আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উত্তেজিত হয়ে মন্ত্রী শাজাহান খান ব্যারিস্টার রফিক মিয়াকে বলে উঠলেন ‘হারামজাদা তোর চোখ উঠিয়ে ফেলব’। শাজাহান খানকে তোমরা চেন না। শাজাহান অনেক মানুষের চোখ উঠিয়ে ফেলেছে। তোমার চোখও উঠিয়ে ফেলব। শাজাহান খান সব পারে।

ধূসর শূণ্যতা বেসরকারি চ্যানেল আরটিভির ‘ঈদ-পূজায় নিরাপদে ঘরে ফেরা’ বিষয়ক টকশোতে ঘটেছে তুলকালাম কাণ্ড। নৌমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খান বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। আলোচনার একপর্যায়ে নিজ চেয়ার থেকে উঠে হাতের আস্তিন গুটিয়ে মন্ত্রী বিরোধী দলের নেতাকে মারতে উদ্যত হয়ে বলেন, আমি এর আগেও অনেকের চোখ উপড়ে ফেলেছি, শাজাহান খান সবই পারে। টিভি টকশোতে অকস্মাত্ এই নজিরবিহীন ঘটনায় অন্য অতিথি-আলোচকরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান। হতভম্ব হয়ে তারা শ্বাসরুদ্ধকর ওই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।

সারাদেশের মানুষও টেলিভিশনে এ দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছেন। অবিশ্বাস্য এ ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার মধ্যরাতে। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছিল। তবে কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি সরাসরি সম্প্রচার সাময়িক বন্ধ করে দেয়। এ টকশো তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আরটিভির নবনির্মিত বহুমাত্রিক স্টুডিও থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল।

আলোচক হিসেবে অংশ নেন নৌমন্ত্রী মো. শাজাহান খান, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মো. ইসরাফিল আলম, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি গোলাম মওলা রনি, বিএনপি দলীয় এমপি রাশেদা বেগম হীরা, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সভাপতি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, জাতীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা স্থপতি ইকবাল হাবিব, সাংবাদিক জাকারিয়া কাজল, মনির হায়দার ও নিশাদ দস্তগীর। অনুষ্ঠান দেখেছেন এমন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী আমার দেশ-কে জানান, রাত ১১টার পর আরটিভিতে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার শুরু হয়। আলোচনার একপর্যায়ে বক্তব্য দেন নৌমন্ত্রী মো. শাজাহান খান। তিনি নৌপথের উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি গত চারদলীয় জোট সরকারের সমালোচনা করেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, জোট সরকারের আমলে নৌপরিবহন খাতের কোনো উন্নয়ন হয়নি।

তখন কেবল চাঁদাবাজি আর দুর্নীতি হয়েছে এ খাতে। তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, আমাদের সময় দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি হয়েছে, এখন কি এসব বন্ধ হয়ে গেছে? এখন লোকজন আপনাদের চোর বলছে। এ সময় শাজাহান খান কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনি চুপ করুন। আমার বলা শেষ হলে আপনি বলবেন। জবাবে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, এ অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত দেয়ার সময় বলা হয়েছিল, কোনো রকম আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেয়া হবে না।

কিন্তু এখন দেখছি শুধু আমাদের আমলের বদনাম করা হচ্ছে। এ পর্যায়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে উপস্থাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, জনাব রফিকুল ইসলাম মিয়া আপনাকে বলার সুযোগ দেয়া হবে, আপনি তখন বলবেন। এখন থামুন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করে তিনি শাজাহান খানের কথার পিঠে কথা বলে যাচ্ছিলেন। আর এতেই প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নৌমন্ত্রী।

আপনি থেকে হঠাত্ তুমি সম্বোধন শুরু করেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সঞ্চালক রোবায়েত ফেরদৌস প্রযোজক ও ক্যামেরাম্যানদের উদ্দেশে বলেন, ‘বন্ধ কর’, ‘ব্রেকে যাও’, ‘বর্তমান প্রজন্ম তাদের কাছে কী শিখছে’, ‘টকশো বন্ধ কর’। কিন্তু তাতেও থামছিলেন না শাজাহান খান। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া টেবিল চাপড়ে বলতে থাকেন ‘স্টপ ইট’। অন্যদিকে মন্ত্রী শাজাহান খান চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকে শাসাতে থাকেন।

