আজকে খবরে দেখলাম আমাদের সচিবালয়নে নাকি সুন্দরী মাইয়াগো নিয়ে বিশাল তদবীর পার্টি গড়ে উঠেছে।
আমি বহুবার নানা কাজে সচিবালয়ে গেছি, কিন্তু মাগার সুন্দরী মাইয়া তো দেখি নাই।
আপসুস,
হায়রে আমার পোড়া কপাল। একবারও দেখা পেলাম না।
কোন কোন সিনিয়র আমলা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সুন্দরী মহিলাদের মাখামাখিটা একটু বেশি।
এ কারণে সময়ে অসময়ে তারা সিনিয়র আমলা বা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর রুমে ঢুকে যান। তারা রুমে ঢোকার পর থেকেই অসময়েও কিছু আমলার রুমের সামনে ‘লাল বাতি’ জ্বলতে দেখা যায়।
তখন ওই সব দপ্তরের পিয়নদের কাছে জিজ্ঞেস করলে বলা হয়, স্যার এখন রেস্ট নিচ্ছেন। সারাদিন মিটিং সিটিং নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন। খামাখা বিরক্ত করবেন না।
পূরো নিউজটা এখানে পাবেন দৈনিক মানব জমিনে
দেশের প্রশাসনযন্ত্র সচিবালয়ে সুন্দরী মহিলাদের আড্ডার সঙ্গে তদবির বাড়ছে। এর পাশাপাশি বাড়ছে আনাগোনাও। যে দপ্তরে কাজ, ওই দপ্তরেই দেখা যাচ্ছে তাদের ব্যাপক জটলা। কাজ নেই এমন মন্ত্রণালয়গুলোতে তাদের উপস্থিতি শূন্য। ওই সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের রুমগুলোও ফাঁকা।
তবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব বা সিনিয়র অনেক কর্মকর্তার রুমেই তাদের অবাধ আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। ঊর্ধ্বতনদের ব্যক্তিগত স্টাফরা তাদের চেনেন- এজন্য সবসময় সমীহের চোখে দেখেন। সচিবালয়ে সচরাচর যা দেখা যায় তা হলো কোন কোন সিনিয়র আমলা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সুন্দরী মহিলাদের মাখামাখিটা একটু বেশি। এ কারণে সময়ে অসময়ে তারা সিনিয়র আমলা বা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর রুমে ঢুকে যান। তারা রুমে ঢোকার পর থেকেই অসময়েও কিছু আমলার রুমের সামনে ‘লাল বাতি’ জ্বলতে দেখা যায়।
তখন ওই সব দপ্তরের পিয়নদের কাছে জিজ্ঞেস করলে বলা হয়, স্যার এখন রেস্ট নিচ্ছেন। সারাদিন মিটিং সিটিং নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন। খামাখা বিরক্ত করবেন না। নাছোড়বান্দা হয়ে দেখা করতে চাইলে বলা হয়, ২০ মিনিট ঘুরে আসুন। দেখি দেখা করিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা।
পিয়নের কথায় পাত্তা না দিয়ে কৌতূহল দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেই থলের বেড়াল বেরিয়ে আসবে। স্বচক্ষে দেখা মিলবে কোন সুন্দরী মহিলা হাসতে হাসতে ওই রুম থেকে বের হচ্ছেন। কর্মকর্তা বা মন্ত্রণালয়/বিভাগের সর্বোচ্চ পদে আসীন ব্যক্তিটি হাসতে হাসতে তাকে বিদায় জানাচ্ছেন। প্রতিদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে দেশের প্রশাসন যন্ত্র সচিবালয়ে এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সরকারের শেষ মুহূর্তে সুন্দরীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে।
প্রবেশদ্বারে তাদের জটলা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা এখন আর নেই। সেলফোন আসার পর থেকে যেন সব কিছু বদলে গেছে। এখন তারা সংসদ সদস্যের বডিগার্ড বা কোন বড় আমলার আত্মীয় সেজে সচিবালয়ে প্রবেশ করছেন। সঙ্গি প্রাডো, এফ প্রিমিও, লেক্সাস টাইপের লেটেস্ট মডেলের গাড়ি। সকাল ১০টার পর থেকেই সচিবালয়ে সুন্দরীদের আগমন শুরু হয়ে যায়।
তাদের কোন কোন গাড়িতে লেখা রয়েছে ‘সংসদ সদস্য’। আদতে তারা সংসদ সদস্য বা এমপি নন। এরপর নির্ধারিত রুমে গিয়ে আড্ডায় মেতে উঠছেন তারা। বিভিন্ন কর্মকর্তা ও তদবিরকারীদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র আমলাসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন এমন কর্মকর্তাদের রুমে তাদের আনাগোনা ব্যাপক। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ কর্মকর্তার রুমে বসে তাদের সারা দিন আড্ডা মারতে দেখা যায়।
