আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট : জর্জ ওয়াশিংটন থেকে বারাক ওবামা

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। দ্বিতীয়বারের কৃষ্ণাঙ্গ বারাক ওবামাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেয়া আমেরিকার আদি বাসিন্দা নিয়ে নানা মত রয়েছে। তবে সেসব মতের চেয়ে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি তা হলো বহুল আলোচিত এ দেশটি প্রথম সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। যদিও গণতন্ত্রের সূতিকাগার হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যুক্তরাজ্যকে।

তবে লিখিতভাবে আমেরিকায় গণতন্ত্রের চর্চা নির্বিঘœ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের স্মরণীয় উক্তি হচ্ছেÑ ‘ঈশ্বরের অধীনে, এই জাতি তার মুক্তির একটি নতুন জন্ম পাবে : সেখানে থাকবে জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের সরকার এবং এই জাতি পৃথিবীতে ধ্বংস হবে না। ’ তার এই উক্তিকে গণতন্ত্রের উৎকৃষ্ট সংজ্ঞা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আব্রাহাম লিঙ্কন আমেরিকার ১৬তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।

৪৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আমেরিকার ইতিহাস সৃষ্টি করা বারাক ওবামার দ্বিতীয়বারের বিজয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রিপাবলিকান মিট রমনি। যিনি আশা করেছিলেন এবার ভোটের হাওয়া তার জন্য উষ্ণ খবর নিয়ে আসবে। তবে হতাশ নন তিনি। গণতন্ত্র চর্চার অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে পরাজয় মেনে নিয়ে ওবামাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই পরাজয় রমনিকে হতবুদ্ধি করেনি।

তাই তিনি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, অ্যান একজন দারুণ ফার্স্ট লেডি হতে পারতেন। তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইও সঠিক ছিল বলে উল্লেখ করেছেন মিট রমনি। কলম্বাস আটলান্টিকের তীরে যে দেশটি আবিষ্কার করেছিলেন, সে দেশটি বিশ্বজুড়ে প্রতাপশালী। তাদের যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা কেমন ছিলেন তা নিয়ে উৎসাহের কমতি নেই। তবে এর মধ্যে আব্রাহাম লিঙ্কনরা যেমন খ্যাতি অর্জন করেছেন, গণতন্ত্র চর্চা করে আলোচিত হয়েছেন।

আবার বিশ্বজুড়ে তাণ্ডবলীলা চালিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন কেউ কেউ। তাদের মধ্যে জর্জ ডব্লিউ বুশের কথা সবার জানা। কেউ আবার যৌন কেলেঙ্কারির জন্য সমালোচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে তারা আমেরিকার এক বৈচিত্র্যময় ইতিহাস নির্মাণ করেছেন। প্রথম দিকে দল নয়, ব্যক্তিই ছিলেন প্রধান।

তবে ক্রমেই রিপালিকান ও ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্য শুরু হয় এবং এটি সর্বজনস্বীকৃত এবং প্রচলিত যে, এ দু’টি দলের কোনো একটি থেকে নির্বাচিত হবেন বিশ্বনেতা ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন। তার নামেই দেশটির রাজধানীর নামকরণ করা হয়েছে। প্রথম প্রেসিডেন্টের ওয়াশিংটনের কার্যদিবস ছিল এপ্রিল ৩০, ১৭৮৯ থেকে মার্চ ৪, ১৭৯৭। তিনি নির্দলীয় প্রেসিডেন্ট।

তার পরে জন অ্যাডামস মার্চ ৪, ১৭৯৭ থেকে মার্চ ৪, ১৮০১। তিনি ছিলেন নির্দলীয় ফেডারেলিস্ট। টমাস জেফারসন মার্চ ৪, ১৮০১ থেকে মার্চ ৪, ১৮০৯। তিনি ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক-রিপাবলিকান। জেমস ম্যাডিসন মার্চ ৪, ১৮০৯ থেকে মার্চ ৪, ১৮১৭, ডেমোক্র্যাটিক-রিপাবলিকান।