একপর্যায়ে অনুষ্ঠানের অন্যতম আলোচক চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন চেয়ার ছেড়ে টকশো থেকে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হন। এ সময় টকশো বন্ধ হয়ে যায়। জানা যায়, অফ এয়ারে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া টকশো স্টেজ থেকে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হন। তখন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান উচ্চস্বরে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামকে মারতে উদ্যত হয়ে বলেন, শাজাহান খানকে তোমরা চেন না। শাজাহান অনেক মানুষের চোখ উঠিয়ে ফেলেছে।

তোমার চোখও উঠিয়ে ফেলব। শাজাহান খান সব পারে। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি ইসরাফিল আলমও নৌমন্ত্রীর পক্ষ নিয়ে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে বকাঝকা করতে থাকেন। তবে বাকি সবাই হতভম্ব হয়ে নীরবে দেখতে থাকেন সেই দৃশ্য। এমনকি অপর দুই এমপি গোলাম মওলা রনি এবং রাশেদা বেগম হীরাও নিজ নিজ আসনে বসে ছিলেন চুপচাপ।

একপর্যায়ে রফিকুল ইসলাম মিয়া স্টুডিও থেকে বেরিয়ে যান। উঠে দাঁড়ান ইলিয়াস কাঞ্চন, মনির হায়দার ও ইকবাল হাবিব। কিন্তু আরটিভির স্টাফদের অনুরোধে তারা আবার চেয়ারে বসেন। বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া অনুষ্ঠানে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের অবস্থা তুলে ধরে বলেন, এটি ছিল একটি রাউন্ড টেবিল আলোচনা। ‘নিরাপদ সড়ক : ঈদ ও পূজায় বাড়ি ফেরা’ শীর্ষক আলোচনায় আমরা ছাড়াও আরও বেশ ক’জন অংশ নিয়েছিলেন।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের ক’জন বর্তমান সরকারের আমলে মহাসড়কে চাঁদাবাজি ও খানাখন্দ থাকায় জনগণের বেশ দুর্ভোগ হচ্ছে বলে শাজাহান খানের কাছে প্রশ্ন করেন। এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান অপ্রাসঙ্গিকভাবে চাঁদাবাজির জন্য বিএনপিকে দায়ী করে বলেন, ’৯৩ সাল থেকে এই চাঁদাবাজির শুরু। এর মূল হোতা হচ্ছেন বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ অবস্থায় আমি শাজাহান খানকে একটি প্রশ্ন করি—বিএনপি আমলের চাঁদাবাজির কথা বললেন, তাহলে কোন আমলে বেশি চাঁদাবাজি হচ্ছে? বিএনপি আমলে চাঁদাবাজি বেশি হচ্ছে, না বর্তমান আমলে বেশি হচ্ছে—তাও বলুন। এর জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী একতরফাভাবে বিএনপির ওপর দোষ চাপাতে লাগলেন।

তিনি সেখানে না থেমে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে গালাগাল করতে লাগলেন। একপর্যায়ে তিনি এতই রেগে যান যে, নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে গিয়ে জোরে চিত্কার করে কথা বলতে লাগলেন। ব্যারিস্টার রফিকুল বলেন, শাজাহান খান যখন উত্তেজিত হয়ে যা-তা বলতে লাগলেন, তখন আমিও জোরে জোরে তার বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে লাগলাম। আমি হলমার্ক, শেয়ারবাজার ও পদ্মা সেতুর দুর্নীতির কথা বলতে লাগলাম। এ পর্যায়ে আরটিভির অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি বলেন, টিভি টকশোর সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও শাজাহান খান নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। তিনি তার চেয়ার ছেড়ে আমার দিকে তেড়ে এসে বলতে লাগলেন, শাজাহান খানকে তোমরা চেন না। শাজাহান অনেক মানুষের চোখ উঠিয়ে ফেলেছে। তোমার চোখও উঠিয়ে ফেলব। শাজাহান খান সব পারে।

