আগামী নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে সরকার ‘পুরোপুরি বিভ্রান্ত’ (টোটালি কনফিউজড) বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর ‘রাজনৈতিক সততা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া।
আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলাদা দুটি আলোচনা সভায় বিএনপির নেতারা এসব মন্তব্য করেন।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম আয়োজিত আলোচনা সভায় মঈন খান বলেন, আগামী নির্বাচন কীভাবে পরিচালিত হবে, সরকার এ বিষয়ে পুরোপুরি বিভ্রান্ত। তিনি বলেন, এ কারণেই সরকার একেক সময় একেক কথা বলছে।
কখনো সংলাপের কথা বলে পরে অন্য কথা বলছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এ বাজেট একটি লেইম ডাক। এ বাজেটের কোনো কার্যকারিতা নেই। ’
মঈন খানের দাবি, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের শুধু ভরাডুবিই হবে না, জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। আর সে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নয়, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
তিনি সরকারকে সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টি করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান।
সংগঠনের সভাপতি শ্যামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব চাষী নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় রফিকুল ইসলাম মিয়া প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার জন্য মুলতবি প্রস্তাব দিয়ে আবার প্রত্যাহার করে বিএনপি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সংসদ থেকে প্রস্তাব প্রত্যাহার করে বিএনপি আলোচনার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।
তাঁর এ বক্তব্য রাজনৈতিক শঠতা। রাজনৈতিক সততা না থাকলেই কবল এ ধরনের কথা বলেন কেউ।
রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, সংসদে প্রস্তাব তুললে সংখ্যাগরিষ্ঠ মহাজোট সরকার ‘হাঁ-না’ ভোটে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কবর রচনা করত। এ কারণে দলীয় সিদ্ধান্তে ওই প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়েছে। দলীয় সাংসদ মাহবুব উদ্দিন খোকনের দেওয়া ওই প্রস্তাব দলীয় নয় বলেও তিনি দাবি করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।