‘রাজনীতির রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খান পাঠচক্র’র নামে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে বেশকিছু লিফলেট ছড়ানো হয়েছে। “ব্রিটিশ-পাকিস্তানি আইন-কানুন দিয়ে দেশ আর কতকাল চলবে! নামে ‘বাংলাদেশ’ কার্যত ‘পাকিস্তান’। রুখে দাঁড়াবে জনগণ”— এই শিরোনামে প্রচারিত লিফলেটে পাঁচটি বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
আজ সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দফতর এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে এই লিফলেট পাওয়া যায়। এতে রাজনীতির রহস্যপুরুষ সিরাজুল আলম খানের একটি বক্তব্য তুলে ধরা হয় হয়।
যাতে তিনি বলেছেন, “যে আইন ও বিধির দ্বারা বিদেশি শাসকেরা শাসন করে সে আইন ও বিধিকে বদলিয়ে নিজেদের উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই হলো স্বাধীনতার মূল কথা। বিদেশি শাসক বদলিয়ে দেশি শাসকদের ক্ষমতায় বসিয়ে ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা দিয়ে দেশ পরিচালনা করা জনগণের জন্য এক ধরনের পরাধীনতা। ”
লিফলেটে উল্লেখ করা হয়, দেড়শ-দুশ বছরের পুরনো আইন-কানুন জন্ম দিয়ে চলছে অপরাজনীতি ও অপ্রয়োজনীয় প্রশাসন। যার কুফল বয়ে বেড়াতে হচ্ছে দেশের গোটা জনগোষ্ঠীকে। নির্বাচন ও ভোটের নাম দিয়ে নির্বাচিত হচ্ছে দুর্নীতিবাজ, ব্যবসায়ী, মাস্তান, এমনকি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা।
পার্লামেন্ট পরিণত হয়েছে রাতারাতি হয়ে ওঠা বিত্তবান এবং অযোগ্যদের ক্লাবে। লিফলেটে ব্রিটিশ-পাকিস্তান আমলের শাসনব্যবস্থামুক্ত বাংলাদেশ, স্বাধীন বাংলাদেশের উপযোগী আইন-কানুন ও বিধি-ব্যবস্থা চালু করা, তরুণ প্রজন্ম এবং শ্রমজীবী-পেশাজীবীদের মেধা-মনন-প্রজ্ঞাকে বিকশিত করার প্রয়োজনে রাজনীতির চর্চা করা, দুর্নীতিবাজ-মানবতাবিরোধী-রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ চাওয়া এবং তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার কথা বলা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।