ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'আয়রন ডোম' থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যচ্যুত হয়ে অবৈধ রাষ্ট্রটির আশদোদ শহরে আঘাত হেনেছে। আট দিনের গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের রকেট হামলা ঠেকাতে আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল ইহুদিবাদী ইসরাইল। গত ২১ নভেম্বর এ ধরনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যচ্যুত হয়ে আশদোদের একটি ব্যস্ত রাস্তার কাছে আঘাত হানে।
ইসরাইলি গণমাধ্যম আজ ঘটনাটি প্রকাশ করেছে।
ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের নিক্ষিপ্ত রকেট লক্ষ্য করে ছোঁড়া ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আশদোদের ওই সড়কের ৩০ মিটার দূরে আঘাত হানে এবং বিস্ফোরিত হয়।
এ ঘটনায় আয়রন ডোমের ব্যর্থতা আরেকবার প্রমাণিত হল।
ইহুদিবাদী ইসরাইল এতদিন দাবি করতো, সেদেশের জনগণ বাইরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ। কারণ, তাদের রয়েছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'আয়রন ডোম'। কিন্তু গাজার ইসলামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে মাত্র আট দিনের যুদ্ধে পর্যদুস্ত ইসরাইল টের পেয়েছে, আয়রন ডোম চরম অকার্যকর একটি ব্যবস্থা। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নিক্ষেপ করা দেড় হাজার রকেটের মধ্যে মাত্র ৪২০টি প্রতিহত করতে পেরেছে এই আয়রন ডোম।
গত বুধবার রাতে মিশরের মধ্যস্থতায় গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরাইল। যুদ্ধ চলার সময়ে গাজা উপত্যকার বেসামরিক স্থাপনায় চালানো ইসরাইলি পৈশাচিক হামলায় নারী ও শিশুসহ ১৬০ জন ফিলিস্তিনি শাহাদাত বরণ করেন। আহত হন বারো শ'রও বেশি মানুষ। অপরদিকে, এ যুদ্ধে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলায় এক ইসরাইলি সৈন্যসহ অন্তত পাঁচ ইহুদিবাদী নিহত হয়।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির পরও ইহুদিবাদি যুদ্ধমন্ত্রী এহুদ বারাক গতকাল সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হলে তেল আবিব আবারো যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছে।
যদিও ইতিহাস বলে, অতীতে সব সময় ইসরাইলই আগে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। তবে হামাসও পাল্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, তাদের যোদ্ধাদের হাত রকেটের বোতামে লাগানো আছে। যে মুহূর্তে ইহুদিবাদীরা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করবে সেই মুহূর্তে ইসরাইল অভিমুখে রকেট-বৃষ্টি শুরু হবে। #
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।