অনেক খারাপ খবরের মাঝে যেন আলোর ঝলকানি। দুদক কোকোর পাচারকৃত কিছু টাকা সিঙ্গাপুর থেকে ফেরৎ এনেছে। অনেকে এটাকে দুদকের সাম্প্রতিক কালের বড় সাফল্য হিসেবে উল্ল্যেখ করছেন। যদিও বিএনপি এটাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে দেখছেন।
সাবেক প্রধাণ মন্ত্রীর জন্য বিষয়টির বিচার সংবেদনশীল।
তিনি একাধারে একজন জনপ্রিয় সাবেক প্রধাণ মন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতাত অবশ্যই সর্বোপরি কোকোর মা। কোন মা কি সন্তানের এধরণের কার্য্যক্রম মেনে নিতে পারে?
সংবাদপত্র এবং টকশো শুনে বিষয়টি বিচার করা মুশকিল যে - এটি কি দুদকের সাফল্য নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত? তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা জনাব আকরর আলী খানের মন্তব্য আমার ভাল লেগেছে। তিনি বলেছেন- টাকা উদ্ধারের ঘটনাটি এ খাতের একটি উল্ল্যেখযোগ্য উন্নয়ন। কিন্তু এ ধরণের একটি মাত্র ঘটনা অর্থ পাচারের বিষয়টি প্রতিরোধ করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, কিন্তু যদি এ ধরণের ঘটনা অব্যাহত রাখা যায় এবং আরও বেশি বেশি টাকা উদ্ধার করা যায় তাহলে অর্থ পাচারের সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গের জন্য এটা একটা শক্তিশালী বার্তা হতে পারে।
এখন সরকারের নৈতিক দ্বায়িত্ব এটা প্রমাণ করা যে, মানি লন্ডারিং-এর বিষয়টি মোটেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয় বরং অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে (সে যে দলেরই হক না কেন) একটি শক্তিশালী আঘাত।
অর্থ পাচারকারীরা কোনভাবেই বাংলাদেশের মানুষের বন্ধু না। তারা আমাদের শুত্রু। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন। আসলে এসব দুবৃত্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে কেবলই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
তার কখনো জনগনের আপন হয় না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।