আজকাল মশার কয়েল দিয়ে যেমন মশা মরে না ঠিক তেমনি আমার ব্লগিং দিয়ে এই দেশের কোনো উপকার হবে না :D "আমি আমার ছেলেদের মাদ্রাসায় দেইনি এজন্য যে আমি তাদের যোগ্য বানাতে চাই" - গোলাম আযম, জামাতের কুখ্যাত প্রাক্তন প্রধান, সাপ্তাহিক ২০০০ এ- সাক্ষ্যাৎকারে বলছিল ২০০৮ সালে।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ সব সময়ই দাবী করে তাদের মূল লক্ষ্য হলো ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা। ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কিরূপ হওয়া উচিত সেই বিষয়ে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। এ দেশে প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতি যেটি তাদের ভাষায় আধুনিক শিক্ষা, এই আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান। ... গোলাম আযম ‘শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামী রূপরেখা’ পুস্তিকার ৭ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, ‘ইংরেজ প্রবর্তিত আধুনিক শিক্ষাই যদি আদর্শ শিক্ষা বলে প্রচারিত হয় তাহলে এ শিক্ষার ফল দেখে কোনো ইসলামপন্থী লোকই সন্তুষ্টচিত্তে এ ধরনের শিক্ষাকে সমর্থন করতে পারে না।
’ ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘পাশ্চাত্য মতাদর্শে বিশ্বাসীরা মানুষকে অন্যান্য পশুর ন্যায় গড়ে তুলবার উপযোগী শিক্ষাপদ্ধতির প্রচলন করেছেন। এ শিক্ষা দ্বারা মানুষ্যত্বের বিকাশ অসম্ভব। ’ এই বইয়ের ২১ নম্বর পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের গোটা পরিবেশ একেবারেই ইসলামবিরোধী। ’
তারা মাদ্রাসা মাদ্রাসা করে চিল্লান যাতে দেশের মানুষ ভাল ধর্ম শিক্ষা পায় আর বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা তো বেদাত । আসুন দেখেনেই তাদের সন্তানর কই পড়ে বা কি পড়েছে।
গোলাম আযমের ৬ ছেলে । তাদের বর্ণণা -
১. আব্দুল্লাহহিল মামুন আল আযমী : খিলগাঁও গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে
এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার
থেকে অর্থনীতিতে এমএ।
২. আব্দুল্লাহ হিল আমিন আল আযমী : খিলগাঁও গর্ভমেন্ট স্কুল
থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ
স্বাধীন হলে দেশত্যাগ এবং লন্ডনে নিটিং ফ্যাক্টরিতে কাজ শুরু করেন।
৩. আব্দুল্লাহ হিল মোমেন আল আযমী : সিদ্ধেশ্বরী স্কুল থেকে এসএসসি, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ থেকে এইচএসসি।
একই কলেজ থেকে বিকম পাস করেছেন।
৪. আব্দুল্লাহ হিল আমান আল আযমী : আমান আযমী ১৯৭৫ সালে সিলেট সরকারি অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে এসএসসি, ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ থেকে তৃতীয় বিভাগে এইচএসসি পাস। এরপর ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন (সবার জন্য নির্ধারিত তারিখের একমাস পর তিনি মিলিটারি একাডেমীতে যোগদান করেন)। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণী পাওয়া একজন অতি সাধারণ ছাত্র জিয়ার সময় সেনাবাহিনীতে কিভাবে কমিশন পেলেন সে প্রশ্ন অনেকেরই। ২০০৯ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে কর্মরত অবস্থায় বরখাস্ত।
৫. আব্দুল্লাহ হিল নোমান আল আযমী : ঢাকা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন।
৬. আব্দুল্লাহ হিল সালমান আল আযমী : মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি, এইচএসসি ঢাকা কলেজ থেকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অর্নাসে ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু শেষ করতে পারেননি। এরপর আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মার্স্টাস করেন।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।