বাউন্ডারীবিহীন কারাগার সদ্য প্রসূত একটি শিশু চিৎকার করে কান্না করছে। কোয়ান্টাম বলবিদ্যার ‘probability’ যদি হিসাব করি তাহলে এখানে আমরা অনেকগুলো দৃশ্যপট আঁকতে পারব।
দৃশ্যপট ১
শিশুটিকে নিয়ে সবাই কাড়াকাড়ি করছে আর ক্যামেরার অনেক ক্লিক ক্লিক শব্দ হচ্ছে। সবাই হাসিমুখে পোজ দিচ্ছে। বাঁধাই করার মত একটা ছবি কয়দিন পর দেয়ালে ঝুলবে।
দৃশ্যপট ২
গর্ভবতী গৃহপরিচারিকাকে বাসায় রেখে সবাই বেড়াতে গেল। শুন্য বাসার বাথরুমে গৃহপরিচারিকার প্রসব বেদনা উঠল। রক্তাক্ত বাথরুমে একটা শিশু চিৎকার করছে। পাশে নিস্তেজ মা পড়ে আছে।
দৃশ্যপট ৩
শহরের মানুষের জমানো উচ্ছিষ্টে একটা সদ্য প্রসূত শিশু কান্না করছে।
কিছু মানুষ চারিদিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। বাস্তবতা সমাজের বুকে চাপ দিয়ে ধরে আছে। নিঃশ্বাস ফেলতে দেয় না।
প্রতিদিন সৃষ্টিকর্তা শুন্য থেকে অসীম পর্যন্ত দৃশ্যপট আঁকেন। সময় পাড়ি দিয়ে দৃশ্যপটের কোন একজন ব্লগ লিখছে।
কোন একজন পাতলা চাদর স্টেশনের টার্মিনালে বিছিয়ে ঘুমের আয়োজন করছে। গা থেকে ভুর ভুর করে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। কেউবা ঘরে বাইরে কেরানীর চাকরি করে স্রান্ত দেহে ঘুমিয়ে পড়েছে। কেউবা রাস্তায় খদ্দের খুঁজছে।
সময় ভুলিয়ে দেয় একি দৃশ্যপটে আঁকা ছবির বাসিন্দাদের মনোজগৎ।
আরেকজনকে উদ্দেশ্য করে বলি তীব্র অশ্লীল শব্দ। সামান্য অপরাধে ছোট কাজের মেয়েটার মাথা ফাটিয়ে দেই। আবার একি হাত দিয়ে নিজের সন্তানকে বুকে টেনে নেই। বোকা মানুষেরা, সৃষ্টিকর্তার দৃশ্যপট অসীম হতে পারে কিন্তু সময় তো বাধা ধরা। জীবন ঘড়ি থেমে যাবার জন্য অপেক্ষা করছে।
মৃত্যু সব রহস্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আলিঙ্গনের হাত বাড়িয়ে। আমরা ভুলে যাই সব। তাই আমরা নিকৃষ্ট হতে পারি। ধিক আমাদের!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।