নিজেকে অপরের থেকে ছোট ভাবা একটি মারাত্নক মানসিক সমস্যা যা পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রীয় জীবনে বিপর্যয় আনতে পারে।
হীনমন্যতা বা ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স কি?
এটা এক ধরনের অনুভূতি যা আক্রান্ত ব্যক্তিকে মনে করিয়ে দেয় সে অন্যদের তুলনায় নিচু বা নিকৃষ্ট কিছু ব্যাপারে। এটা কোন কোন সময় অবচেতনভাবে জন্ম লাভ করে; তবে ব্যক্তি এটার প্রকাশ ঘটায় কিছু অভাবনীয় সাফল্যজনক কাজ করে বা মানসিক বিকারগ্রস্ত লোকদের মতো মারাত্নক বিপর্যয় সৃষ্টি করে।
হীনমন্যতা তৈরি হওয়ার কারণ?
সাধারণত চারটি প্রধান কারণে হীনমন্যতা তৈরি হতে পারে। এগুলো হচ্ছে
১. বাবা-মা’র আচরণ এবং তাকে অযত্নে বড় করে তোলা, বাবা-মা সন্তানকে সবসময়ই নেগেটিভ অ্যাটিচুড, সবকিছুতে না বলা, সন্তানের চাহিদা ও ব্যবহারে এনালাইজ না করা, বিশেষত ছয় বছর বয়সের আগে এই হীনমন্যতা তৈরি হতে পারে।
এছাড়াও বাবা-মার সম্পর্ক খারাপ হলে ঝগড়া-ঝাটি করলে, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হলে, মতের মিল না হলে, এক সঙ্গে খাওয়া দাওয়া চলাফেরা না করলে, সন্তানদের সঠিক পর্যাপ্ত সময় না দিলে, তাদের সুখ-দুঃখ ভাগ না করলে এবং প্রতিটি ভালো কাজে উৎসাহ না দিলে, খারাপ কাজ করার জন্য অনুৎসাহিত না করলে বাচ্চাদের হীনমন্যতায় ভোগার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২. শারীরিক ত্র“টি ক্ষ মুখ ও শরীরের অস্বাভাবিকতা, উচ্চতা সঠিক না হওয়া, ওজন বাঞ্ছিত না হয়ে মেদশূন্য বা মোটা বা খুব পাতলা হওয়া, কথার সমস্যা, চোখের সমস্যা, কানের সমস্যা ইত্যাদি হীনমন্যতা তৈরি করতে সাহায্য করে।
৩. মানসিক সীমাবদ্ধতা ক্ষ যখন অন্য সন্তান বা অন্যদের ভালো কাজের প্রশংসা এবং তুলনা করা হয় যেখানে মোটামুটি সন্তোষজনক ফলাফল হলেই প্রত্যাশিত ছিলÑ এ ধরনের অবস্থা অন্য সন্তানকে হীনমন্যতা তৈরিতে সাহায্য করে।
৪. সামাজিক অসুবিধা এবং বৈষম্য; বিশেষত পরিবার, বর্ণ, গোত্র, যৌনশিক্ষা, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ধর্ম হীনমন্যতা তৈরির জন্য দায়ী।
হীনমন্যতার প্রকারভেদ
হীনমন্যতাকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
একটি প্রাইমারি অন্যটি সেকেন্ডারি। প্রাইমারি হীনমন্যতা বলতে উঠতি বয়সের বাচ্চাদের দুর্বলতা, সাহায্য না পাওয়া এবং নির্ভরতায় আদি অভিজ্ঞতাকেই বুঝায়। সেকেন্ডারি হীনমন্যতা বলতে প্রাপ্ত বয়স্কদের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারা, যার জন্য অচেতনতা, সঠিক নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক না করা এবং হীনমন্যতার অনুভব দূর করার জন্য কোন সাফল্য না পাওয়া বুঝায়।
চিকিৎসা
যে কোন পরিবারের কোন সদস্য হীনমন্যতায় ভুগছে সন্দেহ হলে তাকে প্রতিরোধের জন্য উপরে বর্ণিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে। এতেও কাজ না হলে বিশেষজ্ঞ মানসিক চিকিৎসক, সাইকোথেরাপিস্টের কাছে নিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা করাতে হবে।
আমাদের সবাইকে এ ব্যাপারে এখন থেকে সচেতন ও উদ্যোগী হতে হবে।
আমার Psycho Therapy online****সাইকোথেরাপী অন লাইন এ এখানে দেখুন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।