দেখা যত ছবি, শোনা যত শব্দ, হৃদয়ের সব উপলব্ধি, আর যত এলোমেলো ভাবনা
বেশ কিছুদিন ধরেই ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা বিজ্ঞাপনের ফর্ম নিয়ে তীব্র কাটাছেঁড়া চলছিল। নিজের দীর্ঘ ২৩ বছরের কেরিয়ারে এই বার সবথেকে বেশি সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে সচিনকে। তাঁর বিখ্যাত ফুটওয়ার্কে জং ধরেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বয়ং গাভাস্কার। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ব্যর্থ হওয়ার পর হালে পানি পেয়েছেন সঞ্জয় মঞ্জেরেকরের মত স্বঘোষিত সচিন বিরোধীরা। আর সচিনের অবসর নিয়ে তো মিয়াদাদের মত প্রাক্তন ক্রিকেটাররা তো কবেই সোচ্চার হয়েছিলেন।
এমনকী ফেসবুকের পাতাতেও তাঁর অবসর নিয়ে তৈরি হচ্ছিল একের পর এক কার্টুন। তবে এতদিন সেই সব সমালোচনাকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে সচিন বলে যাচ্ছিলেন অবসরের সিদ্ধান্ত তাঁর একেবারে একান্ত। এখনই তা নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনাই তিনি করতে চান না।
তবে ভাবার সময় আসলেই এসেছে। গত মাসে বলেছিলেন এক সাক্ষাতকারে- ''আমার এখন ৩৯ বছর বয়স।
আমি মনে করি না এখনও আমার মধ্যে প্রচুর ক্রিকেট বেঁচে আছে। তবে সবটাই নির্ভর করছে আমার শারীরিক ক্ষমতা আর মানসিকতার উপর। যখনই বুঝবো দেশের জন্য যেটা দরকার সেটা আমি আর দিতে পারছি না, তখনই সরে দাঁড়াবো। কেউই আশা করতে পারেনা যে আমি সারা জীবন খেলে যাবো। আমি আমার হৃদয়ের কথা মেনেই চলব।
'' তবে তারই সঙ্গে তাঁর কথায় এটাও বোঝা গেছে যে এই মুহূর্তে সচিন পাখির চোখ দেখছেন দেশের মাটিতে নভেম্বরের ইংল্যন্ড সফরকেই।
তাই সেই অবস্থাও এখন স্পষ্ট যে আমরা আরেকজন ক্রিকেট গ্রেট কে হারাতে চলেছি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।