জেমস মনরো, মার্চ ৪, ১৮১৭ থেকে মার্চ ৪, ১৮২৫। তিনি ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক-রিপাবলিকান। জন কুইন্সি অ্যাডামস, মার্চ ৪ ১৮২৫ থেকে মার্চ ৪ ১৮২৯। তিনিও ডেমোক্র্যাটিক-রিপাবলিকান। অ্যান্ড্রু জ্যাকসন মার্চ ৪, ১৮২৯ থেকে মার্চ ৪, ১৮৩৭।

তিনি ছিলেন আলাদাভাবে ডেমোক্র্যাটিক। মার্টিন ভ্যান বিউরেন মার্চ ৪, ১৮৩৭ থেকে মার্চ ৪, ১৮৪১। তিনি ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক। উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসন মার্চ ৪, ১৮৪১ থেকে এপ্রিল ৪, ১৮৪১। তিনি ছিলেন হুইগ।

জন টাইলার এপ্রিল ৪, ১৮৪১ থেকে মার্চ ৪, ১৮৪৫। তিনিও হুইগ (নির্দলীয়)। জেমস নক্স পোক মার্চ ৪, ১৮৪৫ থেকে মার্চ ৪ ১৮৪৯। তিনি ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক। জ্যাকারি টেইলর মার্চ ৪, ১৮৪৯ থেকে জুলাই ৯, ১৮৫০।

তিনি ছিলেন হুইগ। মিলার্ড ফিলমোর জুলাই ৯, ১৮৫০ থেকে মার্চ ৪, ১৮৫৩। তিনিও হুইগ। ফ্রাংকলিন পয়ের্স মার্চ ৪, ১৮৫৩ থেকে মার্চ ৪, ১৮৫৭। তিনি ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক।

জেমস বিউকানান মার্চ ৪, ১৮৫৭ থেকে মার্চ ৪, ১৮৬১। তিনি ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক। আব্রাহাম লিংকন, মার্চ ৪, ১৮৬১ থেকে এপ্রিল ১৫, ১৮৬৫। তিনি ছিলেন রিপাবলিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন। অ্যান্ড্রু জনসন এপ্রিল ১৫, ১৮৬৫ থেকে মার্চ ৪, ১৮৬৯।

তিনি ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল ইউনিয়ন। ইউলিসিস এস গ্রান্ট মার্চ ৪, ১৮৬৯ থেকে মার্চ ৪, ১৮৭৭। তিনি রিপাবলিকান। রাদারফোর্ড বি হেইজ, মার্চ ৪, ১৮৭৭ থেকে মার্চ ৪, ১৮৮১। তিনিও রিপাবলিকান।

জেমস গারফিল্ড, মার্চ ৪, ১৮৮১ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯, ১৮৮১। তিনি রিপাবলিকান। চেস্টার এ আর্থার, সেপ্টেম্বর ১৯, ১৮৮১ থেকে মার্চ ৪, ১৮৮৫ রিপাবলিকান। গ্রোভার কিভল্যান্ড মার্চ ৪, ১৮৮৫ থেকে মার্চ ৪, ১৮৮৯। ডেমোক্র্যাটিক।

বেঞ্জামিন হ্যারিসন, মার্চ ৪, ১৮৮৯ থেকে মার্চ ৪, ১৮৯৩। তিনি রিপাবলিকান। গ্রোভার কিভল্যান্ড দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন। দায়িত্ব পালন করেন মার্চ ৪, ১৮৯৩ থেকে মার্চ ৪, ১৮৯৭। তিনি ছিলেন ডেমোক্র্যাটিক।

উইলিয়াম ম্যাকিনলি, মার্চ ৪, ১৮৯৭ থেকে সেপ্টেম্বর ১৪, ১৯০১। তিনি রিপাবলিকান। থিওডোর রুজভেল্ট, সেপ্টেম্বর ১৪, ১৯০১ থেকে মার্চ ৪, ১৯০৯। তিনিও রিপাবলিকান। উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্যাফট, মার্চ ৪, ১৯০৯ থেকে মার্চ ৪, ১৯১৩।