তিনি বলেন, ওই আলোচনা সভায় আরও অনেকের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইসরাফিল এবং গোলাম মওলা রনিও ছিলেন। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ ইসরাফিল মন্ত্রীর পক্ষ নিয়ে কথা বলতে লাগলেন। রনি ও র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মোহাম্মদ সোহায়েল চুপচাপ ছিলেন, কিছুই বলেননি। দু’জন সাংবাদিকও ছিলেন। ব্যারিস্টার রফিকুল বলেন, মন্ত্রী শাজাহান খান যেভাবে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিলেন, আমার নিরাপত্তার স্বার্থেই আমি আর সেখানে না থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম।

বের হয়ে আসার সময় আরটিভি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আবার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হলো। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান গতকাল আমার দেশ-কে বলেন, এটা কোনো বিষয় নয়। তবে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বেয়াদবের মতো আচরণ করেছেন। তিনি যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন আমি নীরবে শুনেছি। আমার বক্তব্যের মাঝে তিনি কথা বলায় ঝগড়া হয়।

তিনি বলেন, মানুষকে সম্মান দিতে না জানলে সম্মান পাওয়া যায় না। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামের চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এগুলো বোগাস কথা। মানুষকে সম্মান করতে জানতে হয়। কাউকে সম্মান দিতে না জানলে জোর করে সম্মান পাওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, টকশোর শেষে আমি তার সঙ্গে হাত মিলিয়েছি।

কোলাকুলি করেছি। এরপর আর কোনো অভিযোগ করার কথা নয়। টকশোতে অংশ নেয়া অপর আলোচক বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রাশেদা বেগম হীরা আমার দেশ-কে বলেন, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান অনেক অশ্রাব্য ভাষায় বকেছেন, যা বলার মতো নয়। একপর্যায়ে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া নৌমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেছেন—আপনি একদিকে মন্ত্রী, অপরদিকে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি। আপনাদের ছত্রছায়ায় পরিবহনে চাঁদাবাজি হচ্ছে।

এমন কথা বলতেই ক্ষেপে যান নৌমন্ত্রী। তিনি অসত্য কথা বলতে থাকেন। তখন ব্যারিস্টার রফিক বলেন, ‘স্টপ ইট’। তিনি আরও বলেন, উত্তেজনার একপর্যায়ে টকশো বন্ধ করা হলে শাজাহান খান তখনও উত্তেজিত অবস্থায় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। তিনি চেয়ার ছেড়ে তেড়ে হাতের আস্তিন গুটিয়ে ব্যারিস্টার রফিকুলকে ঘুষি মারতে উদ্যত হন।

আরেক আলোচক ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আরটিভির অনুষ্ঠানে যা হয়েছে তা লজ্জাজনক, দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা ওই অনুষ্ঠানে যে ধরনের আচরণ করেছেন, তা কাম্য নয় এবং এমন ধরনের আচরণ হওয়া উচিত নয়। এ অবস্থায় আমি অনুষ্ঠান থেকে চলে আসতে চাইলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমি থেকে আবার অনুষ্ঠানে অংশ নিলাম। আবার শুরু হওয়ার পর অনুষ্ঠানে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন—না, আর কোনো ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

আসলে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ভয়ে অনুষ্ঠানে আর কোনো কথা বলেননি। অপর আলোচক সাংবাদিক মনির হায়দারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ঢাকা নিউজ এজেন্সিকে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ওই ঘটনা নতুন করে আর কল্পনা করতে চাই না। এক কথায় এটি ছিল ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতা। সিনেমার দৃশ্যেও এমনটি দেখা যায় না।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রোবায়েত ফেরদৌস এ বিষয়ে আমার দেশ-কে বলেন, টকশোতে একজনের কথা বলার সময় অন্যজনের কথা বলার নিয়ম নেই। তিনি বলেন, মন্ত্রী শাজাহান খান কথা বলছিলেন। তার মাঝখানে রফিকুল ইসলাম মিয়াও কথা বলা শুরু করেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। তাদের কথাবার্তা অশোভন পর্যায়ে চলে গেলে একপর্যায়ে অনুষ্ঠান সাময়িক স্থগিত করি।

এরপর তাদের বুঝিয়ে আবার অনুষ্ঠান শুরু করি। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.