সচিবালয়ে চার নম্বর ভবনে অবস্থিত ভূমি মন্ত্রণালয়। ওই মন্ত্রণালয় সুন্দরীদের আড্ডাস্থল বলা চলে। ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরার এক ব্যক্তিগত কর্মকর্তার রুমে তাদের আনাগোনা ব্যাপক। সপ্তাহের পাঁচ কর্ম দিবসে ওই ব্যক্তিগত কর্মকর্তার রুমে গেলে দেখা যায়, কর্মকর্তাটি একটার পর একটা সিগারেট ফুঁকছেন, আর গল্প করছেন জমিয়ে। কখনও হাসিতে লুটোপুটি খাচ্ছেন।
সুন্দরীরা তাতে বেশ তাল দিচ্ছেন। একই সঙ্গে গল্পের মজায় শরিক হয়ে হাসি-তামাশা করছেন। তবে গল্পের ফাঁকে সুন্দরীরা নিজেদের কাজটি উদ্ধার করতে কোন মতেই ভুল করছেন না। কাজ করে দেয়ার পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রীর কর্মকর্তাটি এ সুযোগের বাইরে বিভিন্ন ‘অ্যাপয়েনমেন্ট’ করতে ভুলছেন না। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মচারী জানালেন, পূর্ব দিকের লিফট দিয়ে ওঠানামা করেন ওই সব সুন্দরী।
ফলে অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যান তারা। একই ভবনে অবস্থিত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়। ওই প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরেও সুন্দরীদের আনাগোনা রয়েছে। তারা কখনও নিজেকে প্রতিমন্ত্রীর জুনিয়র আইনজীবী, রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। বলেন, প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আমাদের নেতা।
তার কাছে সব কিছু খুলে বলা হয়। কোন কিছুতেই মাইন্ড করেন না। তার মতো নেতা দেশে ১০টা থাকলে ছোট নেতা বা কর্মীদের কোন ধরনের সমস্যা পোহাতে হতো না। গত কয়েক দিন ওই মন্ত্রণালয়ে গিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, সুন্দরী তরুণীরা কাজী নিয়োগ বা বিভিন্ন মামলার তদবির নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আসছেন। দুয়েক জন সুন্দরী সংসদ সদস্যকে এ মন্ত্রণালয়ে পায়চারী করতে দেখা যায়।
একই ভবনে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের দপ্তর। তিনি নারী সহকর্মীদের আগলে রাখতে খুবই পছন্দ করেন। পাশে নারীদের বসাতে খুবই পছন্দ করেন তিনি। সব সময় নারী সহকর্মীদের আদর করে বলেন, কোন সমস্যা হলেই আমার রুমে ছুটে আসবেন। নিঃসঙ্কোচে ও নির্দ্বিধায়।
আমি সব কিছু সমাধান করে দেবো। এমন কথা শুনে ওই মন্ত্রণালয়ের নারী সহকর্মীরা মুখ টিপে হেসে বলেন, আমরা আর কাজ পাই না। একই ভবনে অবস্থিত একটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে নিয়েও বাজারে নানান কথা চালু রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মন্ত্রী নির্ধারিত কয়েক মহিলাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাদের কথার বাইরে খুব একটা আমলে আনতে চান না।
এক নম্বর ভবনের নিচতলায় এক কর্মকর্তার রুমে সুন্দরীদের আড্ডা বসে। ওই কর্মকর্তা তার ঘনিষ্ঠজনদের কাছে বলে বেড়ান, নিজের ঘরে শান্তি পাচ্ছি না। ঘরে গেলেই শুধু অশান্তি আর অশান্তি। এজন্য একটু গল্পগুজব করে শান্তি খোঁজার চেষ্টা করলে মন্দ কোথায়? কর্মকর্তাটি সুন্দরীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খান নিজ রুমে বসে। সব সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য দিয়ে পরিবেষ্টিত থাকায় ওই কর্মকর্তার রুমে গিয়ে খুব বেশি খোঁজখবর কেউ নেন না।
তবে মাঝে মধ্যে ওই কর্মকর্তাটি যখন তার বসদের রুমে যান তখন দেখা যায় সুন্দরীরা সাজগোছ করতে বেজায় ব্যস্ত। যেন এখনই তারা কোন পার্টিতে যাবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন মওসুমে সুন্দরীদের আনাগোনা দেখা যায়, যেমন হজ মওসুম, মসজিদ বা মন্দিরের অনুদানসহ নানা সময়ে। তবে ওই মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের রুমে বসে আড্ডায় মেতে ওঠেন না তারা। তবে সচিবালয়ে সুন্দরীদের আনাগোনা ছাপিয়ে আরেকটি বিষয় বেশ চোখে পড়ে।
অনেকের মতে, জ্ঞানী আমলারা সচিবালয়ে সুন্দরী রমণীদের আড়াল করে চলেন। কথা বলেন, নিজের কাছে থাকা ব্যক্তিগত মোবাইলে। প্রয়োজন হলে যে কোন গোপন জায়গায় দেখা করেন। এক আমলার ব্যক্তিগত বডিগার্ড জানিয়েছেন, স্যারের ডিউটি আমাকে সবসময় করতে হয় না। যখন বিশেষ জায়গায় যান তখন আমাকে রেখে যান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।