রিপাবলিকান। উড্রো উইলস,মার্চ ৪ ১৯১৩ থেকে মার্চ ৪, ১৯২১। ডেমোক্র্যাটিক। ওয়ারেন জি হার্ডিং, মার্চ ৪, ১৯২১ থেকে আগস্ট ২, ১৯২৩। রিপাবলিকান।

ক্যালভিন ক্যুলিজ, আগস্ট ২, ১৯২৩ থেকে মার্চ ৪, ১৯২৯। রিপাবলিকান। হার্বাট হুভার, মার্চ ৪, ১৯২৯ থেকে মার্চ ৪, ১৯৩৩। রিপাবলিকান। ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট, মার্চ ৪, ১৯৩৩ থেকে এপ্রিল ১২, ১৯৪৫।

ডেমোক্র্যাটিক। হ্যারি এস ট্রুম্যান, এপ্রিল ১২, ১৯৪৫ থেকে জানুয়ারি ২০, ১৯৫৩। ডেমোক্র্যাটিক। ডিওয়েট ডিইসেনহাওয়ার, জানুয়ারি ২০, ১৯৫৩ থেকে জানুয়ারি ২০, ১৯৬১। রিপাবলিকান।

জন এফ কেনেডি, জানুয়ারি ২০, ১৯৬১ থেকে নভেম্বর ২২, ১৯৬৩। ডেমোক্র্যাটিক। ল্যান্ডন বি জনসন, নভেম্বর ২২, ১৯৬৩ থেকে জানুয়ারি ২০, ১৯৬৯। ডেমোক্র্যাটিক। রিচার্ড নিক্সন, জানুয়ারি ২০, ১৯৬৯ থেকে আগস্ট ৯, ১৯৭৪।

রিপাবলিকান। জেরাল ফোর্ড, আগস্ট ৯, ১৯৭৪ থেকে জানুয়ারি ২০, ১৯৭৭। রিপাবলিকান। জিমি কার্টার জানুয়ারি ২০, ১৯৭৭ থেকে জানুয়ারি ২০, ১৯৮১। ডেমোক্র্যাটিক।

রোনাল্ড রেগান জানুয়ারি ২০, ১৯৮১ জানুয়ারি ২০, ১৯৮৯। রিপাবলিকান। জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ জানুয়ারি ২০, ১৯৮৯ থেকে জানুয়ারি ২০, ১৯৯৩। রিপাবলিকান। বিল কিনটন জানুয়ারি ২০, ১৯৯৩ থেকে জানুয়ারি ২০, ২০০১।

ডেমোক্র্যাটিক। জর্জ ডব্লিউ বুশ জানুয়ারি ২০, ২০০১ থেকে জানুয়ারি ২০, ২০০৯। রিপাবলিকান। বারাক ওবামা জানুয়ারি ২০, ২০০৯ থেকে বর্তমান। সমালোচিত : ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারির জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন।

তার একটি গোপন সাক্ষাৎ বছর দুয়েক আগে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া যৌন কেলেঙ্কারির কারণে সমালোচিত হয়েছেন বুশ ও কিনটন। বুশ যুদ্ধবাজ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। আমেরিকাকে অবাধ যৌনতার দেশে পরিণত করা হয়েছে। এর পেছনে শেষের দিককার প্রেসিডেন্টদের ‘অবদান’ বেশি।

সর্বশেষ তুমুল বিরোধিতা সত্ত্বেও বারাক ওবামা সমকামীদের মধ্যে বিয়ে বৈধ করেছেন। তার বিজয়ের পেছনে এটা অন্যতম কারণ বলে সংবাদমাধ্যমগুলোর পরিবেশিত খবরে বলা হচ্ছে। নারী কেলেঙ্কারির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম প্রেসিডেন্ট বিল কিনটনকে ইম্পিচমেন্টের মুখোমুখি হতে হয়েছে। তার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে নারী কেলেঙ্কারির জন্যও জর্জ বুশ খ্যাত ছিলেন। ২০০২ সালে ১ ডিসেম্বর টেক্সাসের মিসৌরির বাসিন্দা মার্গি শোডিঙ্গা নামক এক মহিলা টেক্সাসের কোর্ট বেন্ট কাউন্টি দেওয়ানি আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বুশের বিরুদ্ধে।

