এগার তারিখে রেসপনডেন্ট ( অর্থাৎ মাজদার হোসেনসহ অন্যান্য বিচারকগণ)এর পক্ষ থেকে দরখাস্ত করা হয়। দরখাস্তকারী/ রেসপনডেন্ট পক্ষ ও প্রতিপক্ষ/ আপিলকারী পক্ষের বক্তব্য শুনানী অন্তে আদালত ২০১২ সনের জুলাই মাসের উনিশ তারিখে একটি আদেশ দেন। উক্ত আদেশ ২০১২ সনের সেপ্টেম্বর মাসের সাতাশ তারিখের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই নির্দেশ দেওয়া হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন ও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবত্রয়কে। সেই সাথে ২০১২ সনের অক্টোবর মাসের এক তারিখে পূর্বাহ্ন ৯-০০মিনিটের সময় অর্থ সচিবকে ব্যক্তিগতভাবে আপিল বিভাগে হাজির হবার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তিনি উক্ত মতে হাজির হয়ে হলফনামা সম্পাদনের মাধ্যমে আদালতকে নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিষয়ে জানাবেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছেঃ
প্রত্যেক বিচারক তার মূল বেতনের সমপরিমাণ ‘বিচারিক ভাতা’ পাবেন। বাসা ভাড়া ভাতা বাবদ তাঁরা মহানগর এলাকায় ৬৫% ; নারায়ণগঞ্জ চট্টগ্রাম রাজশাহী সিলেট বরিশাল পৌর এলাকায় ৫৫% ; অন্যান্য জেলা ও চৌকী এলাকায় ৫০% পাবেন। সরকারী বাসায় বসবাসের জন্য মূল বেতন থেকে শতকরা সাড়ে সাত ভাগ কেটে নেবার বিধান বিচারকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। আপ্যায়ন ভাতা বাবদ জেলা জজ প্রতিমাসে আট শত টাকা এবং মুখ্য বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট ও মুখ্য মহানগর ম্যাজিষ্ট্রেট প্রতি মাসে চার শত পঞ্চাশ টাকা পাবেন।
জেলা জজ ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাগণ গার্হস্থ্য সহায়তা ভাতা বাবদ প্রতি মাসে এক হাজার দুই শত টাকা পাবেন। প্রত্যেক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ফি বৎসর পোষাক ভাতা বাবদ পাঁচ হাজার টাকা পাবেন। অন্য সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় রেখে বিচারকগণ পরিবহন সম্পর্কিত সুবিধাদি পাবেন। ‘চৌকি’তে কর্মরত বিচারকগণ মূল বেতনের শতকরা পনর ভাগ বিশেষ ভাতা পাবেন। এই নির্দেশনা ২০০৯ সনের জুলাই মাসের পহেলা তারিখ থেকে কার্যকর করতে হবে।
অন্য সার্ভিসে কর্মরত কর্মকর্তাদের প্রাপ্য সুবিধাদিও অনুরূপ সুবিধা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণও পাবেন। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের চাকুরীর বয়স বাড়িয়ে বাষট্টি করে ‘বিচার কর্ম বিধিমালা’ হালনাগাদ করতে হবে।
নির্দেশিত মতে অর্থ সচিব ২০১২ সনের অক্টোবর মাসের এক তারিখে পূর্বাহ্ন ৯-০০মিনিটের সময় ব্যক্তিগতভাবে আপিল বিভাগে হাজির হন। তবে তিনি উক্ত মতে হলফনামা সম্পাদন করেন নাই। তাঁর পক্ষে এটর্নি জেনারেল একটি দরখাস্ত দাখিল করে দুই সপ্তাহের জন্য সময় প্রার্থনা করেন।
সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব এ্যাটর্নি জেনারেল পালন করেন। এই জন্যই তিনি সকল আদালতে বক্তব্য পেশ করার অধিধকার লাভ করেছে। বর্তমানে এইরূপ জন-গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর বিষয়ে অর্থ সচিবের পক্ষে সময় প্রার্থনা করার বিষয়ে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা বা অনুমতি পেয়েছেন কিনা সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা যায় নাই।
সুপ্রীম কোর্ট উক্ত রায়ে ১২-দফা নির্দেশনায় অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের কর্মস্থলে কার্যকালের নিরাপত্তা; বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদিসহ পেনসনের নিরাপত্তা এবং সংসদ ও নির্বাহী বিভাগ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বাতন্ত্রের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধানের কথা বলা হয়েছে। এর জন্য বিচারকদেরই বার বার আদালতের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে।
একবার শাসক মহল থেকে বলা হয়েছিল এর জন্য কুড়ি বৎসরেরও অধিক সময় লাগবে। কিন্তু ২০০৭ সালে মাত্র দশ মাসের মধ্যেই বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেটদেরকে দায়রা জজের নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধায়নে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। তাই সময় প্রার্থনার বিষয় দেখলে পুরাতন স্মৃতিটাই আমাদের নাড়া দেয়। প্রশ্ন আসে আন্তরিকতার। দেশের মেধাবী সন্তানদের সমন্বয়ে গঠিত অধস্তন আদালতের কর্মরত, অবসর-উত্তর ছুটিভোগরত এবং পেনশন ভোগরত বিচারকগণকে সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক নির্দেশিত নিরাপত্তা সুবিধা পাবার জন্য আর কত কাল অপেক্ষা করতে হবে ???...
লেখকঃ সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ।
ই-মেইলঃ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।