আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সন্ত্রাসবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই

"ধর্ম ছারা বিজ্ঞান পঙ্গু,বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ। "-আলবার্ট আইনস্টাইন বর্তমান বিশ্বে গুটিকয়েক অন্ধ মানুষ ধর্মের নামে অধর্ম করছে। আর তার জন্য দোষ হচ্ছে ধর্মের। ধরুন আপনি একজন লোককে বললেন তুমি মিথ্যা বলোনা। কারন মিথ্যাবাদিকে কেও পছন্দ করেনা।

কিন্তু সেই লোক আপনার কথা পালনতো করলইনা বরং মিথ্যা বলা,চুরি করাসহ নানাবিধ প্রতারনামুলক কাজ করছে। এখন আমার প্রশ্ন দোষ কার? আপনার? না যে কথা মানলনা তার?যুক্তিবাদী লোক অবশ্যই বলবেন "যে মানলনা তার"। ইসলামের ক্ষেত্রেও একি ঘটনা ঘটেছে। ইসলামে শুধুমাত্র নির্বিচারে মানব হত্যাকেই নয় বরং বিশৃংখলাকে পর্যন্ত হারাম করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, "বিশৃংখলা সৃষ্টি হত্যা অপেক্ষা অপরাধ।

" সুরা: বাক্বারাহ ; আয়াতঃ ১৯১ কিছু সন্ত্রাস নির্বিচারে মানুষ মারছে আর আমরা তাদেরই মুসলিমদের প্রতীক বা উদাহরণ হিসেবে বেছে নিয়ে ইসলামকে ভুল বুঝছি। যারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে তাদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক এরশাদ করছেনঃ "এ কারনেই বনি-ইসরাঈলের প্রতি বিধান এ দিলাম যে,নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কাজ করার জন্য ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করল সে যেন পৃথিবির সকল মানুষকেই হত্যা করল,আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করল সে যেন সকলের প্রাণ রক্ষা করল। তাদের নিকট তো আমার রাসূলগণ স্পষ্ট প্রমাণ এনেছিল,কিন্তু এর পরও অনেকে পৃথিবিতে সীমালংঘনকারীই রয়ে গেল। " সুরা মা-য়িদা ; আয়াতঃ৩২ অর্থাৎ উল্লেখিত ধরনের কাজগুলোর অপরাধ ছাড়া কাউকে হত্যা হলো সীমালংঘন করা । তাই নিরপরাধে নরহত্যা ইসলামের কোনো বিধান নয়।

কেউ এ কাজ করলে সে জঘন্য পাপ করবে। কাজেই সন্ত্রাসবাদের ইসলামে কোন ঠাঁই নেই। কারো প্রতি জুলুম করা ,কারোঅধিকার ক্ষুন্ন করা হারাম। ইসলামের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ণ করার পেছনে সবচেয়ে বড় হাত হলো মিডিয়ার। ড.জাকির নায়েক তার একটি লেকচারে এ বিষয়ে চমৎকার একটি কথা বলেছিলেন যার সারসংক্ষেপ এই যে বিশ্বে সাধারন মুসলিম জনসংখ্যা ১৫০ কোটিরও বেশী,তার তুলনায় সন্ত্রসীর সংখ্যা অতি নগন্য।

যখন কোন মুসলিম নামধারি খারাপ মানুষ খারাপ কাজ করে তখন সেটা শিরনাম হয়ে যায়। শিরনামে লিখা থাকে অপরাধি মুসলিম ছিল,কিন্তু একথা বলা হয়না যে, যে লোক বা লোকগুল খারাপ কাজ করেছে তারা সংখ্যায় কেবল কয়েকজন কিন্তু সরল সহজ শান্ত শান্তিপ্রিয় মুসলিমের সংখ্যা ১৫০ কোটিরও বেশি। আর সংখ্যালঘিষ্ঠ দল দ্বারা একটি বিশাল জাতিকে হিসেব করা কোন সুবিবেচকের পক্ষে মোটেই উচিত নয়। কিছু মানুষ মানবাধিকারের কথা বলেন,কিন্তু তারাই আবার মুহাম্মদ(সাঃ) কে অবমাননা করে চলচিত্র নির্মাণ করেন,কার্টুন আঁকেন। তারা কি এতটুকু বোঝেনা যে কত মানুষের হৃদয়ের নিধি তিনি,তাঁকে অবমাননা করে বিশ্বের ২১.০১% মানুষকে কাঁদানো কোন ধরনের মানবাধিকার সংরক্ষণ নীতি,কোন ধরনের মানবতা?এর জন্য কিন্তু আমি আমেরিকানদের দোষ দেবনা ,দেব পশুর চেয়ে অধম সেই মানুষকে।

মহান আল্লাহ আমদের নির্দেশ দেন, "তোমরা আদ্‌ল কায়েম কর,এটি তাক্‌ওয়ার অতি নিকতবর্তী। " সূরা আল-মায়িদা; আয়াতঃ০৮ ((আদ্‌ল শব্দের অর্থ ইনসাফ ও ন্যায় বিচার করা। )) সবশেষে কোরআনে মাহান এক অ অদ্বিতীয় স্রষ্টা মহান আল্লাহর একটি চ্যালেঞ্জ লিখে আজকের মত বিদায়, । ২৩। এবং আমি আমার দাসের [মুহাম্মদ (সাঃ)] যা অবতীর্ণ করেছি,যদি তোমরা তাতে সন্দেহ করো,তাহলে অনুরুপ একটি সূরা আনয়ন করো এবং যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহ্বান কর।

। ২৪। । যদি তোমরা (আনয়ন) না কর, এবং কখোনই করতে পারবে না ,তবে সেই আগুনকে ভয় কর,যার ইন্ধন মানুষ ও পাথর,যা অবিশ্বাসীদের জন্য প্রস্তুত আছে। সূরা বাক্বারাহ্‌ ;আয়াতঃ২৩-২৪ লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): জঙ্গিবাদ, ইসলাম ; প্রকাশ করা হয়েছে: ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারনা বিভাগে ।

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:০৯ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.