আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতীয় শোক ঘোষনা করা হোক

বিক্ষিপ্ত ভাবনা আশুলিয়া এবং বহদ্দরহাট ট্ট্যাজেডির জন্য জাতীয় শোক ঘোষনা করা হোক। এই ধরনের দূর্ঘটনার পর সরকার বা প্রশাসনের তরফ থেকে তৎপরতা থাকে কি করে মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া যায়। সরকার একটিবারও চিন্তা করেনা যারা এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্হ হয় তাদের মানসিক অবস্হা। পুরো দেশ আজ শোকাহত, স্তব্দ। সরকারের উচিৎ শোকাহত পরিবার, সমাজের মানসিক অবস্হাকে ধারন করে জাতীয় শোক ঘোষনা করা।

কতজন মানুষ জীবন হারিয়েছেন? - যতটুকু জানা যায় আশুলিয়ায় ১৭০ জন এবং চট্রগ্রামে ৭০ জনের অধিক। চট্রগ্রামের ঘটনায় সরকারী দলের নেতারা সরাসরি জড়িত থাকায় মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করা হচ্ছে। এ আরেক ট্র্যাজেডি। । এ গুলো কি শুধুই মৃত্যু - না হত্যা? এগুলোকে তখনি শধু মৃত্যু বলা যাবে যখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেয়ার পরও দূর্ঘটনা ঘটে।

কিন্তু এই দুই দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ব্যবস্হাই নেয়া হয়নি দূর্ঘটনা রোধে। তাই এগুলো মৃত্যু নয় - এ হচ্ছে হত্যা। এ হত্যায় কার দায় কতটুকু তা তদন্ত সাপেক্ষ। ব্লগে হয়ত আগের ঘটনা গুলোর মত কয়েকদিন লেখা লেখি হবে আবার সবাই ভুলে যাবে। কারণ, বাংলাদেশে মানুষের জীবনের মূল্য কুরবানীর গরুর ছেয়েও সস্তা।

এই অবস্হায়,আমি সরকারের কাছে জোর দাবী জানচ্ছি জাতীয় শোক ঘোষনার জন্য এতে হয়ত শোকাহতদের প্রতি কিছুটা হলেও সহমর্মিতা প্রকাশ করা হবে, আর সমাজের অর্থলোভীদের মধ্যে কিছুটা হলেও যদি মানবিকতা আসে, যাতে তারা ভবিষ্যতে এ জাতীয় ঘটনা রোধে ব্যবস্হা নেয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.