বুশের দীর্ঘ আট বছরের কৃতিত্বের অন্যতম হচ্ছে ইরাক দখল। আমেরিকার ইতিহাস : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত ৫০টি রাজ্য ও একটি ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট নিয়ে গঠিত এক যুক্তরাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। এই দেশটি ইউনাইটেড স্টেটস, ইউএস, যুক্তরাষ্ট্র ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র নামেও পরিচিত। মধ্য উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত ৪৮টি অঙ্গরাজ্য ও ক্যাপিটাল ডিস্ট্রিক্ট ওয়াশিংটন ডিসিসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডটি পশ্চিমে প্রশান্ত ও পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যস্থলে অবস্থিত; এই অঞ্চলের উত্তর ও দণি সীমান্তে অবস্থিত যথাক্রমে কানাডা ও মেক্সিকো রাষ্ট্র। আলাস্কা রাজ্যটি অবস্থিত মহাদেশের উত্তর-পশ্চিমে; এই রাজ্যের পূর্ব সীমায় কানাডা ও পশ্চিমে বেরিং প্রণালী পেরিয়ে রাশিয়া।

হাওয়াই রাজ্যটি মধ্য-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপপুঞ্জ। এ ছাড়া ক্যারিবিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অনেক অঞ্চল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকারভুক্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের আয়তন ৩.৭৯ মিলিয়ন বর্গমাইল (৯.৮৩ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের সমাজব্যবস্থা মূলত বিশ্বের সর্বাপো বৈচিত্র্যময় বহুজাতিক সমাজব্যবস্থা। বহু দেশ থেকে বিভিন্ন জাতির মানুষের অভিনিবেশের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ একটি বহুসংস্কৃতিবাদী দেশ।

আমেরিকার আদিম অধিবাসীরা সম্ভবত এশীয় বংশোদ্ভূত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের মূল ভূখণ্ডে তারা কয়েক হাজার বছর ধরে বসবাস করছে। তবে নেটিভ আমেরিকানদের জনসংখ্যা ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের পর থেকে মহামারী ও যুদ্ধবিগ্রহের প্রকোপে ব্যাপক হ্রাস পায়। প্রাথমিক পর্যায়ে আটলান্টিক মহাসাগর তীরের উত্তর আমেরিকার ১৩টি ব্রিটিশ উপনিবেশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই এই উপনিবেশগুলো একটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করে।

এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে উপনিবেশগুলো তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ঘোষণা করে এবং একটি সমবায় সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠা করে। আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে এই বিদ্রোহী রাজ্যগুলো গ্রেট ব্রিটেনকে পরাস্ত করে। এই যুদ্ধ ছিল ঔপনিবেশিকতার ইতিহাসে প্রথম সফল ঔপনিবেশিক স্বাধীনতা যুদ্ধ। ১৭৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়া কনভেনশন বর্তমান মার্কিন সংবিধানটি গ্রহণ করে। পরের বছর এই সংবিধান স্বারিত হলে যুক্তরাষ্ট্র একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারসহ একক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়।

১৭৯১ সালে স্বারিত এবং দশটি সংবিধান সংশোধনী-সংবলিত বিল অব রাইটস একাধিক মৌলিক নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স, স্পেন, যুক্তরাজ্য, মেক্সিকো ও রাশিয়ার থেকে জমি অধিগ্রহণ করে এবং টেক্সাস প্রজাতন্ত্র ও হাওয়াই প্রজাতন্ত্র অধিকার করে নেয়। ১৮৬০-এর দশকে রাজ্যগুলোর অধিকার ও দাসপ্রথার বিস্তারকে কেন্দ্র্র করে গ্রামীণ দণিাঞ্চল ও শিল্পোন্নত উত্তরাঞ্চলের বিবাদ এক গৃহযুদ্ধের জন্ম দেয়। উত্তরাঞ্চলের বিজয়ের ফলে দেশের চিরস্থায়ী বিভাজন রোধ করা সম্ভব হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা আইনত রদ করা হয়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.